ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড''' (ডিবিবিএল)  নেদারল্যান্ডস্ ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কোম্পানি (এফএমও) এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তাগণের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি ব্যাংক। ১৯৯৬ সালের ৩ জুন এটি বাংলাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৮ সালে ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ছিল ১০০০ মিলিয়ন টাকা। প্রতিটি ১০০ টাকা মূল্যমানের শেয়ারের বিপরীতে ৩.৯৪৭১৯টি বোনাস শেয়ার ইস্যু করার ফলে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৭৯৮ মিলিয়ন টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৮ সালে দাঁড়ায় ১০০০ মিলিয়ন টাকায়। বিধিবদ্ধ মূলধন ২০০৭ সালের ৮৪২ মিলিয়ন টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৮ সালে দাঁড়ায় ১১৯৮ মিলিয়ন টাকায়। বর্তমানে একজন বিদেশি পরিচালকসহ মোট ৬ জন পরিচালকের সমন্বয়ে গঠিত একটি পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটির সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকিসহ নীতি ও কৌশল অনুমোদন করে। উক্ত পর্ষদ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যাংকটির জন্য ১ জন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করে। ৩ জন ডি এমডি ও ২৪ জন ঊর্ধ্বতন নির্বাহীসহ প্রায় ১২০০ জন কর্মকর্তাকর্মচারী রয়েছে ব্যাংকটিতে। ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির শাখার সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৬।
'''ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড''' (ডিবিবিএল)  নেদারল্যান্ডস্ ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কোম্পানি (এফএমও) এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তাগণের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি ব্যাংক। ১৯৯৬ সালের ৩ জুন এটি বাংলাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৮ সালে ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ছিল ১০০০ মিলিয়ন টাকা। প্রতিটি ১০০ টাকা মূল্যমানের শেয়ারের বিপরীতে ৩.৯৪৭১৯টি বোনাস শেয়ার ইস্যু করার ফলে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৭৯৮ মিলিয়ন টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৮ সালে দাঁড়ায় ১০০০ মিলিয়ন টাকায়। ২০২১ সালের মার্চ মাসে অনুমোদিত ও পরিশোধিত মুলধন দাড়ায় যথাক্রমে ১৫০০০ এবং ৫৫০০ মিলিয়ন টাকায়। বর্তমানে একজন বিদেশি পরিচালকসহ মোট ৬ জন পরিচালকের সমন্বয়ে গঠিত একটি পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটির সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকিসহ নীতি ও কৌশল অনুমোদন করে। ৩ জন ডিএমডি ও ২৪ জন ঊর্ধ্বতন নির্বাহীসহ প্রায় ১০,০২২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি রয়েছে ব্যাংকটিতে। ২০২১ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির শাখার সংখ্যা দাঁড়ায় ২০৮।
 
ডাচ-বাংলা ব্যাংক স্থানীয় ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স সম্পর্কিত গ্রাহকসেবাসহ সর্বপ্রকার বাণিজ্যিক ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা করলেও এর প্রধান ব্যবসা হচ্ছে ট্রেড ফিন্যান্সিং। এটি শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে সীমিত আকারে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ঋণ প্রদান করে। ব্যাংকের বিভিন্ন প্রকার ঋণ এবং আমানত স্কীম গ্রাহকদের নিকট সমাদৃত হয়েছে। এসবের মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্কিম হচ্ছে মানি প্লান্ট, মাসিক মেয়াদি আমানত, দোকানিদের জন্য [[ক্ষুদ্রঋণ|ক্ষুদ্রঋণ]], ট্যাক্সি ক্যাব ক্রয়ের জন্য ঋণ, পরিবহন ঋণ এবং ভোক্তা ঋণ।
 
মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান  (মিলিয়ন টাকায়)


মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান  (মিলিয়ন টাকায়)।
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| বিবরণ || ২০০৪  || ২০০৫  || ২০০৬  || ২০০৭  || ২০০৮  || ২০০৯
| বিবরণ || ২০১৮ || ২০১৯ || ২০২০
|-
|-
| অনুমোদিত মূলধন || ৪০০  || ৪০০  || ৪০০  || ৪০০  || ১০০০  || ৪০০০
| অনুমোদিত মূলধন || ৪০০০ || ১৫০০০ || ১৫০০০
|-
|-
| পরিশোধিত মূলধন || ২০০  || ২০২  || ২০২  || ২০২  || ১০০০  || ১৫০০
| পরিশোধিত মূলধন || ২০০০ || ৫০০০ || ৫৫০০
|-
|-
| রিজার্ভ || ৭৭৬  || ৪৯০  || ৬৩৮  || ৮৪২  || ১১৯৭  || ২০০০
| রিজার্ভ || ৯১৯৩ || ৯১৯৩ || ৯১৯৩
|-
|-
| আমানত || ২১০৬৭  || ২৭২৪১  || ৪০১১২  || ৪২১১০  || ৫১৫৭৬  || ৬৭৭৮৯
| আমানত || ২৬২৪৬৭ || ৩০২১৫৯ || ৩৬২৬১১
|-
|-
| (ক) তলবি আমানত || ২৯৪৪  || ৪১৭৭  || ১৪২৩১  || ৮২৩২  || ৯৯৯৫  || ১৪৪৫৪
| ক) তলবি আমানত || ৮৯৭৯১ || ১০৪৮১৬ || ১২৬৮৪১
|-
|-
| (খ) মেয়াদি আমানত || ১৮১২৩  || ২৩০৬৪  || ২৫৮৮১  || ৩৩৮৭৮  || ৪১৫৮১  || ৫৩৩৩৫
| খ) মেয়াদি আমানত || ১৭২৬৭৬ || ১৯৭৩৪৩ || ২৩৫৭৭০
|-
|-
| ঋণ ও অগ্রিম || ১৪৯৭৬  || ২০৩৪৯  || ২৮৩২৫  || ২৯৪০৩  || ৪১৬৯৮  || ৪৯৫৭১
| ঋণ ও অগ্রিম || ২৩১৫৫৩.১ || ২৫৬২৩৯.৭ || ২৭৩৪৩৯.৮
|-
|-
| বিনিয়োগ || ২০৩৫  || ৩৪৪০  || ৫৮৭৭  || ৫৯০৯  || ৫৯৫৫  || ৯৬৭০
| বিনিয়োগ || ৩২২০৮ || ৫৫১০৫ || ১১২৫৯০
|-
|-
| মোট পরিসম্পদ || ২৪৫৬১  || ৩২২৭৯  || ৪৫৪৯৩  || ৪৯৩৭১  || ৬০৬৮২  || ৮১৪৮১
| মোট পরিসম্পদ || ৩৪৬৪৬৯ || ৩৯০৩৬২ || ৪৭২৩৫৫
|-
|-
| মোট আয় || ২৩৬৭  || ৩৪৩৫  || ৫১৮৮  || ৬৩৬৭  || ৭২৭৬  || ৮৯১৪
| মোট আয় || ২৯২১৫ || ৩৪৭০৬ || ৩৪৬৭৯
|-
|-
| মোট ব্যয় || ১৭৩৫  || ২৪৯৫  || ৪১০১  || ৪৯২৯  || ৫৩৪০  || ৬২১৯
| মোট ব্যয় || ২১৯৯১ || ২৩৪৪৬ || ২৪১৭৮
|-
|-
| বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা || ৪০৬৭৪  || ৪৯০১১  || ৬৬৯৬৯  || ৭৪৬১১  || ৮৯২৫৪  || ১০১০১২
| বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা || ৩৯৭৪০১ || ৪৪৯৩৩৬ || ৪০৮৪৭৮
|-
|-
| (ক) রপ্তানি || ১৩৫৮২  || ১৪৪  || ৩৩৩৪৫  || ৩৪০৬০  || ৪০০৮৩  || ৪১১৬৩
| ক) রপ্তানি || ১৫১৪৮৪ || ১৪১৬৮৯ || ১০৯০৮৬
|-
|-
| (খ) আমদানি || ২৫৯৭৪  || ২৬০২৯  || ৩২০৬৮  || ৩৫৬৬৭  || ৪৩৯৯৯  || ৫৩০৮৯
| খ) আমদানি || ১৬৭৩৭১ || ১৪৩৬৫৩ || ১২৭৯২৫
|-
|-
| (গ) রেমিট্যান্স || ১১১৮  || ৮৩৮  || ১৫৫৬  || ৪৮৮৪  || ৫১৭২  || ৬৭৬০
| গ) রেমিট্যান্স || ৭৮৫৪৬ || ১৬৩৯৯৪ || ১৭১৪৬৭
|-
|-
| মোট জনশক্তি (সংখ্যায়) || ৪৩১  || ১০৯৩  || ১৩৬৮  || ১৫৭৮  || ২৪৫৮  || ১৭৮৫
| মোট জনশক্তি (সংখ্যায়) || ৮১৯৫ || ৯৯৮৮ || ১০০২২
|-
|-
| (ক) কর্মকর্তা || ৪৩১  || ৫৪৮  || ৬৮৪  || ৭৮৯  || ১২২৯  || ১৭৮৫
| ক) কর্মকর্তা || ৮১৯৫ || ৯৯৮৮ || ১০০২২
|-
|-
| (খ) কর্মচারী  || || ৫৪৮  || ৬৮৪  || ৭৮৯  || ১২২৯  || -
| খ) কর্মচারি || || ||
|-
|-
| বিদেশি প্রতিসংগী ব্যাংক (সংখ্যায়) || ১০০  || ৮২  || ৮২  || ৮২  || ১৯৪  || ৪৪২
| বিদেশি প্রতিসংগী ব্যাংক (সংখ্যায়) || ৫৬০ || ৫৬০ || ৪৮০
|-
|-
| শাখা (সংখ্যায়) || ১৯  || ৫৬  || ৭৮  || ৯৮  || ১২৮  || ৭৯
| শাখা (সংখ্যায়) || ১৮৪ || ১৯৫ || ২০৮
|-
|-
| (ক) দেশে || ১৯  || ২৮  || ৩৯  || ৪৯  || ৬৪  || ৭৯
| ক) দেশে || ১৮৪ || ১৯৫ || ২০৮
|-
|-
| (খ) বিদেশে || || ২৮  || ৩৯  || ৪৯  || ৬৪  || -
| খ) বিদেশে || || ||
|-
|-
| কৃষিখাতে
| কৃষিখাতে
|-
|-
| ক) ঋণ বিতরণ || ৫৩১  || ৩৬২  || ১১৬  || ৩৯১  || ২২০  || ৩০০
| ক) ঋণ বিতরণ || ২২৬৯.৮ || ৫৩২৬.৯ || ৬৮১৯
|-
|-
| খ) আদায় || ৬০২  || ১৬১  || ১৯৯  || ২৮২  || ২১৫  || ১৯৪
| খ) আদায় || ৩৮৫৩.১ || ৩৯১৪.৫ || ৫৯৪১.৮
|-
|-
| শিল্প খাতে
| শিল্প খাতে
|-
|-
| ক) ঋণ বিতরণ || ৯৮৫৪  || ১৪৫৫০  || ২০০৬২  || ১৫৩২৮  || ২২৪৭৫  || ২৪৬৫০
| ক) ঋণ বিতরণ || ১৯৬৮৩৮ || ২০৯০৭৫.৭ || ১৪৯৩০৪.২
|-
| খ) আদায় || ১৮১৭১৯.৭ || ১৯২০৬৪.৩ || ১৩৭৪৪৫.৫
|-
|-
| খ) আদায়  || ৮৮৪৯  || ১১৬২৬  || ১৮৬১৭  || ১৫৪৩৭  || ১৭৭৮৫  || ২১১১৩
| খাত ভিত্তিক ঋণের স্থিতি
|-
|-
| খাতভিত্তিক ঋণের স্থিতি
| ক) কৃষি ও মৎস্য || ২৩১১.৮ || ৩৪৮১.৪ || ৪৪৯৩.১
|-
|-
| ) কৃষি ও মৎস্য  || ২৩৫  || ৪২৬  || ১১৪  || ৩৪৭  || ৬৬৩  || ৭৪৫
| ) শিল্প || ৫৯৫৯৯.৫ || ৭৬৭০৪.৯ || ৮৪৯৮০.৭
|-
|-
| ) শিল্প  || ৩২৮৬  || ৪৪৯৭  || ৪৫৮৬  || ৮০১৫  || ৯৫৬০  || ১৪৩০৯
| ) ব্যবসা বাণিজ্য || ২৯৬৩১.৫ || ৩০৩৪৪.৭ || ৩০১৭৮.২
|-
|-
| ) ব্যবসাবাণিজ্য  || ২৭৭৬  || ৪২৩৭  || ৪৮২৬  || ৩০৮৬  || ৯৯৪০  || ১০৩৩৫
| ) দারিদ্র্য বিমোচন || || ||  
|-
|-
| ঘ) দারিদ্র্য বিমোচন || -  || ৫০  || ৮৮  || ৫৮  || ৩৩  ||
| সি.এস.আর || ৮৩৫ || ৮৭৬.৬ || ৬৯১
|}
|}


''উৎস''  অর্থবিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী, ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৯-১০।
''উৎস''  আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, ''বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২১''।


ডাচ্-বাংলা ব্যাংক স্থানীয় বৈদেশিক রেমিট্যান্স সম্পর্কিত গ্রাহকসেবাসহ সর্বপ্রকার বাণিজ্যিক ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা করলেও এর প্রধান ব্যবসা হচ্ছে ট্রেড ফিন্যান্সিং। এটি শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে সীমিত আকারে স্বল্প মধ্যমেয়াদি ঋণ প্রদান করে। ব্যাংকের বিভিন্ন প্রকার ঋণ এবং আমানত স্কীম গ্রাহকদের নিকট সমাদৃত হয়েছে। এসবের মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্কিম হচ্ছে মানি প্লান্ট, মাসিক মেয়াদি আমানত, দোকানিদের জন্য  [[ক্ষুদ্রঋণ|ক্ষুদ্রঋণ]], ট্যাক্সি ক্যাব ক্রয়ের জন্য ঋণ, পরিবহণ ঋণ এবং ভোক্তা ঋণ।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ২০০৩ সাল থেকে মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছাত্রছাত্রীদেরকে এইচএসসি স্নাতক পর্যায়ে বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি এমফিল/পিএইচডি/পোস্ট ডক্টরাল স্তরে গবেষণার জন্য ফেলোশিপ প্রদান করে আসছে। ডিবিবিএল ২০০৩ সাল থেকে বিভিন্ন জেলায় ৪২০০ জনেরও বেশি দরিদ্র ঠোঁটকাটা ছেলেমেয়েদের প্লাস্টিক সার্জারি তথা ‘মধুর হাসি’ কার্যক্রমের মাধ্যমে মুখে হাসি ফিরিয়ে এনেছে। ডিবিবিএল ফাউন্ডেশন ৮০০ জন তালাকপ্রাপ্ত ও ৪৫১ জন এসিড আক্রান্ত মহিলাকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আত্মনির্ভরশীল করে তুলেছে এবং ৫০ জন এইডস আক্রান্ত রোগীকে অজঠ ঔষধ পুষ্টিকর খাবার প্রদান করেছে। এছাড়া ডিবিবিএল মানসিক প্রতিবন্ধী ও বিকলাঙ্গ শিশুদের পুনর্বাসন এবং ভবঘুরে শিশুকিশোরদের অবস্থার উন্নতিসহ বিভিন্ন জনহিতকর কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোসাল সাইন্সসেস’ নামক একটি আধুনিক রিসার্চ সেন্টার নির্মাণের জন্য <ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়>কে ৯৭.৩ মিলিয়ন এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের ছয়তলা অলিম্পিক ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে ৩০ মিলিয়ন টাকা অনুদান দিয়েছে। ২০০৮ সালে সেন্টার ফর ডিসঅ্যাবল্ড কনসার্ন, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ডিসঅ্যাবল্ড, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর এডুকেশন অব দি ইন্টিলেকচুয়ালি ডিসঅ্যাবল্ড, খুলনা প্রতিবন্ধী সংস্থা, ঢাকা আহসানিয়া মহিলা মিশন, পল্লীবন্ধু কল্যাণ সংস্থা, নারীকণ্ঠ ফাউন্ডেশন, [[বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি|বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি]], বাংলাদেশ মহিলা সমিতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছে। ডিবিবিএল ঢাকা ক্লিন ফুয়েল প্রজেক্ট-এর আওতায় রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের পুনঃঅর্থায়নের জন্য ১৩টি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন ও ৬০টি পাবলিক ট্রান্সপোর্টেকে অর্থ দিয়েছে। এছাড়া ওয়াস্ট রিসাইকলিংভিত্তিক ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম প্রজেক্ট-এর আওতায় শহরের ময়লা আবর্জনা দিয়ে সার প্রস্তুত করার জন্য ২ মিলিয়ন ইউরো’র সমপরিমাণ টাকা প্রদান করেছে ডিবিবিএল।


ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ২০০৩ সাল থেকে মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছাত্রছাত্রীদেরকে এইচএসসি স্নাতক পর্যায়ে বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি এমফিল/পিএইচডি/পোস্ট ডক্টরাল স্তরে গবেষণার জন্য ফেলোশিপ প্রদান করে আসছে। ডিবিবিএল ২০০৩ সাল থেকে বিভিন্ন জেলায় ৪২০০ জনেরও বেশি দরিদ্র ঠোঁটকাটা ছেলেমেয়েদের প্লাস্টিক সার্জারি তথা ‘মধুর হাসি’ কার্যক্রমের মাধ্যমে মুখে হাসি ফিরিয়ে এনেছে। ডিবিবিএল ফাউন্ডেশন ৮০০ জন তালাকপ্রাপ্ত ৪৫১ জন এসিড আক্রান্ত মহিলাকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আত্মনির্ভরশীল করে তুলেছে এবং ৫০ জন এইডস আক্রান্ত রোগীকে ARV ঔষধ ও পুষ্টিকর খাবার প্রদান করেছে। এছাড়া ডিবিবিএল মানসিক প্রতিবন্ধী ও বিকলাঙ্গ শিশুদের পুনর্বাসন এবং ভবঘুরে শিশুকিশোরদের অবস্থার উন্নতিসহ বিভিন্ন জনহিতকর কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোসাল সাইন্সসেস’ নামক একটি আধুনিক রিসার্চ সেন্টার নির্মাণের জন্য  [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]]কে ৯৭.৩ মিলিয়ন এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের ছয়তলা অলিম্পিক ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে ৩০ মিলিয়ন টাকা অনুদান দিয়েছে। ২০০৮ সালে সেন্টার ফর ডিসঅ্যাবল্ড কনসার্ন, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ডিসঅ্যাবল্ড, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর এডুকেশন অব দি ইন্টিলেকচুয়ালি ডিসঅ্যাবল্ড, খুলনা প্রতিবন্ধী সংস্থা, ঢাকা আহসানিয়া মহিলা মিশন, পল্লীবন্ধু কল্যাণ সংস্থা, নারীকণ্ঠ ফাউন্ডেশন,  [[বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি|বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি]], [[বাংলাদেশ মহিলা সমিতি|বাংলাদেশ মহিলা সমিতি]]সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছে। ডিবিবিএল ঢাকা ক্লিন ফুয়েল প্রজেক্ট-এর আওতায় রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের পুনঃঅর্থায়নের জন্য ১৩টি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন ৬০টি পাবলিক ট্রান্সপোর্টেকে অর্থ দিয়েছে। এছাড়া ওয়াস্ট রিসাইকলিংভিত্তিক ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম প্রজেক্ট-এর আওতায় শহরের ময়লাআবর্জনা দিয়ে সার প্রস্ত্তত করার জন্য ২ মিলিয়ন ইউরো’র সমপরিমাণ টাকা প্রদান করেছে ডিবিবিএল।  [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]
২০২০ সালে ব্যাংকের আমানত ঋণ অগ্রিমের স্থিতির অংশ ছিল ব্যাংকিং খাতের মোট আমানত ঋণ অগ্রিমের স্থিতির যথাক্রমে ২.৪ এবং .৩ শতাংশ এবং আমানত ঋণ অগ্রিমের গড় সুদহার ব্যবধান দাঁড়ায় ৭.৯ শতাংশ। [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]


[[en:Dutch-Bangla Bank Limited]]
[[en:Dutch-Bangla Bank Limited]]

১৭:৫৬, ১ জুলাই ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল) নেদারল্যান্ডস্ ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কোম্পানি (এফএমও) এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তাগণের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি ব্যাংক। ১৯৯৬ সালের ৩ জুন এটি বাংলাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৮ সালে ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ছিল ১০০০ মিলিয়ন টাকা। প্রতিটি ১০০ টাকা মূল্যমানের শেয়ারের বিপরীতে ৩.৯৪৭১৯টি বোনাস শেয়ার ইস্যু করার ফলে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৭৯৮ মিলিয়ন টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৮ সালে দাঁড়ায় ১০০০ মিলিয়ন টাকায়। ২০২১ সালের মার্চ মাসে অনুমোদিত ও পরিশোধিত মুলধন দাড়ায় যথাক্রমে ১৫০০০ এবং ৫৫০০ মিলিয়ন টাকায়। বর্তমানে একজন বিদেশি পরিচালকসহ মোট ৬ জন পরিচালকের সমন্বয়ে গঠিত একটি পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটির সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকিসহ নীতি ও কৌশল অনুমোদন করে। ৩ জন ডিএমডি ও ২৪ জন ঊর্ধ্বতন নির্বাহীসহ প্রায় ১০,০২২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি রয়েছে ব্যাংকটিতে। ২০২১ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির শাখার সংখ্যা দাঁড়ায় ২০৮।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক স্থানীয় ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স সম্পর্কিত গ্রাহকসেবাসহ সর্বপ্রকার বাণিজ্যিক ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা করলেও এর প্রধান ব্যবসা হচ্ছে ট্রেড ফিন্যান্সিং। এটি শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে সীমিত আকারে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ঋণ প্রদান করে। ব্যাংকের বিভিন্ন প্রকার ঋণ এবং আমানত স্কীম গ্রাহকদের নিকট সমাদৃত হয়েছে। এসবের মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্কিম হচ্ছে মানি প্লান্ট, মাসিক মেয়াদি আমানত, দোকানিদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ, ট্যাক্সি ক্যাব ক্রয়ের জন্য ঋণ, পরিবহন ঋণ এবং ভোক্তা ঋণ।

মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান  (মিলিয়ন টাকায়)

বিবরণ ২০১৮ ২০১৯ ২০২০
অনুমোদিত মূলধন ৪০০০ ১৫০০০ ১৫০০০
পরিশোধিত মূলধন ২০০০ ৫০০০ ৫৫০০
রিজার্ভ ৯১৯৩ ৯১৯৩ ৯১৯৩
আমানত ২৬২৪৬৭ ৩০২১৫৯ ৩৬২৬১১
ক) তলবি আমানত ৮৯৭৯১ ১০৪৮১৬ ১২৬৮৪১
খ) মেয়াদি আমানত ১৭২৬৭৬ ১৯৭৩৪৩ ২৩৫৭৭০
ঋণ ও অগ্রিম ২৩১৫৫৩.১ ২৫৬২৩৯.৭ ২৭৩৪৩৯.৮
বিনিয়োগ ৩২২০৮ ৫৫১০৫ ১১২৫৯০
মোট পরিসম্পদ ৩৪৬৪৬৯ ৩৯০৩৬২ ৪৭২৩৫৫
মোট আয় ২৯২১৫ ৩৪৭০৬ ৩৪৬৭৯
মোট ব্যয় ২১৯৯১ ২৩৪৪৬ ২৪১৭৮
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা ৩৯৭৪০১ ৪৪৯৩৩৬ ৪০৮৪৭৮
ক) রপ্তানি ১৫১৪৮৪ ১৪১৬৮৯ ১০৯০৮৬
খ) আমদানি ১৬৭৩৭১ ১৪৩৬৫৩ ১২৭৯২৫
গ) রেমিট্যান্স ৭৮৫৪৬ ১৬৩৯৯৪ ১৭১৪৬৭
মোট জনশক্তি (সংখ্যায়) ৮১৯৫ ৯৯৮৮ ১০০২২
ক) কর্মকর্তা ৮১৯৫ ৯৯৮৮ ১০০২২
খ) কর্মচারি
বিদেশি প্রতিসংগী ব্যাংক (সংখ্যায়) ৫৬০ ৫৬০ ৪৮০
শাখা (সংখ্যায়) ১৮৪ ১৯৫ ২০৮
ক) দেশে ১৮৪ ১৯৫ ২০৮
খ) বিদেশে
কৃষিখাতে
ক) ঋণ বিতরণ ২২৬৯.৮ ৫৩২৬.৯ ৬৮১৯
খ) আদায় ৩৮৫৩.১ ৩৯১৪.৫ ৫৯৪১.৮
শিল্প খাতে
ক) ঋণ বিতরণ ১৯৬৮৩৮ ২০৯০৭৫.৭ ১৪৯৩০৪.২
খ) আদায় ১৮১৭১৯.৭ ১৯২০৬৪.৩ ১৩৭৪৪৫.৫
খাত ভিত্তিক ঋণের স্থিতি
ক) কৃষি ও মৎস্য ২৩১১.৮ ৩৪৮১.৪ ৪৪৯৩.১
খ) শিল্প ৫৯৫৯৯.৫ ৭৬৭০৪.৯ ৮৪৯৮০.৭
গ) ব্যবসা বাণিজ্য ২৯৬৩১.৫ ৩০৩৪৪.৭ ৩০১৭৮.২
ঘ) দারিদ্র্য বিমোচন
সি.এস.আর ৮৩৫ ৮৭৬.৬ ৬৯১

উৎস  আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২১

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ২০০৩ সাল থেকে মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছাত্রছাত্রীদেরকে এইচএসসি ও স্নাতক পর্যায়ে বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি এমফিল/পিএইচডি/পোস্ট ডক্টরাল স্তরে গবেষণার জন্য ফেলোশিপ প্রদান করে আসছে। ডিবিবিএল ২০০৩ সাল থেকে বিভিন্ন জেলায় ৪২০০ জনেরও বেশি দরিদ্র ঠোঁটকাটা ছেলেমেয়েদের প্লাস্টিক সার্জারি তথা ‘মধুর হাসি’ কার্যক্রমের মাধ্যমে মুখে হাসি ফিরিয়ে এনেছে। ডিবিবিএল ফাউন্ডেশন ৮০০ জন তালাকপ্রাপ্ত ও ৪৫১ জন এসিড আক্রান্ত মহিলাকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আত্মনির্ভরশীল করে তুলেছে এবং ৫০ জন এইডস আক্রান্ত রোগীকে অজঠ ঔষধ ও পুষ্টিকর খাবার প্রদান করেছে। এছাড়া ডিবিবিএল মানসিক প্রতিবন্ধী ও বিকলাঙ্গ শিশুদের পুনর্বাসন এবং ভবঘুরে শিশুকিশোরদের অবস্থার উন্নতিসহ বিভিন্ন জনহিতকর কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোসাল সাইন্সসেস’ নামক একটি আধুনিক রিসার্চ সেন্টার নির্মাণের জন্য <ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়>কে ৯৭.৩ মিলিয়ন এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের ছয়তলা অলিম্পিক ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে ৩০ মিলিয়ন টাকা অনুদান দিয়েছে। ২০০৮ সালে সেন্টার ফর ডিসঅ্যাবল্ড কনসার্ন, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ডিসঅ্যাবল্ড, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর এডুকেশন অব দি ইন্টিলেকচুয়ালি ডিসঅ্যাবল্ড, খুলনা প্রতিবন্ধী সংস্থা, ঢাকা আহসানিয়া মহিলা মিশন, পল্লীবন্ধু কল্যাণ সংস্থা, নারীকণ্ঠ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ মহিলা সমিতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছে। ডিবিবিএল ঢাকা ক্লিন ফুয়েল প্রজেক্ট-এর আওতায় রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের পুনঃঅর্থায়নের জন্য ১৩টি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন ও ৬০টি পাবলিক ট্রান্সপোর্টেকে অর্থ দিয়েছে। এছাড়া ওয়াস্ট রিসাইকলিংভিত্তিক ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম প্রজেক্ট-এর আওতায় শহরের ময়লা আবর্জনা দিয়ে সার প্রস্তুত করার জন্য ২ মিলিয়ন ইউরো’র সমপরিমাণ টাকা প্রদান করেছে ডিবিবিএল।

২০২০ সালে ব্যাংকের আমানত ও ঋণ অগ্রিমের স্থিতির অংশ ছিল ব্যাংকিং খাতের মোট আমানত ও ঋণ অগ্রিমের স্থিতির যথাক্রমে ২.৪ এবং ২.৩ শতাংশ এবং আমানত ও ঋণ অগ্রিমের গড় সুদহার ব্যবধান দাঁড়ায় ৭.৯ শতাংশ। [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]