ত্রিপুরা হাই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''ত্রিপুরা হাই''' (Tripura High)  ত্রিপুরা হাই ত্রিপুরার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের তুলনায় ত্রিপুরার অভ্যন্তরে বৃহত্তর মহাকর্ষ জরিপ (gravity survey) উপাত্ত নির্দেশ করে। সাধারণত পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অধিকতর মহাকর্ষীয় ব্যতয়মূলক (anomaly) কোনো অঞ্চলকে বুঝাতে মহাকর্ষ জরিপ তথ্য ব্যবহূত হয়। বঙ্গীয় অববাহিকা (Bengal Basin) উত্থান ও অবনমন সৃষ্টিকারী বিভেদক বিচলনবিশিষ্ট (differential movement) কয়েকটি ভূত্বকীয় ব্লকে বিভক্ত। বৃহত্তর অংশ বাংলাদেশ ভূখন্ডের বাইরে এবং ত্রিপুরা পাহাড়ের অন্তর্গত উত্তর-দক্ষিণ প্রবণ ত্রিপুরা পাহাড় ও ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম বলিত বলয়ের মধ্যভাগে অবস্থিত। এ বলিত বলয় বঙ্গীয় অববাহিকার পূর্বসীমান্ত। আঞ্চলিক অভিকর্ষ জরিপে ত্রিপুরা অঞ্চলে একটি ভিত্তিস্তর পরিদৃষ্ট হয়েছে। কিন্তু প্রকাশিত ওই জরিপে বিস্তারিত কোনো ভূ-বিজ্ঞানগত তথ্য-উপাত্ত নেই যা দিয়ে এর গঠনতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যাদি সম্পর্কে অনুমান করা যায়। ত্রিপুরা হাইয়ের উত্তরে সুরমা অববাহিকা আর দক্ষিণে হাতিয়া খাদ (trough) অবস্থিত। এর সম্মুখভাগ গঠনকারী কিছুসংখ্যক উত্তলভঙ্গ (anticline) বাংলাদেশ ভূখন্ডে পড়েছে। পশ্চিম থেকে পূর্বদিক বরাবর এ উত্তলভঙ্গসমূহ হচ্ছে হবিগঞ্জ, রশিদপুর মৌলভীবাজার,    বাচিয়া ও হারারগঞ্জ।  [এ.কে.এম খোরশেদ আলম]
'''ত্রিপুরা হাই''' (Tripura High)  ত্রিপুরা হাই ত্রিপুরার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের তুলনায় ত্রিপুরার অভ্যন্তরে বৃহত্তর মহাকর্ষ জরিপ (gravity survey) উপাত্ত নির্দেশ করে। সাধারণত পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অধিকতর মহাকর্ষীয় ব্যতয়মূলক (anomaly) কোনো অঞ্চলকে বুঝাতে মহাকর্ষ জরিপ তথ্য ব্যবহূত হয়। বঙ্গীয় অববাহিকা (Bengal Basin) উত্থান ও অবনমন সৃষ্টিকারী বিভেদক বিচলনবিশিষ্ট (differential movement) কয়েকটি ভূত্বকীয় ব্লকে বিভক্ত। বৃহত্তর অংশ বাংলাদেশ ভূখন্ডের বাইরে এবং ত্রিপুরা পাহাড়ের অন্তর্গত উত্তর-দক্ষিণ প্রবণ ত্রিপুরা পাহাড় ও ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম বলিত বলয়ের মধ্যভাগে অবস্থিত। এ বলিত বলয় বঙ্গীয় অববাহিকার পূর্বসীমান্ত। আঞ্চলিক অভিকর্ষ জরিপে ত্রিপুরা অঞ্চলে একটি ভিত্তিস্তর পরিদৃষ্ট হয়েছে। কিন্তু প্রকাশিত ওই জরিপে বিস্তারিত কোনো ভূ-বিজ্ঞানগত তথ্য-উপাত্ত নেই যা দিয়ে এর গঠনতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যাদি সম্পর্কে অনুমান করা যায়। ত্রিপুরা হাইয়ের উত্তরে সুরমা অববাহিকা আর দক্ষিণে হাতিয়া খাদ (trough) অবস্থিত। এর সম্মুখভাগ গঠনকারী কিছুসংখ্যক উত্তলভঙ্গ (anticline) বাংলাদেশ ভূখন্ডে পড়েছে। পশ্চিম থেকে পূর্বদিক বরাবর এ উত্তলভঙ্গসমূহ হচ্ছে হবিগঞ্জ, রশিদপুর মৌলভীবাজার,    বাচিয়া ও হারারগঞ্জ।  [এ.কে.এম খোরশেদ আলম]


''আরও দেখুন''  [[চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা বলিত-বলয়|চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা বলিত-বলয়]]।
''আরও দেখুন''  [[চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা বলিত বলয়|চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা বলিত বলয়]]।


[[en:Tripura High]]
[[en:Tripura High]]

০৭:১২, ১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ত্রিপুরা হাই (Tripura High)  ত্রিপুরা হাই ত্রিপুরার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের তুলনায় ত্রিপুরার অভ্যন্তরে বৃহত্তর মহাকর্ষ জরিপ (gravity survey) উপাত্ত নির্দেশ করে। সাধারণত পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অধিকতর মহাকর্ষীয় ব্যতয়মূলক (anomaly) কোনো অঞ্চলকে বুঝাতে মহাকর্ষ জরিপ তথ্য ব্যবহূত হয়। বঙ্গীয় অববাহিকা (Bengal Basin) উত্থান ও অবনমন সৃষ্টিকারী বিভেদক বিচলনবিশিষ্ট (differential movement) কয়েকটি ভূত্বকীয় ব্লকে বিভক্ত। বৃহত্তর অংশ বাংলাদেশ ভূখন্ডের বাইরে এবং ত্রিপুরা পাহাড়ের অন্তর্গত উত্তর-দক্ষিণ প্রবণ ত্রিপুরা পাহাড় ও ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম বলিত বলয়ের মধ্যভাগে অবস্থিত। এ বলিত বলয় বঙ্গীয় অববাহিকার পূর্বসীমান্ত। আঞ্চলিক অভিকর্ষ জরিপে ত্রিপুরা অঞ্চলে একটি ভিত্তিস্তর পরিদৃষ্ট হয়েছে। কিন্তু প্রকাশিত ওই জরিপে বিস্তারিত কোনো ভূ-বিজ্ঞানগত তথ্য-উপাত্ত নেই যা দিয়ে এর গঠনতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যাদি সম্পর্কে অনুমান করা যায়। ত্রিপুরা হাইয়ের উত্তরে সুরমা অববাহিকা আর দক্ষিণে হাতিয়া খাদ (trough) অবস্থিত। এর সম্মুখভাগ গঠনকারী কিছুসংখ্যক উত্তলভঙ্গ (anticline) বাংলাদেশ ভূখন্ডে পড়েছে। পশ্চিম থেকে পূর্বদিক বরাবর এ উত্তলভঙ্গসমূহ হচ্ছে হবিগঞ্জ, রশিদপুর মৌলভীবাজার,    বাচিয়া ও হারারগঞ্জ।  [এ.কে.এম খোরশেদ আলম]

আরও দেখুন চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা বলিত বলয়