দক্ষিণেশ্বর মন্দির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''দক্ষিণেশ্বর মন্দির'''  কলকাতার দক্ষিণেশ্বরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত। কালীর (ভবতারিণী) উদ্দেশে নিবেদিত এ মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রামকৃষ্ণ পরমহংসের নাম। ঐতিহ্যগত নবরত্ন রীতিতে নির্মিত এ বর্গাকার মন্দিরটির প্রতিবাহুর দৈর্ঘ্য ১৪.২ মি এবং এর উচ্চতা প্রায় ৩০.৪৮ মি। এটি কলকাতার অন্যতম বৃহৎ মন্দির। অবয়বগত দিক থেকে পঞ্চরত্ন বা পাচঁটি শিখরবিশিষ্ট মন্দিরের তুলনায় নবরত্ন বা নয়টি শিখরবিশিষ্ট মন্দিরই বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।  
'''দক্ষিণেশ্বর মন্দির'''  কলকাতার দক্ষিণেশ্বরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত। কালীর (ভবতারিণী) উদ্দেশে নিবেদিত এ মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রামকৃষ্ণ পরমহংসের নাম। ঐতিহ্যগত নবরত্ন রীতিতে নির্মিত এ বর্গাকার মন্দিরটির প্রতিবাহুর দৈর্ঘ্য ১৪.২ মি এবং এর উচ্চতা প্রায় ৩০.৪৮ মি। এটি কলকাতার অন্যতম বৃহৎ মন্দির। অবয়বগত দিক থেকে পঞ্চরত্ন বা পাচঁটি শিখরবিশিষ্ট মন্দিরের তুলনায় নবরত্ন বা নয়টি শিখরবিশিষ্ট মন্দিরই বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।  


মন্দিরটি একটি বিশাল বিস্তৃত ইমারত। সিঁড়িযুক্ত একটি উঁচু বেদির উপর এটি অবস্থিত। দক্ষিণমুখী তিনতলাবিশিষ্ট এ মন্দিরের নয়টি মোচাকৃতি চূড়া আছে। এগুলিই উপরের দুটি তলা জুড়ে স্থাপিত। চূড়াগুলির ছাদ চমৎকার শিরাল পিড়ার মতো। মন্দির কক্ষের সংলগ্ন একটি অপ্রশস্ত আচ্ছাদিত বারান্দা দর্শকের কক্ষ হিসেবে ব্যবহূত হয়। মূল প্রার্থনা কক্ষে দেবী দক্ষিণা কালীর মূর্তি শিবের বুকের উপর দন্ডায়মান। মন্দিরের সামনে একটি দীর্ঘ ও প্রশস্ত নাটমন্দির (নাচঘর) আছে। এছাড়া এ মন্দির এলাকায় আরও কয়েকটি ছোট ছোট মন্দির রয়েছে। এ কালী মন্দিরের উত্তরে রাধাকৃষ্ণের দালান। কালী মন্দিরের পশ্চিমে হুগলি নদীর তীরে চাঁদনী স্নানঘাটের উভয় পার্শ্বে ছয়টি করে মোট বারোটি সারিবদ্ধ শিব মন্দির বাংলার আটচালা রীতিতে নির্মিত। #[[Image:দক্ষিণেশ্বর মন্দির_html_88407781.png]]
[[Image:DakshineswarTemple.jpg|right|400px|দক্ষিণেশ্বর মন্দির, কলকাতা]]
 
মন্দিরটি একটি বিশাল বিস্তৃত ইমারত। সিঁড়িযুক্ত একটি উঁচু বেদির উপর এটি অবস্থিত। দক্ষিণমুখী তিনতলাবিশিষ্ট এ মন্দিরের নয়টি মোচাকৃতি চূড়া আছে। এগুলিই উপরের দুটি তলা জুড়ে স্থাপিত। চূড়াগুলির ছাদ চমৎকার শিরাল পিড়ার মতো। মন্দির কক্ষের সংলগ্ন একটি অপ্রশস্ত আচ্ছাদিত বারান্দা দর্শকের কক্ষ হিসেবে ব্যবহূত হয়। মূল প্রার্থনা কক্ষে দেবী দক্ষিণা কালীর মূর্তি শিবের বুকের উপর দন্ডায়মান। মন্দিরের সামনে একটি দীর্ঘ ও প্রশস্ত নাটমন্দির (নাচঘর) আছে। এছাড়া এ মন্দির এলাকায় আরও কয়েকটি ছোট ছোট মন্দির রয়েছে। এ কালী মন্দিরের উত্তরে রাধাকৃষ্ণের দালান। কালী মন্দিরের পশ্চিমে হুগলি নদীর তীরে চাঁদনী স্নানঘাটের উভয় পার্শ্বে ছয়টি করে মোট বারোটি সারিবদ্ধ শিব মন্দির বাংলার আটচালা রীতিতে নির্মিত।
[[Image:DakshineswarTemple.jpg]]
 
#'''দক্ষিণেশ্বর মন্দির''', কলকাতা


মন্দির এলাকার উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিক ঘিরে আছে অতিথি কক্ষ এবং অফিস কক্ষসমূহের সারি। মূল কালী মন্দির এবং সংলগ্ন অন্যান্য মন্দিরে কোনো [[শিলালিপি|শিলালিপি]] নেই। পোড়ামাটির ফলক এ নির্মিত কয়েকটি ফুলেল নকশা আর মূল মন্দির ও নাটমন্দিরের গায়ে প্লাস্টার দিয়ে করা কিছু অলংকরণ ছাড়া এতে তেমন কোনো অলংকরণের চিহ্ন দেখা যায় না। কলকাতার জানবাজারের বিখ্যাত রাণী রাসমনি ১৮৫৫ সালে এ মন্দির কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করেন।  [প্রণব রায়]
মন্দির এলাকার উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিক ঘিরে আছে অতিথি কক্ষ এবং অফিস কক্ষসমূহের সারি। মূল কালী মন্দির এবং সংলগ্ন অন্যান্য মন্দিরে কোনো [[শিলালিপি|শিলালিপি]] নেই। পোড়ামাটির ফলক এ নির্মিত কয়েকটি ফুলেল নকশা আর মূল মন্দির ও নাটমন্দিরের গায়ে প্লাস্টার দিয়ে করা কিছু অলংকরণ ছাড়া এতে তেমন কোনো অলংকরণের চিহ্ন দেখা যায় না। কলকাতার জানবাজারের বিখ্যাত রাণী রাসমনি ১৮৫৫ সালে এ মন্দির কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করেন।  [প্রণব রায়]
<!-- imported from file: দক্ষিণেশ্বর মন্দির.html-->


[[en:Dakshineswar Temple]]
[[en:Dakshineswar Temple]]

০৯:২৫, ৬ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দক্ষিণেশ্বর মন্দির  কলকাতার দক্ষিণেশ্বরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত। কালীর (ভবতারিণী) উদ্দেশে নিবেদিত এ মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রামকৃষ্ণ পরমহংসের নাম। ঐতিহ্যগত নবরত্ন রীতিতে নির্মিত এ বর্গাকার মন্দিরটির প্রতিবাহুর দৈর্ঘ্য ১৪.২ মি এবং এর উচ্চতা প্রায় ৩০.৪৮ মি। এটি কলকাতার অন্যতম বৃহৎ মন্দির। অবয়বগত দিক থেকে পঞ্চরত্ন বা পাচঁটি শিখরবিশিষ্ট মন্দিরের তুলনায় নবরত্ন বা নয়টি শিখরবিশিষ্ট মন্দিরই বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।

দক্ষিণেশ্বর মন্দির, কলকাতা
দক্ষিণেশ্বর মন্দির, কলকাতা

মন্দিরটি একটি বিশাল বিস্তৃত ইমারত। সিঁড়িযুক্ত একটি উঁচু বেদির উপর এটি অবস্থিত। দক্ষিণমুখী তিনতলাবিশিষ্ট এ মন্দিরের নয়টি মোচাকৃতি চূড়া আছে। এগুলিই উপরের দুটি তলা জুড়ে স্থাপিত। চূড়াগুলির ছাদ চমৎকার শিরাল পিড়ার মতো। মন্দির কক্ষের সংলগ্ন একটি অপ্রশস্ত আচ্ছাদিত বারান্দা দর্শকের কক্ষ হিসেবে ব্যবহূত হয়। মূল প্রার্থনা কক্ষে দেবী দক্ষিণা কালীর মূর্তি শিবের বুকের উপর দন্ডায়মান। মন্দিরের সামনে একটি দীর্ঘ ও প্রশস্ত নাটমন্দির (নাচঘর) আছে। এছাড়া এ মন্দির এলাকায় আরও কয়েকটি ছোট ছোট মন্দির রয়েছে। এ কালী মন্দিরের উত্তরে রাধাকৃষ্ণের দালান। কালী মন্দিরের পশ্চিমে হুগলি নদীর তীরে চাঁদনী স্নানঘাটের উভয় পার্শ্বে ছয়টি করে মোট বারোটি সারিবদ্ধ শিব মন্দির বাংলার আটচালা রীতিতে নির্মিত।

মন্দির এলাকার উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিক ঘিরে আছে অতিথি কক্ষ এবং অফিস কক্ষসমূহের সারি। মূল কালী মন্দির এবং সংলগ্ন অন্যান্য মন্দিরে কোনো শিলালিপি নেই। পোড়ামাটির ফলক এ নির্মিত কয়েকটি ফুলেল নকশা আর মূল মন্দির ও নাটমন্দিরের গায়ে প্লাস্টার দিয়ে করা কিছু অলংকরণ ছাড়া এতে তেমন কোনো অলংকরণের চিহ্ন দেখা যায় না। কলকাতার জানবাজারের বিখ্যাত রাণী রাসমনি ১৮৫৫ সালে এ মন্দির কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করেন।  [প্রণব রায়]