নুন, মালিক ফিরোজ খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(fix: tag)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''নুন, মালিক ফিরোজ খান''' (১৮৯৩-১৯৭০)  আইনজীবি, লেখক ও রাজনীতিক। জন্ম ১৮৯৩ সালের ৭ মে। লাহোর এচিসন কলেজে অধ্যয়নের পর তিনি ১৯১২ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে লন্ডন যান। তিনি অক্সফোর্ডের ওয়াধাম কলেজে পড়াশুনা করেন এবং ১৯১৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ ডিগ্রি লাভ করেন। লন্ডনের ইনার টেম্পল থেকে তিনি ব্যারিস্টারি পাস করেন। প্রথমে তিনি সারগোদায় (পাকিস্তান) আইন ব্যবসা শুরু করেন (১৯১৭) এবং পরে লাহোর হাইকোর্টে যোগ দেন।
[[Image:NoonMalikFirozKhan.jpg|thumb|400px|মালিক ফিরোজ খান নুন]]
'''নুন, মালিক ফিরোজ খান''' (১৮৯৩-১৯৭০)  আইনজীবি, লেখক ও রাজনীতিক। জন্ম ১৮৯৩ সালের ৭ মে। লাহোর এচিসন কলেজে অধ্যয়নের পর তিনি ১৯১২ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে লন্ডন যান। তিনি অক্সফোর্ডের ওয়াধাম কলেজে পড়াশুনা করেন এবং ১৯১৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। লন্ডনের ইনার টেম্পল থেকে তিনি ব্যারিস্টারি পাস করেন। প্রথমে তিনি সারগোদায় (পাকিস্তান) আইন ব্যবসা শুরু করেন (১৯১৭) এবং পরে লাহোর হাইকোর্টে যোগ দেন।


ফিরোজ খান নুন ১৯২১ সালে শাহপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে পাঞ্জাব আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯২৭ সালে পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন এবং পরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনার ছিলেন (১৯৩৬-১৯৪১)। তিনি ভাইসরয়ের নির্বাহি কাউন্সিলে প্রথমে শ্রম সদস্য (১৯৪১-১৯৪২) এবং পরে প্রতিরক্ষা সদস্য (১৯৪২-১৯৪৫) ছিলেন। এরপর তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। তিনি পাকিস্তানের প্রথম ও দ্বিতীয় সংবিধান কমিটির সদস্য ছিলেন (১৯৪৭ ও ১৯৫৫)।  
ফিরোজ খান নুন ১৯২১ সালে শাহপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে পাঞ্জাব আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯২৭ সালে পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন এবং পরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনার ছিলেন (১৯৩৬-১৯৪১)। তিনি ভাইসরয়ের নির্বাহি কাউন্সিলে প্রথমে শ্রম সদস্য (১৯৪১-১৯৪২) এবং পরে প্রতিরক্ষা সদস্য (১৯৪২-১৯৪৫) ছিলেন। এরপর তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। তিনি পাকিস্তানের প্রথম ও দ্বিতীয় সংবিধান কমিটির সদস্য ছিলেন (১৯৪৭ ও ১৯৫৫)।  
৯ নং লাইন: ১০ নং লাইন:


ফিরোজ খান নুন কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো কানাডা অ্যান্ড ইন্ডিয়া (১৯৩৯), উইজডম ফ্রম ফুলস্ (১৯৪০), ইলাস্ট্রেটেড ইন্ডিয়া (১৯৪০), সেন্টেড ডাস্ট (১৯৪১) এবং ফ্রম মেমোরি (১৯৬৬)।
ফিরোজ খান নুন কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো কানাডা অ্যান্ড ইন্ডিয়া (১৯৩৯), উইজডম ফ্রম ফুলস্ (১৯৪০), ইলাস্ট্রেটেড ইন্ডিয়া (১৯৪০), সেন্টেড ডাস্ট (১৯৪১) এবং ফ্রম মেমোরি (১৯৬৬)।
[[Image:NoonMalikFirozKhan.jpg|thumb|400px]]
#মালিক ফিরোজ খান নুন


তিনি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক কে সি আই ই (১৯৩৭), কে সি এস আই (১৯৪১) এবং নাইট খেতাবে ভূষিত হন। তিনি কানাডার টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনারারি ডিগ্রি ‘ডক্টর অব লজ’ লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি নাইট ব্যাচেলর, অ্যাসোসিয়েট নাইট ইন দি অর্ডার অব সেন্ট জন অব জেরুসালেম, নাইট কমান্ডার অব দি ইন্ডিয়ান এম্পায়ার এবং নাইট কমান্ডার অফ দি স্টার অব ইন্ডিয়া খেতাব লাভ করেন। তাঁর স্ত্রী ভিকারুন্নেসা নুন ঢাকায় ১৯৫২ সালে ভিকারুন্নেসা নুন প্রিপারেটরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন (বর্তমান ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল ও কলেজ)।  
তিনি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক কে সি আই ই (১৯৩৭), কে সি এস আই (১৯৪১) এবং নাইট খেতাবে ভূষিত হন। তিনি কানাডার টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনারারি ডিগ্রি ‘ডক্টর অব লজ’ লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি নাইট ব্যাচেলর, অ্যাসোসিয়েট নাইট ইন দি অর্ডার অব সেন্ট জন অব জেরুসালেম, নাইট কমান্ডার অব দি ইন্ডিয়ান এম্পায়ার এবং নাইট কমান্ডার অফ দি স্টার অব ইন্ডিয়া খেতাব লাভ করেন। তাঁর স্ত্রী ভিকারুন্নেসা নুন ঢাকায় ১৯৫২ সালে ভিকারুন্নেসা নুন প্রিপারেটরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন (বর্তমান ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল ও কলেজ)।  


ফিরোজ খান নুন ১৯৭০ সালের ৯ ডিসেম্বর সারগোদায় মৃত্যুবরণ করেন।  [আবু জাফর]
ফিরোজ খান নুন ১৯৭০ সালের ৯ ডিসেম্বর সারগোদায় মৃত্যুবরণ করেন।  [আবু জাফর]
__NOTOC__
<!-- imported from file: 102951.html-->


[[en:Noon, Malik Firoz Khan]]
[[en:Noon, Malik Firoz Khan]]

১০:১৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মালিক ফিরোজ খান নুন

নুন, মালিক ফিরোজ খান (১৮৯৩-১৯৭০)  আইনজীবি, লেখক ও রাজনীতিক। জন্ম ১৮৯৩ সালের ৭ মে। লাহোর এচিসন কলেজে অধ্যয়নের পর তিনি ১৯১২ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে লন্ডন যান। তিনি অক্সফোর্ডের ওয়াধাম কলেজে পড়াশুনা করেন এবং ১৯১৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। লন্ডনের ইনার টেম্পল থেকে তিনি ব্যারিস্টারি পাস করেন। প্রথমে তিনি সারগোদায় (পাকিস্তান) আইন ব্যবসা শুরু করেন (১৯১৭) এবং পরে লাহোর হাইকোর্টে যোগ দেন।

ফিরোজ খান নুন ১৯২১ সালে শাহপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে পাঞ্জাব আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯২৭ সালে পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন এবং পরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনার ছিলেন (১৯৩৬-১৯৪১)। তিনি ভাইসরয়ের নির্বাহি কাউন্সিলে প্রথমে শ্রম সদস্য (১৯৪১-১৯৪২) এবং পরে প্রতিরক্ষা সদস্য (১৯৪২-১৯৪৫) ছিলেন। এরপর তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। তিনি পাকিস্তানের প্রথম ও দ্বিতীয় সংবিধান কমিটির সদস্য ছিলেন (১৯৪৭ ও ১৯৫৫)।

ফিরোজ খান ১৯৫০ সালে পূর্ববঙ্গের গভর্নর নিযুক্ত হন এবং ৫ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করেন। পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি ১৯৫৩ সালের ২৬ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করেন। তাঁর সময়ে  ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার দাবিতে ঢাকার ছাত্র মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে এবং এতে কয়েকজন ছাত্র শহীদ হন।

১৯৫৬ সালে নুন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ১৯৫৭ সালে প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর সামরিক আইন জারি হলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন।

ফিরোজ খান নুন কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো কানাডা অ্যান্ড ইন্ডিয়া (১৯৩৯), উইজডম ফ্রম ফুলস্ (১৯৪০), ইলাস্ট্রেটেড ইন্ডিয়া (১৯৪০), সেন্টেড ডাস্ট (১৯৪১) এবং ফ্রম মেমোরি (১৯৬৬)।

তিনি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক কে সি আই ই (১৯৩৭), কে সি এস আই (১৯৪১) এবং নাইট খেতাবে ভূষিত হন। তিনি কানাডার টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনারারি ডিগ্রি ‘ডক্টর অব লজ’ লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি নাইট ব্যাচেলর, অ্যাসোসিয়েট নাইট ইন দি অর্ডার অব সেন্ট জন অব জেরুসালেম, নাইট কমান্ডার অব দি ইন্ডিয়ান এম্পায়ার এবং নাইট কমান্ডার অফ দি স্টার অব ইন্ডিয়া খেতাব লাভ করেন। তাঁর স্ত্রী ভিকারুন্নেসা নুন ঢাকায় ১৯৫২ সালে ভিকারুন্নেসা নুন প্রিপারেটরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন (বর্তমান ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল ও কলেজ)।

ফিরোজ খান নুন ১৯৭০ সালের ৯ ডিসেম্বর সারগোদায় মৃত্যুবরণ করেন।  [আবু জাফর]