পাঙ্খা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''পাঙ্খা'''  বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের প্রথমভাগে প্রবর্তিত ভারি কাপড়ে তৈরি আয়তাকার ঐতিহ্যবাহী ঝুলন্ত পাখা বিশেষ। অতীতে বিশ্বের বহু দেশেই অফিস এবং অভিজাত বাড়িতে এ পাখা ব্যবহূত হতো। বাংলায় রাজত্ব প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজরা গ্রীষ্মকালীন প্রখর তাপ ও আর্দ্রতার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার প্রবর্তন করে। তার মধ্যে পাখাল কর্তৃক চালানো ঝুলন্ত পাঙ্খা অন্যতম। মুগলরা কাপড় ও পাখির পালকের সাহায্যে তৈরি হাতপাখা দিয়ে শীতল হাওয়ার দেশিয় পদ্ধতি গ্রহণ করে। হাতপাখার পাশাপাশি তারা ‘খাস-কি-টাট্টি’ নামক এক নতুন পদ্ধতিও উদ্ভাবন করে। ‘খাস’ নামক একটা তন্তুময় মূলের সরকাঠি দিয়ে দরজা ও জানালার পর্দা লাগানো হতো এবং একে সবসময় আর্দ্র রাখা হতো, যাতে কক্ষের গরম বাতাস ঠান্ডা হয়ে যায়। মুগলরা আরও একটি পদ্ধতি চালু করে, যা তুলনামূলকভাবে কম জনপ্রিয় হলেও ইংরেজরা তা গ্রহণ করে। এই নতুন পদ্ধতি ছিল ঝুলন্ত পাঙ্খা।
'''পাঙ্খা'''  বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের প্রথমভাগে প্রবর্তিত ভারি কাপড়ে তৈরি আয়তাকার ঐতিহ্যবাহী ঝুলন্ত পাখা বিশেষ। অতীতে বিশ্বের বহু দেশেই অফিস এবং অভিজাত বাড়িতে এ পাখা ব্যবহূত হতো। বাংলায় রাজত্ব প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজরা গ্রীষ্মকালীন প্রখর তাপ ও আর্দ্রতার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার প্রবর্তন করে। তার মধ্যে পাখাল কর্তৃক চালানো ঝুলন্ত পাঙ্খা অন্যতম। মুগলরা কাপড় ও পাখির পালকের সাহায্যে তৈরি হাতপাখা দিয়ে শীতল হাওয়ার দেশিয় পদ্ধতি গ্রহণ করে। হাতপাখার পাশাপাশি তারা ‘খাস-কি-টাট্টি’ নামক এক নতুন পদ্ধতিও উদ্ভাবন করে। ‘খাস’ নামক একটা তন্তুময় মূলের সরকাঠি দিয়ে দরজা ও জানালার পর্দা লাগানো হতো এবং একে সবসময় আর্দ্র রাখা হতো, যাতে কক্ষের গরম বাতাস ঠান্ডা হয়ে যায়। মুগলরা আরও একটি পদ্ধতি চালু করে, যা তুলনামূলকভাবে কম জনপ্রিয় হলেও ইংরেজরা তা গ্রহণ করে। এই নতুন পদ্ধতি ছিল ঝুলন্ত পাঙ্খা।


[[Image:Pankha.jpg|thumb|400px|right|ঝুলন্ত পাঙ্খা]]
ব্যবসামনস্ক ইংরেজদের কাছে হাতপাখা অলাভজনক প্রতিভাত হয়, কারণ এতে প্রত্যেক ব্যক্তির সেবার জন্য অন্তত একজন চাকরের প্রয়োজন হতো। আবার ‘খাস-কি-টাট্টি’-র রক্ষণাবেক্ষণ ছিল বেশ ব্যয়বহুল, কারণ ইংরেজদের বাড়িতে অনেক বেশি দরজা ও জানালা ছিল। তাছাড়া খাসমূল স্থানীয়ভাবে পাওয়াও যেত না। ফলে তারা কাঠের থামে অাঁটানো এবং ছাদ থেকে ঝুলানো পাঙ্খা নামক তৃতীয় এক পদ্ধতি গ্রহণ করে। মাত্র একজন ব্যক্তি সমগ্র কক্ষে বাতাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একে সামনে পিছনে টেনে দোলাতে পারত। অধিকন্তু, ঝুলন্ত পাঙ্খা জায়গা নিত কম। এটি বিশেষত অফিসে ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনকরূপে গ্রহণযোগ্য হয়।
ব্যবসামনস্ক ইংরেজদের কাছে হাতপাখা অলাভজনক প্রতিভাত হয়, কারণ এতে প্রত্যেক ব্যক্তির সেবার জন্য অন্তত একজন চাকরের প্রয়োজন হতো। আবার ‘খাস-কি-টাট্টি’-র রক্ষণাবেক্ষণ ছিল বেশ ব্যয়বহুল, কারণ ইংরেজদের বাড়িতে অনেক বেশি দরজা ও জানালা ছিল। তাছাড়া খাসমূল স্থানীয়ভাবে পাওয়াও যেত না। ফলে তারা কাঠের থামে অাঁটানো এবং ছাদ থেকে ঝুলানো পাঙ্খা নামক তৃতীয় এক পদ্ধতি গ্রহণ করে। মাত্র একজন ব্যক্তি সমগ্র কক্ষে বাতাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একে সামনে পিছনে টেনে দোলাতে পারত। অধিকন্তু, ঝুলন্ত পাঙ্খা জায়গা নিত কম। এটি বিশেষত অফিসে ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনকরূপে গ্রহণযোগ্য হয়।
[[Image:Pankha.jpg|thumbঝুলন্ত পাঙ্খা|right|]]


সমসাময়িক ইউরোপীয় লেখকদের মতে, বাংলায় ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বে ঝুলন্ত পাঙ্খার প্রচলন ছিল না। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধের জনৈক পরিব্রাজকের বর্ণনা অনুযায়ী, কলকাতা সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ এবং ফোর্ট উইলিয়মের সদস্যবৃন্দ আর্দ্রতার জন্য দিনে কয়েকবার তাদের জামা পরিবর্তন করতেন। এতে বোঝা যায় যে অন্তত অফিসসমূহে ঝুলন্ত পাঙ্খার প্রচলন তখনো ঘটে নি। বাংলায় কর্মরত রিচার্ড নামক জনৈক বেসামরিক কর্মকর্তার সম্পত্তির তালিকা থেকে দেখা যায় যে, তার ‘একটি কাপড়ের পাঙ্খা ছিল’। ধরে নেওয়া যায় যে বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ীরা ঝুলন্ত পাঙ্খা প্রথমে তাদের বাড়িতে এবং পরবর্তীকালে অফিসসমূহে প্রবর্তন করেন। ১৭৯৮ সালে ফোর্ট উইলিয়মের পরিষদ কক্ষে প্রথমবারের মতো ঝুলন্ত পাঙ্খার সন্ধান পাওয়া যায়। ১৮০০ সালে লর্ড ওয়েলেসলি সেন্ট জোন্স এবং কলকাতার অন্যান্য গির্জায় ঝুলন্ত পাঙ্খা স্থাপনের আদেশ দেন। ১৮০০ সালের পর থেকে বাড়ি এবং অফিসসমূহে পাঙ্খা স্থাপনের প্রচলন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ১৮৫০ সালের মধ্যে সকল অফিসে পাঙ্খা একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সামাজিকভাবে এটি একটি মর্যাদার প্রতীকে পরিণত হয় বলে জমিদার এবং পেশাজীবীসহ ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের অধিকাংশ তাদের বাড়ি এক বা একাধিক পাঙ্খা দিয়ে সাজাত। বিশ শতকের প্রারম্ভে বৈদ্যুতিক পাখা ও এয়ারকুলারের প্রচলন সত্ত্বেও ১৯৫০ ও তার পূর্বে অফিসসমূহে, সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিশেষত নিম্ন আদালতে ঝুলন্ত পাঙ্খার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। অনেক পুরানো প্রতিষ্ঠিত পরিবার আজও প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে এককালের যথেষ্ট মর্যাদাবান পাঙ্খা সংরক্ষণ করছে।  [সিরাজুল ইসলাম]
সমসাময়িক ইউরোপীয় লেখকদের মতে, বাংলায় ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বে ঝুলন্ত পাঙ্খার প্রচলন ছিল না। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধের জনৈক পরিব্রাজকের বর্ণনা অনুযায়ী, কলকাতা সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ এবং ফোর্ট উইলিয়মের সদস্যবৃন্দ আর্দ্রতার জন্য দিনে কয়েকবার তাদের জামা পরিবর্তন করতেন। এতে বোঝা যায় যে অন্তত অফিসসমূহে ঝুলন্ত পাঙ্খার প্রচলন তখনো ঘটে নি। বাংলায় কর্মরত রিচার্ড নামক জনৈক বেসামরিক কর্মকর্তার সম্পত্তির তালিকা থেকে দেখা যায় যে, তার ‘একটি কাপড়ের পাঙ্খা ছিল’। ধরে নেওয়া যায় যে বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ীরা ঝুলন্ত পাঙ্খা প্রথমে তাদের বাড়িতে এবং পরবর্তীকালে অফিসসমূহে প্রবর্তন করেন। ১৭৯৮ সালে ফোর্ট উইলিয়মের পরিষদ কক্ষে প্রথমবারের মতো ঝুলন্ত পাঙ্খার সন্ধান পাওয়া যায়। ১৮০০ সালে লর্ড ওয়েলেসলি সেন্ট জোন্স এবং কলকাতার অন্যান্য গির্জায় ঝুলন্ত পাঙ্খা স্থাপনের আদেশ দেন। ১৮০০ সালের পর থেকে বাড়ি এবং অফিসসমূহে পাঙ্খা স্থাপনের প্রচলন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ১৮৫০ সালের মধ্যে সকল অফিসে পাঙ্খা একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সামাজিকভাবে এটি একটি মর্যাদার প্রতীকে পরিণত হয় বলে জমিদার এবং পেশাজীবীসহ ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের অধিকাংশ তাদের বাড়ি এক বা একাধিক পাঙ্খা দিয়ে সাজাত। বিশ শতকের প্রারম্ভে বৈদ্যুতিক পাখা ও এয়ারকুলারের প্রচলন সত্ত্বেও ১৯৫০ ও তার পূর্বে অফিসসমূহে, সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিশেষত নিম্ন আদালতে ঝুলন্ত পাঙ্খার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। অনেক পুরানো প্রতিষ্ঠিত পরিবার আজও প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে এককালের যথেষ্ট মর্যাদাবান পাঙ্খা সংরক্ষণ করছে।  [সিরাজুল ইসলাম]


[[en:Pankha]]
[[en:Pankha]]
[[en:Pankha]]


[[en:Pankha]]
[[en:Pankha]]

০৮:৩১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পাঙ্খা  বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের প্রথমভাগে প্রবর্তিত ভারি কাপড়ে তৈরি আয়তাকার ঐতিহ্যবাহী ঝুলন্ত পাখা বিশেষ। অতীতে বিশ্বের বহু দেশেই অফিস এবং অভিজাত বাড়িতে এ পাখা ব্যবহূত হতো। বাংলায় রাজত্ব প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজরা গ্রীষ্মকালীন প্রখর তাপ ও আর্দ্রতার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার প্রবর্তন করে। তার মধ্যে পাখাল কর্তৃক চালানো ঝুলন্ত পাঙ্খা অন্যতম। মুগলরা কাপড় ও পাখির পালকের সাহায্যে তৈরি হাতপাখা দিয়ে শীতল হাওয়ার দেশিয় পদ্ধতি গ্রহণ করে। হাতপাখার পাশাপাশি তারা ‘খাস-কি-টাট্টি’ নামক এক নতুন পদ্ধতিও উদ্ভাবন করে। ‘খাস’ নামক একটা তন্তুময় মূলের সরকাঠি দিয়ে দরজা ও জানালার পর্দা লাগানো হতো এবং একে সবসময় আর্দ্র রাখা হতো, যাতে কক্ষের গরম বাতাস ঠান্ডা হয়ে যায়। মুগলরা আরও একটি পদ্ধতি চালু করে, যা তুলনামূলকভাবে কম জনপ্রিয় হলেও ইংরেজরা তা গ্রহণ করে। এই নতুন পদ্ধতি ছিল ঝুলন্ত পাঙ্খা।

ঝুলন্ত পাঙ্খা

ব্যবসামনস্ক ইংরেজদের কাছে হাতপাখা অলাভজনক প্রতিভাত হয়, কারণ এতে প্রত্যেক ব্যক্তির সেবার জন্য অন্তত একজন চাকরের প্রয়োজন হতো। আবার ‘খাস-কি-টাট্টি’-র রক্ষণাবেক্ষণ ছিল বেশ ব্যয়বহুল, কারণ ইংরেজদের বাড়িতে অনেক বেশি দরজা ও জানালা ছিল। তাছাড়া খাসমূল স্থানীয়ভাবে পাওয়াও যেত না। ফলে তারা কাঠের থামে অাঁটানো এবং ছাদ থেকে ঝুলানো পাঙ্খা নামক তৃতীয় এক পদ্ধতি গ্রহণ করে। মাত্র একজন ব্যক্তি সমগ্র কক্ষে বাতাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একে সামনে পিছনে টেনে দোলাতে পারত। অধিকন্তু, ঝুলন্ত পাঙ্খা জায়গা নিত কম। এটি বিশেষত অফিসে ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনকরূপে গ্রহণযোগ্য হয়।

সমসাময়িক ইউরোপীয় লেখকদের মতে, বাংলায় ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বে ঝুলন্ত পাঙ্খার প্রচলন ছিল না। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধের জনৈক পরিব্রাজকের বর্ণনা অনুযায়ী, কলকাতা সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ এবং ফোর্ট উইলিয়মের সদস্যবৃন্দ আর্দ্রতার জন্য দিনে কয়েকবার তাদের জামা পরিবর্তন করতেন। এতে বোঝা যায় যে অন্তত অফিসসমূহে ঝুলন্ত পাঙ্খার প্রচলন তখনো ঘটে নি। বাংলায় কর্মরত রিচার্ড নামক জনৈক বেসামরিক কর্মকর্তার সম্পত্তির তালিকা থেকে দেখা যায় যে, তার ‘একটি কাপড়ের পাঙ্খা ছিল’। ধরে নেওয়া যায় যে বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ীরা ঝুলন্ত পাঙ্খা প্রথমে তাদের বাড়িতে এবং পরবর্তীকালে অফিসসমূহে প্রবর্তন করেন। ১৭৯৮ সালে ফোর্ট উইলিয়মের পরিষদ কক্ষে প্রথমবারের মতো ঝুলন্ত পাঙ্খার সন্ধান পাওয়া যায়। ১৮০০ সালে লর্ড ওয়েলেসলি সেন্ট জোন্স এবং কলকাতার অন্যান্য গির্জায় ঝুলন্ত পাঙ্খা স্থাপনের আদেশ দেন। ১৮০০ সালের পর থেকে বাড়ি এবং অফিসসমূহে পাঙ্খা স্থাপনের প্রচলন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ১৮৫০ সালের মধ্যে সকল অফিসে পাঙ্খা একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সামাজিকভাবে এটি একটি মর্যাদার প্রতীকে পরিণত হয় বলে জমিদার এবং পেশাজীবীসহ ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের অধিকাংশ তাদের বাড়ি এক বা একাধিক পাঙ্খা দিয়ে সাজাত। বিশ শতকের প্রারম্ভে বৈদ্যুতিক পাখা ও এয়ারকুলারের প্রচলন সত্ত্বেও ১৯৫০ ও তার পূর্বে অফিসসমূহে, সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিশেষত নিম্ন আদালতে ঝুলন্ত পাঙ্খার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। অনেক পুরানো প্রতিষ্ঠিত পরিবার আজও প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে এককালের যথেষ্ট মর্যাদাবান পাঙ্খা সংরক্ষণ করছে।  [সিরাজুল ইসলাম]