পরশুরামের প্রাসাদ
পরশুরামের প্রাসাদ মহাস্থানগড় দুর্গনগরের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। মহাকালীর কুন্ড থেকে আনুমানিক ২০০ মিটার উত্তরে এই স্থানে স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী এ এলাকার শেষ হিন্দু রাজা পরশুরামের প্রাসাদ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। এখানে খননের (১৯৬১) ফলে পাল, মুসলিম ও ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের নানা সাংস্কৃতিক নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া গেছে। খননের নিম্নতর স্তরে পাল আমলের নানা ভবনের ধ্বংসাবশেষ, কিছু পোড়ামাটির নকশি পাতলা ইট (ফলক) এবং এ স্থানের মধ্যস্থলে কিছু ভবনের অবশেষ ও এই ভবনের বলে অনুমিত কিছু চমকদার মৃৎপাত্র পাওয়া গেছে। মৃৎপাত্রগুলি মুসলিম শাসনামলের। খনন এলাকার সর্বোচ্চ স্তরে আঠারো কিংবা উনিশ শতকের গোড়ার দিকে নির্মিত এক আবাস ভবনের সন্ধান পাওয়া গেছে। চারটি স্বতন্ত্র ব্লক বা অংশে বিভক্ত এ ভবনের মধ্যস্থলে একটি আঙিনা দেখা যায়। এসব নির্মাণ কাঠামো একটি আয়তাকার প্রাচীরে বেষ্টিত। এখানে প্রাপ্ত নানা নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে বিষ্ণুপটের একটি ভাঙা অংশ, বহুসংখ্যক উজ্জ্বল মৃৎপাত্র, কড়ি এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দুটি মুদ্রা। কাছেই একটি কূপ রয়েছে। জনসাধারণের কাছে এটি জীয়তকুন্ড নামে পরিচিত ও সম্ভবত তা পরশুরামের প্রাসাদের সঙ্গে সম্পর্কিত। [শফিকুল আলম]