ধনবাড়ি মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''ধনবাড়ী মসজিদ''' টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে ধনপতি সিংহকে পরাজিত করে মুগল সেনাপতি ইস্পিঞ্জর খাঁ ও মনোয়ার খাঁ ধনবাড়ীতে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদ স্থাপনের কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বা কোনো [[শিলালিপি|শিলালিপি]] পাওয়া যায়নি। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদদের অভিমত সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে এটি নির্মিত হয়। মসজিদটি ধনবাড়ী নওবাব মঞ্জিলের বাইরে দিঘির পাড়ে অবস্থিত। মুগল স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত মসজিদটির আকার-অবয়বে বেশ কয়েকবার পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ লাগোয়া একটি মিনার রয়েছে। মসজিদটি প্রায় দশকাঠা জমির উপরে অবস্থিত। এর দৈর্ঘ্য ১৩.৭২ মিটার এবং প্রস্থ ৪.৫৭ মিটার। কিন্তু সংস্কারের পর মসজিদটির আকার পরিবর্তিত হয়ে যায়। বর্তমানে এটি একটি বর্গাকৃতির মসজিদ এবং সাধারণ তিনগম্বুজ বিশিষ্ট আয়তাকৃতির মুগল মসজিদের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। এ মসজিদের পূর্ব দিকে বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলানযুক্ত তিনটি প্রবেশপথ আছে। এ ছাড়া উত্তর ও দক্ষিণে আরও একটি করে দুটি প্রবেশপথ রয়েছে। ফলে মসজিদটিতে প্রবেশপথের মোট সংখ্যা পাঁচটি।  
'''ধনবাড়ী মসজিদ''' টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে ধনপতি সিংহকে পরাজিত করে মুগল সেনাপতি ইস্পিঞ্জর খাঁ ও মনোয়ার খাঁ ধনবাড়ীতে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদ স্থাপনের কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বা কোনো [[শিলালিপি|শিলালিপি]] পাওয়া যায়নি। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদদের অভিমত সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে এটি নির্মিত হয়। মসজিদটি ধনবাড়ী নওবাব মঞ্জিলের বাইরে দিঘির পাড়ে অবস্থিত। মুগল স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত মসজিদটির আকার-অবয়বে বেশ কয়েকবার পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ লাগোয়া একটি মিনার রয়েছে। মসজিদটি প্রায় দশকাঠা জমির উপরে অবস্থিত। এর দৈর্ঘ্য ১৩.৭২ মিটার এবং প্রস্থ ৪.৫৭ মিটার। কিন্তু সংস্কারের পর মসজিদটির আকার পরিবর্তিত হয়ে যায়। বর্তমানে এটি একটি বর্গাকৃতির মসজিদ এবং সাধারণ তিনগম্বুজ বিশিষ্ট আয়তাকৃতির মুগল মসজিদের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। এ মসজিদের পূর্ব দিকে বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলানযুক্ত তিনটি প্রবেশপথ আছে। এ ছাড়া উত্তর ও দক্ষিণে আরও একটি করে দুটি প্রবেশপথ রয়েছে। ফলে মসজিদটিতে প্রবেশপথের মোট সংখ্যা পাঁচটি।  


মসজিদটি বর্ধিতকরণ ও সংস্কার সাধনের পরেও এর উপরস্থ তিনটি গম্বুজ ও পাঁচটি প্রবেশপথে প্রাচীনত্বের ছাপ লক্ষ করা যায়। প্রচলিত নিয়মে এ মসজিদের পূর্বদিকের তিনটি প্রবেশপথ বরাবর এর অভ্যন্তরে কিবলাদেয়ালে তিনটি মিহরাব নির্মিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মিহরাবের কুলুঙ্গিটি অষ্টভূজাকার ও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলান সহযোগে ফুলের নক্শায় অলঙ্কৃত। উভয় পার্শ্বের দুটিও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলানযোগে গঠিত তবে অলঙ্কারহীন। কেন্দ্রীয় মিহরাবের পার্শ্বে একটি মিম্বার রয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরভাগ সর্বত্র চীনামাটির টুকরা দ্বারা মোজাইক নক্শায় অলঙ্কৃত, যার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফুলের নক্শা লক্ষণীয়।মসজিদ সংলগ্ন অর্ধ বিঘা আয়তনের অনুচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত একটি প্রাচীন কবরস্থান রয়েছে।#[[Image:ধনবাড়ি মসজিদ_html_88407781.png]]
[[Image:DhanbariMosque.jpg|thumb|400px|right|ধনবাড়ী মসজিদ]]
মসজিদটি বর্ধিতকরণ ও সংস্কার সাধনের পরেও এর উপরস্থ তিনটি গম্বুজ ও পাঁচটি প্রবেশপথে প্রাচীনত্বের ছাপ লক্ষ করা যায়। প্রচলিত নিয়মে এ মসজিদের পূর্বদিকের তিনটি প্রবেশপথ বরাবর এর অভ্যন্তরে কিবলাদেয়ালে তিনটি মিহরাব নির্মিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মিহরাবের কুলুঙ্গিটি অষ্টভূজাকার ও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলান সহযোগে ফুলের নক্শায় অলঙ্কৃত। উভয় পার্শ্বের দুটিও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলানযোগে গঠিত তবে অলঙ্কারহীন। কেন্দ্রীয় মিহরাবের পার্শ্বে একটি মিম্বার রয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরভাগ সর্বত্র চীনামাটির টুকরা দ্বারা মোজাইক নক্শায় অলঙ্কৃত, যার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফুলের নক্শা লক্ষণীয়।মসজিদ সংলগ্ন অর্ধ বিঘা আয়তনের অনুচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত একটি প্রাচীন কবরস্থান রয়েছে।


[[Image:DhanbariMosque.jpg]]
প্রায় একশত বছর পূর্বে ধনবাড়ীর জমিদার নওয়াব আলী চৌধুরী (১৮৬৩-১৯২৯) মসজিদটির সম্প্রসারণ করে আধুনিক রূপ দেন। এ মসজিদে একসঙ্গে ২০০ জন মুসুল্লী নামায আদায় করতে পারে।  [খান মাহবুব]
 
#ধনবাড়ী মসজিদ
 
প্রায় একশত বছর পূর্বে ধনবাড়ীর জমিদার নওয়াব আলী চৌধুরী (১৮৬৩-১৯২৯) মসজিদটির সম্প্রসারণ করে আধুনিক রূপ দেন। এ মসজিদে একসঙ্গে ২০০ জন মুসুল্লী নামায আদায় করতে পারে।  [খান মাহবুব]'' ''
 
<!-- imported from file: ধনবাড়ি মসজিদ.html-->
 
[[en:Dhanbari Mosque]]


[[en:Dhanbari Mosque]]
[[en:Dhanbari Mosque]]

০৮:২৬, ২০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ধনবাড়ী মসজিদ টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে ধনপতি সিংহকে পরাজিত করে মুগল সেনাপতি ইস্পিঞ্জর খাঁ ও মনোয়ার খাঁ ধনবাড়ীতে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদ স্থাপনের কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বা কোনো শিলালিপি পাওয়া যায়নি। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদদের অভিমত সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে এটি নির্মিত হয়। মসজিদটি ধনবাড়ী নওবাব মঞ্জিলের বাইরে দিঘির পাড়ে অবস্থিত। মুগল স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত মসজিদটির আকার-অবয়বে বেশ কয়েকবার পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ লাগোয়া একটি মিনার রয়েছে। মসজিদটি প্রায় দশকাঠা জমির উপরে অবস্থিত। এর দৈর্ঘ্য ১৩.৭২ মিটার এবং প্রস্থ ৪.৫৭ মিটার। কিন্তু সংস্কারের পর মসজিদটির আকার পরিবর্তিত হয়ে যায়। বর্তমানে এটি একটি বর্গাকৃতির মসজিদ এবং সাধারণ তিনগম্বুজ বিশিষ্ট আয়তাকৃতির মুগল মসজিদের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। এ মসজিদের পূর্ব দিকে বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলানযুক্ত তিনটি প্রবেশপথ আছে। এ ছাড়া উত্তর ও দক্ষিণে আরও একটি করে দুটি প্রবেশপথ রয়েছে। ফলে মসজিদটিতে প্রবেশপথের মোট সংখ্যা পাঁচটি।

ধনবাড়ী মসজিদ

মসজিদটি বর্ধিতকরণ ও সংস্কার সাধনের পরেও এর উপরস্থ তিনটি গম্বুজ ও পাঁচটি প্রবেশপথে প্রাচীনত্বের ছাপ লক্ষ করা যায়। প্রচলিত নিয়মে এ মসজিদের পূর্বদিকের তিনটি প্রবেশপথ বরাবর এর অভ্যন্তরে কিবলাদেয়ালে তিনটি মিহরাব নির্মিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মিহরাবের কুলুঙ্গিটি অষ্টভূজাকার ও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলান সহযোগে ফুলের নক্শায় অলঙ্কৃত। উভয় পার্শ্বের দুটিও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলানযোগে গঠিত তবে অলঙ্কারহীন। কেন্দ্রীয় মিহরাবের পার্শ্বে একটি মিম্বার রয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরভাগ সর্বত্র চীনামাটির টুকরা দ্বারা মোজাইক নক্শায় অলঙ্কৃত, যার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফুলের নক্শা লক্ষণীয়।মসজিদ সংলগ্ন অর্ধ বিঘা আয়তনের অনুচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত একটি প্রাচীন কবরস্থান রয়েছে।

প্রায় একশত বছর পূর্বে ধনবাড়ীর জমিদার নওয়াব আলী চৌধুরী (১৮৬৩-১৯২৯) মসজিদটির সম্প্রসারণ করে আধুনিক রূপ দেন। এ মসজিদে একসঙ্গে ২০০ জন মুসুল্লী নামায আদায় করতে পারে।  [খান মাহবুব]