পশ্চিমবঙ্গ

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৬:৪১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গ ভারত প্রজাতন্ত্রের একটি প্রদেশ। গুপ্তযুগ থেকে সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক দিয়ে বঙ্গদেশ একটি স্বতন্ত্র রাজ্য হিসেবে গড়ে উঠতে থাকে। ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথমদিক থেকে মুসলিম শাসকদের অধীনে এই প্রক্রিয়া দ্রুততর হয়। মুসলিম শাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে স্থানীয় ক্ষুদ্র রাজ্যগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে আসে। নবাবদের শাসনামলেই সুবা-ই-বাংলা সর্বাধিক সংগঠিত হয়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে বাংলা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে আরও সুসংহত হয়। ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগঠন প্রক্রিয়ার মোকাবেলায় বাঙালি বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় বিকল্প রাষ্ট্রীয় চিন্তার উন্মেষ ঘটান। ব্রিটিশ সরকার এ ধারণাকে তাদের বৃহত্তর সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্যের প্রতি বাধাস্বরূপ মনে করে। সাম্রাজ্যবাদী উদ্দেশ্যে ১৯০৫ সালে বাংলাকে মুসলিম কর্তৃত্বাধীন পূর্ববঙ্গ ও আসাম এবং হিন্দু কর্তৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ, এ দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। কিন্তু জাতীয়তাবাদী কংগ্রেসের প্রবল প্রতিরোধের মুখে ১৯১২ সালে বঙ্গবিভাগ রদ করা হয়। এ পদক্ষেপ দুই সম্প্রদায়ের সম্পর্ক তিক্ত করে তোলে, যার ফলস্বরূপ মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের উদ্ভব ঘটে এবং পরিশেষে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে বাংলা বিভক্ত হয়ে যায় (১৯৪৭)। এরূপে বাংলার দুই অংশ দুই স্বাধীন দেশ ভারত ও পাকিস্তানের অংশে পরিণত হয়। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের পরিলেখ নিম্নরূপ:

আয়তন : ৮৮,৭৫২ বর্গ কিলোমিটার
রাজধানী : কলকাতা
প্রশাসনিক একক : ১৮
জনসংখ্যা : ৬,৮০,৭৭,৯৬৫
শহরের জনসংখ্যা : ২৭.৪৮%
সাক্ষরতা : ৫৭.৭%
সরকার পদ্ধতি : সংসদীয়

বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রয়েছে আন্তর্জাতিক সীমারেখা। বাংলার সঙ্গে রয়েছে ভারতের উড়িষ্যা, বিহার, সিকিম ও আসামের সীমানা। পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম নগরী কলকাতা, আসানসোল, দুর্গাপুর ও শিলিগুড়ি। অন্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং, খড়গপুর ও হলদিয়া। বন্দর ও রাজধানী নগরী কলকাতা এখন বিশ্বের বৃহত্তম নগরগুলোর অন্যতম। পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় শাসন পদ্ধতি পঞ্চায়েত ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এই পদ্ধতি প্রাচীন ও আধুনিক স্থানীয় শাসন পদ্ধতির সংমিশ্রণ।  [সিরাজুল ইসলাম]