ডাউকি নদী
ডাউকি নদী (Dauki River) শিলং মালভূমির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল থেকে উৎপন্ন একটি ক্ষুদ্র পাহাড়ি নদী। সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার জাফলং এলাকা দিয়ে নদীটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারতের মেঘালয় এবং বৃহত্তর সিলেটের উত্তরাংশের মধ্যে সীমানা রচনাকারী ডাউকি চ্যুতির নামানুসারে নদীটির নামকরণ করা হয়েছে। পাহাড়ি নদী হওয়ায় ডাউকি স্বভাবতই খরস্রোতা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নদীটির গতিপথ কিছুটা সর্পিল। সীমানার অভ্যন্তরে প্রবেশের পর এটি দক্ষিণ-পশ্চিম অভিমুখী সুনামগঞ্জ জেলার দিকে প্রবাহিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের সময় উজানের জলনিষ্কাশন অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে প্রবাহ অত্যন্ত বেড়ে যায় এবং শিলং মালভূমির পাহাড়গুলো থেকে স্রোতের সঙ্গে বড় বড় গন্ডশিলা (boulder) পরিবাহিত হয়ে আসে। নদীবাহিত এসব গন্ডশিলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সংগ্রহ করে নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়। নির্মাণ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় গন্ডশিলা সরবরাহ করে নদীটি এদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উজান থেকে নিয়মিত পানি সরবরাহের কারণে নদীর পানি খুবই স্বচ্ছ। ডাউকি নদী স্থানীয় নৌযোগাযোগের একটি মাধ্যমও বটে। নান্দনিক দৃষ্টিকোণ থেকে ডাউকি নদী ও এর আশপাশের এলাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি লীলাভূমি। প্রতিবছর বিশেষ করে, শীতকালে এখানে হাজার হাজার মানুষ বনভোজন ও নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে। [কাজী মতিনউদ্দিন আহমেদ]
আরও দেখুন সুরমা-মেঘনা নদীপ্রণালী।
মানচিত্রের জন্য দেখুন সুরমা-মেঘনা নদীপ্রণালী।