ঢাকা ল’ রিপোর্টস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''ঢাকা ল’ রিপোর্টস '''(ডি.এল.আর)'''  '''একটি আইন বিষয়ক মাসিক সাময়িকী। এতে উচ্চতর আদালত তথা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের রায় প্রকাশিত হয়। রায় প্রকাশের উদ্দেশ্য হলো, একই ধরনের মামলায় অনুরূপ আইনসূত্রের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রশ্ন দেখা দিলে এ রায় পূর্ববর্তী মামলার বিচার বিভাগীয় নজির হিসেবে দেখা হয়। বিশেষ ধরনের মামলার বিচারপূর্বক রায় প্রদানের ক্ষেত্রে আইনের ব্যাখ্যা হিসেবে পূর্ববর্তী মামলার বরাত দেয়া হয়। একে বিচারক প্রণীত আইন বলা হয়। এ রায়ের গুরুত্ব এ যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১২ ধারায় বলা হয়েছে যে, আপিল বিভাগের ঘোষিত আইন হাইকোর্ট বিভাগের জন্য অনুসরণ বাধ্যতামূলক এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আইন দেশের অন্যান্য নিম্নতর আদালত মানতে বাধ্য।
'''ঢাকা ল’ রিপোর্টস''' (ডি.এল.আর) একটি আইন বিষয়ক মাসিক সাময়িকী। এতে উচ্চতর আদালত তথা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের রায় প্রকাশিত হয়। রায় প্রকাশের উদ্দেশ্য হলো, একই ধরনের মামলায় অনুরূপ আইনসূত্রের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রশ্ন দেখা দিলে এ রায় পূর্ববর্তী মামলার বিচার বিভাগীয় নজির হিসেবে দেখা হয়। বিশেষ ধরনের মামলার বিচারপূর্বক রায় প্রদানের ক্ষেত্রে আইনের ব্যাখ্যা হিসেবে পূর্ববর্তী মামলার বরাত দেয়া হয়। একে বিচারক প্রণীত আইন বলা হয়। এ রায়ের গুরুত্ব এ যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১২ ধারায় বলা হয়েছে যে, আপিল বিভাগের ঘোষিত আইন হাইকোর্ট বিভাগের জন্য অনুসরণ বাধ্যতামূলক এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আইন দেশের অন্যান্য নিম্নতর আদালত মানতে বাধ্য।


ঢাকা ল’ রিপোর্টস বাংলাদেশের প্রাচীনতম ল’ জার্নাল। ঢাকা হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠার পরপরই ১৯৪৯ সাল থেকে এটি প্রকাশিত হয়ে আসছে। সে সময়কার হাইকোর্টের এখতিয়ারভুক্ত অঞ্চল পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে পরিণত হয়। বিচার বিভাগীয় পূর্ব নজীরের প্রশ্ন দেখা দিলে আইনজীবীরা ব্যাপকভাবে ডি.এল.আর-এর উদ্ধৃতি দেন। সাধারণত এ রিপোর্ট ৯০ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের রায় প্রকাশ ছাড়াও এটি বাংলাদেশ সরকারের গেজেট বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে। ডি.এল.আর-এর একটি আট পৃষ্ঠার জার্নাল অংশ রয়েছে। এতে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট আইনগত বিষয়ে মূলত আইনজীবী ও বিচারকগণ কর্তৃক লিখিত নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। সাময়িকীটি ওবায়দুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রকাশিত হয়। ঢাকা হাইকোর্টের কার্যক্রম শুরু হলে তিনি ল’ জার্নালের শূন্যতা পূরণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তিনি ছিলেন পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক। ১৯৮৭ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর উত্তরাধিকারীরা বর্তমানে এর প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন।
ঢাকা ল’ রিপোর্টস বাংলাদেশের প্রাচীনতম ল’ জার্নাল। ঢাকা হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠার পরপরই ১৯৪৯ সাল থেকে এটি প্রকাশিত হয়ে আসছে। সে সময়কার হাইকোর্টের এখতিয়ারভুক্ত অঞ্চল পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে পরিণত হয়। বিচার বিভাগীয় পূর্ব নজীরের প্রশ্ন দেখা দিলে আইনজীবীরা ব্যাপকভাবে ডি.এল.আর-এর উদ্ধৃতি দেন। সাধারণত এ রিপোর্ট ৯০ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের রায় প্রকাশ ছাড়াও এটি বাংলাদেশ সরকারের গেজেট বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে। ডি.এল.আর-এর একটি আট পৃষ্ঠার জার্নাল অংশ রয়েছে। এতে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট আইনগত বিষয়ে মূলত আইনজীবী ও বিচারকগণ কর্তৃক লিখিত নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। সাময়িকীটি ওবায়দুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রকাশিত হয়। ঢাকা হাইকোর্টের কার্যক্রম শুরু হলে তিনি ল’ জার্নালের শূন্যতা পূরণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তিনি ছিলেন পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক। ১৯৮৭ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর উত্তরাধিকারীরা বর্তমানে এর প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। [শাহাবুদ্দিন আহমদ]
 
[শাহাবুদ্দিন আহমদ]
 
<!-- imported from file: ঢাকা ল’ রিপোর্টস.html-->


[[en:Dhaka Law Reports]]
[[en:Dhaka Law Reports]]

০৮:৩৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ঢাকা ল’ রিপোর্টস (ডি.এল.আর) একটি আইন বিষয়ক মাসিক সাময়িকী। এতে উচ্চতর আদালত তথা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের রায় প্রকাশিত হয়। রায় প্রকাশের উদ্দেশ্য হলো, একই ধরনের মামলায় অনুরূপ আইনসূত্রের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রশ্ন দেখা দিলে এ রায় পূর্ববর্তী মামলার বিচার বিভাগীয় নজির হিসেবে দেখা হয়। বিশেষ ধরনের মামলার বিচারপূর্বক রায় প্রদানের ক্ষেত্রে আইনের ব্যাখ্যা হিসেবে পূর্ববর্তী মামলার বরাত দেয়া হয়। একে বিচারক প্রণীত আইন বলা হয়। এ রায়ের গুরুত্ব এ যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১২ ধারায় বলা হয়েছে যে, আপিল বিভাগের ঘোষিত আইন হাইকোর্ট বিভাগের জন্য অনুসরণ বাধ্যতামূলক এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আইন দেশের অন্যান্য নিম্নতর আদালত মানতে বাধ্য।

ঢাকা ল’ রিপোর্টস বাংলাদেশের প্রাচীনতম ল’ জার্নাল। ঢাকা হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠার পরপরই ১৯৪৯ সাল থেকে এটি প্রকাশিত হয়ে আসছে। সে সময়কার হাইকোর্টের এখতিয়ারভুক্ত অঞ্চল পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে পরিণত হয়। বিচার বিভাগীয় পূর্ব নজীরের প্রশ্ন দেখা দিলে আইনজীবীরা ব্যাপকভাবে ডি.এল.আর-এর উদ্ধৃতি দেন। সাধারণত এ রিপোর্ট ৯০ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের রায় প্রকাশ ছাড়াও এটি বাংলাদেশ সরকারের গেজেট বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে। ডি.এল.আর-এর একটি আট পৃষ্ঠার জার্নাল অংশ রয়েছে। এতে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট আইনগত বিষয়ে মূলত আইনজীবী ও বিচারকগণ কর্তৃক লিখিত নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। সাময়িকীটি ওবায়দুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রকাশিত হয়। ঢাকা হাইকোর্টের কার্যক্রম শুরু হলে তিনি ল’ জার্নালের শূন্যতা পূরণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তিনি ছিলেন পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক। ১৯৮৭ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর উত্তরাধিকারীরা বর্তমানে এর প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। [শাহাবুদ্দিন আহমদ]