পটুয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
পটুয়াদের একটি বড় অংশ  [[বেদে|বেদে]] সম্প্রদায়ভুক্ত। তাদের বিবাহাদি সামাজিক অনুষ্ঠান হিন্দু-মুসলিম রীতি অনুসারে হলেও মুসলমান বিবাহিত রমণী শাঁখা-সিঁদুর পরে। আদিবাসী, বিশেষ করে সাঁওতালদের মধ্যে পটচিত্রের প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। সাঁওতালদের একটি জনপ্রিয় পটের নাম চক্ষুদান। লোকধর্মে বিশ্বাসী সাধারণ মানুষ অনেক সময় পটুয়া এবং পট-চিত্রকে ঝাড়ফুঁকের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে থাকে।  [আনোয়ারুল করীম]
পটুয়াদের একটি বড় অংশ  [[বেদে|বেদে]] সম্প্রদায়ভুক্ত। তাদের বিবাহাদি সামাজিক অনুষ্ঠান হিন্দু-মুসলিম রীতি অনুসারে হলেও মুসলমান বিবাহিত রমণী শাঁখা-সিঁদুর পরে। আদিবাসী, বিশেষ করে সাঁওতালদের মধ্যে পটচিত্রের প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। সাঁওতালদের একটি জনপ্রিয় পটের নাম চক্ষুদান। লোকধর্মে বিশ্বাসী সাধারণ মানুষ অনেক সময় পটুয়া এবং পট-চিত্রকে ঝাড়ফুঁকের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে থাকে।  [আনোয়ারুল করীম]


''আরও দেখুন'' গাজীর পট; পটচিত্র; পটুয়া সঙ্গীত।
''আরও দেখুন'' [[গাজীর পট|গাজীর পট]]; [[পটচিত্র|পটচিত্র]]; [[পটুয়া সঙ্গীত|পটুয়া সঙ্গীত]]
 
[[en:Patua]]
 
[[en:Patua]]


[[en:Patua]]
[[en:Patua]]

১১:০০, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পটুয়া লোকচিত্রকর। সমাজের নিম্ন শ্রেণীভুক্ত হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের এসব শিল্পীর চিত্রকলা  পটচিত্র নামে পরিচিত। পটচিত্র হচ্ছে একখন্ড কাপড়ের উপর হিন্দু দেবদেবী বা মুসলিম পীর-ফকিরদের বিচিত্র কাহিনী-সম্বলিত চিত্র। এই পটচিত্রের শিল্পীদেরই বলা হয় পটুয়া।

পটুয়ারা অনেকে সঙ্গীত সহযোগে পটচিত্র দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা গানের তালে তালে দর্শক-শ্রোতাদের পটচিত্রের আখ্যানভাগ বুঝিয়ে দেয়। যশোর ও খুলনা অঞ্চলে পটুয়াদের ‘গাইন’ নামে অভিহিত করা হয়। অতীতে ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী এবং দিনাজপুর অঞ্চলে পটুয়ারা বসবাস করত। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পটভুমিতে দেশবিভাগের পর অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গে চলে যায়। যারা থেকে যায় তাদের পেশায়ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ভাটা পড়ে। বর্তমানে নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, খুলনা, যশোর ও জামালপুর অঞ্চলে কদাচিৎ দুএকজন পটুয়া বা গাইন শ্রেণীর শিল্পীর সাক্ষাৎ মেলে। পটুয়ারা বিভিন্ন মেলা, ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠান এবং গ্রামে-গঞ্জে পটচিত্র বিক্রয় করে। হিন্দুদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন দেবদেবীর পট পূজা-অর্চনার জন্য সংরক্ষণ করে।

পটুয়াদের একটি বড় অংশ  বেদে সম্প্রদায়ভুক্ত। তাদের বিবাহাদি সামাজিক অনুষ্ঠান হিন্দু-মুসলিম রীতি অনুসারে হলেও মুসলমান বিবাহিত রমণী শাঁখা-সিঁদুর পরে। আদিবাসী, বিশেষ করে সাঁওতালদের মধ্যে পটচিত্রের প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। সাঁওতালদের একটি জনপ্রিয় পটের নাম চক্ষুদান। লোকধর্মে বিশ্বাসী সাধারণ মানুষ অনেক সময় পটুয়া এবং পট-চিত্রকে ঝাড়ফুঁকের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে থাকে।  [আনোয়ারুল করীম]

আরও দেখুন গাজীর পট; পটচিত্র; পটুয়া সঙ্গীত