তর্কবাগীশ, অন্নদাচরণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(fix: </u>]])
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''তর্কবাগীশ, অন্নদাচরণ '''(১৮৭৫-১৯৪৩)  সংস্কৃত পন্ডিত ও নৈয়ায়িক। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার ইদিলপুর পরগনার মূলগাঁও গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রসন্নচন্দ্র ভট্টাচার্যও ছিলেন একজন সংস্কৃত পন্ডিত। অন্নদাচরণ ন্যায় ব্যতীত ব্যাকরণ, [[১০৫৮৮৮|সাংখ্য]] ও বেদান্তশাস্ত্রেও বিশেষ পন্ডিত ছিলেন।  
'''তর্কবাগীশ, অন্নদাচরণ''' (১৮৭৫-১৯৪৩)  সংস্কৃত পন্ডিত ও নৈয়ায়িক। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার ইদিলপুর পরগনার মূলগাঁও গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রসন্নচন্দ্র ভট্টাচার্যও ছিলেন একজন সংস্কৃত পন্ডিত। অন্নদাচরণ ন্যায় ব্যতীত ব্যাকরণ, [[সাংখ্য|সাংখ্য]] ও বেদান্তশাস্ত্রেও বিশেষ পন্ডিত ছিলেন।  


অন্নদাচরণ স্থানীয় চতুষ্পাঠীতে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর ত্রিপুরা জেলার শিবচরণ সিদ্ধান্তবাগীশের নিকট [[১০০৯০১|কলাপব্যাকরণ]] অধ্যয়ন করেন এবং সরকারি পর্যায়ে গৃহীত পরীক্ষায় ‘ব্যাকরণতীর্থ’ উপাধি লাভ করেন। এরপর তিনি ন্যায়শাস্ত্রের পরীক্ষায় নবদ্বীপস্থ [[১০৩৪৮৯|বঙ্গবিবুধজননী সভা]] থেকে ‘তর্করত্ন’ উপাধি ও স্বর্ণপদক লাভ করেন। অতঃপর জ্ঞানান্বেষণে অন্নদাচরণ কাশী যান এবং সেখানকার প্রখ্যাত নৈয়ায়িক সীতারাম শাস্ত্রীর নিকট প্রাচীন ন্যায়শাস্ত্র অধ্যয়ন করে ‘তর্কবাগীশ’ উপাধিতে ভূষিত হন।  
অন্নদাচরণ স্থানীয় চতুষ্পাঠীতে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর ত্রিপুরা জেলার শিবচরণ সিদ্ধান্তবাগীশের নিকট [[কলাপব্যাকরণ|কলাপব্যাকরণ]] অধ্যয়ন করেন এবং সরকারি পর্যায়ে গৃহীত পরীক্ষায় ‘ব্যাকরণতীর্থ’ উপাধি লাভ করেন। এরপর তিনি ন্যায়শাস্ত্রের পরীক্ষায় নবদ্বীপস্থ [[বঙ্গবিবুধজননী সভা|বঙ্গবিবুধজননী সভা]] থেকে ‘তর্করত্ন’ উপাধি ও স্বর্ণপদক লাভ করেন। অতঃপর জ্ঞানান্বেষণে অন্নদাচরণ কাশী যান এবং সেখানকার প্রখ্যাত নৈয়ায়িক সীতারাম শাস্ত্রীর নিকট প্রাচীন ন্যায়শাস্ত্র অধ্যয়ন করে ‘তর্কবাগীশ’ উপাধিতে ভূষিত হন।  


কাশীতে মহামহোপাধ্যায় সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রীর নিকট সাংখ্য ও বেদান্তশাস্ত্র অধ্যয়ন করে অন্নদাচরণ কাশীর বাঙালিটোলায় একটি চতুষ্পাঠী স্থাপন করেন এবং ১৮৯৬-১৯০৭ সাল পর্যন্ত সেখানে অধ্যাপনা করেন। এরপর নিজ গ্রামে প্রত্যাবর্তন করে তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন শাস্ত্র পড়াতে থাকেন। কিন্তু ১৯৩১ সালে নদীভাঙ্গনে নিজ গ্রাম বিনষ্ট হলে পরের বছর ধীপুর গ্রামে গিয়ে তিনি আর একটি চতুষ্পাঠী স্থাপন করেন এবং ছাত্রদের শিক্ষা দেন। ১৯১৮ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি ‘ইদিলপুর হিতৈষিণী সভা’র সম্পাদক ছিলেন। ব্যাপ্তিবাদন্যায়ের ব্যধিকরণ এবং ব্যাপ্ত্যনুগমের ওপর রচিত তাঁর প্রভা নামক টীকাগ্রন্থটি বিশেষ প্রসিদ্ধ। ১৯৪৩ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। [সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী]
কাশীতে মহামহোপাধ্যায় সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রীর নিকট সাংখ্য ও বেদান্তশাস্ত্র অধ্যয়ন করে অন্নদাচরণ কাশীর বাঙালিটোলায় একটি চতুষ্পাঠী স্থাপন করেন এবং ১৮৯৬-১৯০৭ সাল পর্যন্ত সেখানে অধ্যাপনা করেন। এরপর নিজ গ্রামে প্রত্যাবর্তন করে তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন শাস্ত্র পড়াতে থাকেন। কিন্তু ১৯৩১ সালে নদীভাঙ্গনে নিজ গ্রাম বিনষ্ট হলে পরের বছর ধীপুর গ্রামে গিয়ে তিনি আর একটি চতুষ্পাঠী স্থাপন করেন এবং ছাত্রদের শিক্ষা দেন। ১৯১৮ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি ‘ইদিলপুর হিতৈষিণী সভা’র সম্পাদক ছিলেন। ব্যাপ্তিবাদন্যায়ের ব্যধিকরণ এবং ব্যাপ্ত্যনুগমের ওপর রচিত তাঁর প্রভা নামক টীকাগ্রন্থটি বিশেষ প্রসিদ্ধ। ১৯৪৩ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। [সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী]
__NOTOC__
<!-- imported from file: 102364.html-->


[[en:Tarkavagish, Annadacharan]]
[[en:Tarkavagish, Annadacharan]]

০৫:৫৭, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

তর্কবাগীশ, অন্নদাচরণ (১৮৭৫-১৯৪৩)  সংস্কৃত পন্ডিত ও নৈয়ায়িক। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার ইদিলপুর পরগনার মূলগাঁও গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রসন্নচন্দ্র ভট্টাচার্যও ছিলেন একজন সংস্কৃত পন্ডিত। অন্নদাচরণ ন্যায় ব্যতীত ব্যাকরণ, সাংখ্য ও বেদান্তশাস্ত্রেও বিশেষ পন্ডিত ছিলেন।

অন্নদাচরণ স্থানীয় চতুষ্পাঠীতে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর ত্রিপুরা জেলার শিবচরণ সিদ্ধান্তবাগীশের নিকট কলাপব্যাকরণ অধ্যয়ন করেন এবং সরকারি পর্যায়ে গৃহীত পরীক্ষায় ‘ব্যাকরণতীর্থ’ উপাধি লাভ করেন। এরপর তিনি ন্যায়শাস্ত্রের পরীক্ষায় নবদ্বীপস্থ বঙ্গবিবুধজননী সভা থেকে ‘তর্করত্ন’ উপাধি ও স্বর্ণপদক লাভ করেন। অতঃপর জ্ঞানান্বেষণে অন্নদাচরণ কাশী যান এবং সেখানকার প্রখ্যাত নৈয়ায়িক সীতারাম শাস্ত্রীর নিকট প্রাচীন ন্যায়শাস্ত্র অধ্যয়ন করে ‘তর্কবাগীশ’ উপাধিতে ভূষিত হন।

কাশীতে মহামহোপাধ্যায় সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রীর নিকট সাংখ্য ও বেদান্তশাস্ত্র অধ্যয়ন করে অন্নদাচরণ কাশীর বাঙালিটোলায় একটি চতুষ্পাঠী স্থাপন করেন এবং ১৮৯৬-১৯০৭ সাল পর্যন্ত সেখানে অধ্যাপনা করেন। এরপর নিজ গ্রামে প্রত্যাবর্তন করে তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন শাস্ত্র পড়াতে থাকেন। কিন্তু ১৯৩১ সালে নদীভাঙ্গনে নিজ গ্রাম বিনষ্ট হলে পরের বছর ধীপুর গ্রামে গিয়ে তিনি আর একটি চতুষ্পাঠী স্থাপন করেন এবং ছাত্রদের শিক্ষা দেন। ১৯১৮ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি ‘ইদিলপুর হিতৈষিণী সভা’র সম্পাদক ছিলেন। ব্যাপ্তিবাদন্যায়ের ব্যধিকরণ এবং ব্যাপ্ত্যনুগমের ওপর রচিত তাঁর প্রভা নামক টীকাগ্রন্থটি বিশেষ প্রসিদ্ধ। ১৯৪৩ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। [সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী]