দেবী, প্রিয়ম্বদা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''দেবী'''''', ''''''প্রিয়ম্বদা''' (১৮৭১-১৯৩৫)''' ''' সাহিত্যিক, সমাজসেবক। মাতামহের কর্মক্ষেত্র পাবনার গুনাইগাছায় তাঁর জন্ম। পিতা কৃষ্ণকুমার বাগচী।  [[১০১৮৪৪|আশুতোষ চৌধুরী]] ও  [[১০১৮৫৯|প্রমথ চৌধুরী]] তাঁর মাতুল।
'''দেবী, প্রিয়ম্বদা''' (১৮৭১-১৯৩৫) সাহিত্যিক, সমাজসেবক। মাতামহের কর্মক্ষেত্র পাবনার গুনাইগাছায় তাঁর জন্ম। পিতা কৃষ্ণকুমার বাগচী।  [[চৌধুরী, আশুতোষ|আশুতোষ চৌধুরী]] ও  [[চৌধুরী, প্রমথ|প্রমথ চৌধুরী]] তাঁর মাতুল।


প্রিয়ম্বদা কলকাতার বেথুন স্কুল থেকে এন্ট্রান্স (১৮৮৮) এবং  [[১০৪১৬৬|বেথুন কলেজ]] থেকে এফএ (১৮৯০) ও বিএ (১৮৯২) পাস করেন। ১৮৯২ সালে মধ্যপ্রদেশ নিবাসী আইনজীবী তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র তিন বছর পরে (১৮৯৫) তিনি বিধবা হন এবং ১৯০৬ সালে তাঁর একমাত্র পুত্রসন্তান মারা যায়। পরে তিনি সমাজসেবা ও কাব্যচর্চায় আত্মনিয়োগ করেন।
প্রিয়ম্বদা কলকাতার বেথুন স্কুল থেকে এন্ট্রান্স (১৮৮৮) এবং  [[বেথুন কলেজ|বেথুন কলেজ]] থেকে এফ.এ (১৮৯০) ও বি.এ (১৮৯২) পাস করেন। ১৮৯২ সালে মধ্যপ্রদেশ নিবাসী আইনজীবী তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র তিন বছর পরে (১৮৯৫) তিনি বিধবা হন এবং ১৯০৬ সালে তাঁর একমাত্র পুত্রসন্তান মারা যায়। পরে তিনি সমাজসেবা ও কাব্যচর্চায় আত্মনিয়োগ করেন।


১৯১৫ সালে প্রিয়ম্বদা ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। নারী শিক্ষার প্রসারে বহু মহিলা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন এবং দীর্ঘকাল ভারত-স্ত্রী-মহামন্ডলের প্রধান ছিলেন। ভাসের  [[১০৫৭৬১|সংস্কৃত]] নাটক স্বপ্নবাসবদত্ত এবং ভক্তবাণী নামে বাইবেলের কিছু অনুবাদ করে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। জাপানের গেইশা রমণীদের জীবনী নিয়ে লেখা তাঁর বড় গল্প ‘রেণুকা’ একটি উল্লেখযোগ্য রচনা। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ: রেণু (১৯০০),'' ''তারা (১৯০৭), পত্রলেখা (১৯১১), অংশু (১৯২৭), চম্পা ও পারুল (১৯৩৯);'' ''অন্যান্য গ্রন্থ কথা ও উপকথা (১৯২৩), পঞ্চুলাল (১৯২৩), ঝিলেজঙ্গলে শিকার (১৯২৪), অনাথ (১৯৩৫) ইত্যাদি। তাঁর লেখায় দুঃখবাদের সুর আছে। সাহিত্যচর্চায় তিনি রবীন্দ্রনাথের সহযোগিতা লাভ করেন। ১৩৪১ বঙ্গাব্দের (১৯৩৫) ফাল্গুন মাসে প্রিয়ম্বদা দেবী পরলোক গমন করেন।  [সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]
১৯১৫ সালে প্রিয়ম্বদা ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। নারী শিক্ষার প্রসারে বহু মহিলা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন এবং দীর্ঘকাল ভারত-স্ত্রী-মহামন্ডলের প্রধান ছিলেন। ভাসের  [[সংস্কৃত|সংস্কৃত]] নাটক স্বপ্নবাসবদত্ত এবং ভক্তবাণী নামে বাইবেলের কিছু অনুবাদ করে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। জাপানের গেইশা রমণীদের জীবনী নিয়ে লেখা তাঁর বড় গল্প ‘রেণুকা’ একটি উল্লেখযোগ্য রচনা। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ: রেণু (১৯০০), তারা (১৯০৭), পত্রলেখা (১৯১১), অংশু (১৯২৭), চম্পা ও পারুল (১৯৩৯); ''অন্যান্য গ্রন্থ কথা ও উপকথা (১৯২৩), পঞ্চুলাল (১৯২৩), ঝিলেজঙ্গলে শিকার (১৯২৪), অনাথ (১৯৩৫) ইত্যাদি। তাঁর লেখায় দুঃখবাদের সুর আছে। সাহিত্যচর্চায় তিনি রবীন্দ্রনাথের সহযোগিতা লাভ করেন। ১৩৪১ বঙ্গাব্দের (১৯৩৫) ফাল্গুন মাসে প্রিয়ম্বদা দেবী পরলোক গমন করেন।  [সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]
 
<!-- imported from file: দেবী, প্রিয়ম্বদা.html-->
 
[[en:Devi, Priyamvada]]


[[en:Devi, Priyamvada]]
[[en:Devi, Priyamvada]]

০৯:২০, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দেবী, প্রিয়ম্বদা (১৮৭১-১৯৩৫) সাহিত্যিক, সমাজসেবক। মাতামহের কর্মক্ষেত্র পাবনার গুনাইগাছায় তাঁর জন্ম। পিতা কৃষ্ণকুমার বাগচী।  আশুতোষ চৌধুরী ও  প্রমথ চৌধুরী তাঁর মাতুল।

প্রিয়ম্বদা কলকাতার বেথুন স্কুল থেকে এন্ট্রান্স (১৮৮৮) এবং  বেথুন কলেজ থেকে এফ.এ (১৮৯০) ও বি.এ (১৮৯২) পাস করেন। ১৮৯২ সালে মধ্যপ্রদেশ নিবাসী আইনজীবী তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র তিন বছর পরে (১৮৯৫) তিনি বিধবা হন এবং ১৯০৬ সালে তাঁর একমাত্র পুত্রসন্তান মারা যায়। পরে তিনি সমাজসেবা ও কাব্যচর্চায় আত্মনিয়োগ করেন।

১৯১৫ সালে প্রিয়ম্বদা ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। নারী শিক্ষার প্রসারে বহু মহিলা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন এবং দীর্ঘকাল ভারত-স্ত্রী-মহামন্ডলের প্রধান ছিলেন। ভাসের  সংস্কৃত নাটক স্বপ্নবাসবদত্ত এবং ভক্তবাণী নামে বাইবেলের কিছু অনুবাদ করে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। জাপানের গেইশা রমণীদের জীবনী নিয়ে লেখা তাঁর বড় গল্প ‘রেণুকা’ একটি উল্লেখযোগ্য রচনা। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ: রেণু (১৯০০), তারা (১৯০৭), পত্রলেখা (১৯১১), অংশু (১৯২৭), চম্পা ও পারুল (১৯৩৯); অন্যান্য গ্রন্থ কথা ও উপকথা (১৯২৩), পঞ্চুলাল (১৯২৩), ঝিলেজঙ্গলে শিকার (১৯২৪), অনাথ (১৯৩৫) ইত্যাদি। তাঁর লেখায় দুঃখবাদের সুর আছে। সাহিত্যচর্চায় তিনি রবীন্দ্রনাথের সহযোগিতা লাভ করেন। ১৩৪১ বঙ্গাব্দের (১৯৩৫) ফাল্গুন মাসে প্রিয়ম্বদা দেবী পরলোক গমন করেন।  [সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]