দালাল আইন, ১৯৭২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''দালাল আইন, ১৯৭২''' (কোলাবোরেটর্স ট্রাইব্যুনাল অর্ডার ১৯৭২) [[রাজাকার|রাজাকার]], [[আল-বদর|আল-বদর]], [[আল-শামস|আল-শামস]] এবং শান্তি কমিটির সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও পাকিস্তান ভাবাপন্ন পূর্ব পাকিস্তানিদের ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি জারিকৃত বাংলাদেশ কোলাবোরেটর্স ট্রাইব্যুনাল অর্ডার ১৯৭২-এর মাধ্যমে দালাল বা কোলাবোরেটর ঘোষণা করা হয়। এ অধ্যাদেশে বিবৃত সংজ্ঞানুসারে কোলাবোরেটর অর্থ সেইসব ব্যক্তি যারা (১) পাকিস্তানি বাহিনীকে বাংলাদেশে বেআইনি দখল টিকিয়ে রাখার কাজে সাহায্য, সহযোগিতা বা সমর্থন দান করেন; (২) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাকবাহিনীকে বস্ত্তগত সহযোগিতা প্রদান বা কোনো বক্তব্য চুক্তি ও কার্যাবলীর মাধ্যমে তাদের সাহায্য করেন; (৩) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন বা যুদ্ধের প্রয়াস চালান; (৪) পাকবাহিনীর অনুকূলে কোনো বিবৃতি প্রদান বা প্রচারণায় অংশ নেন, পাকবাহিনীর কোনো প্রতিনিধিদল বা কমিটির সদস্য হন এবং ১৯৭১ সালে আয়োজিত উপনির্বাচনে অংশ নেন।  
'''দালাল আইন, ১৯৭২''' (কোলাবোরেটর্স ট্রাইব্যুনাল অর্ডার ১৯৭২) [[রাজাকার|রাজাকার]], [[আল-বদর|আল-বদর]], [[আল-শামস|আল-শামস]] এবং শান্তি কমিটির সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও পাকিস্তান ভাবাপন্ন পূর্ব পাকিস্তানিদের ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি জারিকৃত বাংলাদেশ কোলাবোরেটর্স ট্রাইব্যুনাল অর্ডার ১৯৭২-এর মাধ্যমে দালাল বা কোলাবোরেটর ঘোষণা করা হয়। এ অধ্যাদেশে বিবৃত সংজ্ঞানুসারে কোলাবোরেটর অর্থ সেইসব ব্যক্তি যারা (১) পাকিস্তানি বাহিনীকে বাংলাদেশে বেআইনি দখল টিকিয়ে রাখার কাজে সাহায্য, সহযোগিতা বা সমর্থন দান করেন; (২) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাকবাহিনীকে বস্তুগত সহযোগিতা প্রদান বা কোনো বক্তব্য চুক্তি ও কার্যাবলীর মাধ্যমে তাদের সাহায্য করেন; (৩) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন বা যুদ্ধের প্রয়াস চালান; (৪) পাকবাহিনীর অনুকূলে কোনো বিবৃতি প্রদান বা প্রচারণায় অংশ নেন, পাকবাহিনীর কোনো প্রতিনিধিদল বা কমিটির সদস্য হন এবং ১৯৭১ সালে আয়োজিত উপনির্বাচনে অংশ নেন।  


যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কোলাবোরেটরদের বিচার করার ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও ১৯৭৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার দ্বিতীয় বিজয় বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী [[রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান]] এদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন।  [মুনতাসীর মামুন]
যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কোলাবোরেটরদের বিচার করার ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও ১৯৭৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার দ্বিতীয় বিজয় বার্ষিকীতে এদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। তবে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি অপরাধমূলক কাজে জড়িত ব্যক্তিদের এই সাধারণ ক্ষমার আওতাভুক্ত করা হয় নি।  [মুনতাসীর মামুন]


[[en:Collaborators Tribunal Order, 1972]]
[[en:Collaborators Tribunal Order, 1972]]

০৬:৫৪, ২৬ মে ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দালাল আইন, ১৯৭২ (কোলাবোরেটর্স ট্রাইব্যুনাল অর্ডার ১৯৭২) রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস এবং শান্তি কমিটির সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও পাকিস্তান ভাবাপন্ন পূর্ব পাকিস্তানিদের ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি জারিকৃত বাংলাদেশ কোলাবোরেটর্স ট্রাইব্যুনাল অর্ডার ১৯৭২-এর মাধ্যমে দালাল বা কোলাবোরেটর ঘোষণা করা হয়। এ অধ্যাদেশে বিবৃত সংজ্ঞানুসারে কোলাবোরেটর অর্থ সেইসব ব্যক্তি যারা (১) পাকিস্তানি বাহিনীকে বাংলাদেশে বেআইনি দখল টিকিয়ে রাখার কাজে সাহায্য, সহযোগিতা বা সমর্থন দান করেন; (২) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাকবাহিনীকে বস্তুগত সহযোগিতা প্রদান বা কোনো বক্তব্য চুক্তি ও কার্যাবলীর মাধ্যমে তাদের সাহায্য করেন; (৩) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন বা যুদ্ধের প্রয়াস চালান; (৪) পাকবাহিনীর অনুকূলে কোনো বিবৃতি প্রদান বা প্রচারণায় অংশ নেন, পাকবাহিনীর কোনো প্রতিনিধিদল বা কমিটির সদস্য হন এবং ১৯৭১ সালে আয়োজিত উপনির্বাচনে অংশ নেন।

যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কোলাবোরেটরদের বিচার করার ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও ১৯৭৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার দ্বিতীয় বিজয় বার্ষিকীতে এদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। তবে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি অপরাধমূলক কাজে জড়িত ব্যক্তিদের এই সাধারণ ক্ষমার আওতাভুক্ত করা হয় নি। [মুনতাসীর মামুন]