ঠাকুর, অমরেশ্বর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''ঠাকুর'''''', ''''''অমরেশ্বর '''(১৮৮৭-১৯৭৯)  সংস্কৃত পন্ডিত, গবেষক ও শিক্ষাবিদ। ১৮৮৭ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকার ভাগ্যকুলে তাঁর জন্ম। তিনি  [[১০৫৭৬১|সংস্কৃত]] (১৯০৮) ও পালিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। কলকাতার রিপন কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় এবং পরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত বিভাগে অধ্যাপনা করেন। এ বিভাগের অধ্যক্ষপদে চাকরিরত অবস্থায়ই তিনি অবসরে যান। পান্ডিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এখানে আশুতোষ অধ্যাপক পদে বৃত হন।
'''ঠাকুর, অমরেশ্বর '''(১৮৮৭-১৯৭৯)  সংস্কৃত পন্ডিত, গবেষক ও শিক্ষাবিদ। ১৮৮৭ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকার ভাগ্যকুলে তাঁর জন্ম। তিনি  [[সংস্কৃত|সংস্কৃত]] (১৯০৮) ও পালিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। কলকাতার রিপন কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় এবং পরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত বিভাগে অধ্যাপনা করেন। এ বিভাগের অধ্যক্ষপদে চাকরিরত অবস্থায়ই তিনি অবসরে যান। পান্ডিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এখানে আশুতোষ অধ্যাপক পদে বৃত হন।


অমরেশ্বর ঠাকুর একজন গবেষক ও পন্ডিত হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ‘হিন্দু ল অব এভিডেন্স’ বিষয়ে গবেষণা করে তিনি  [[১০০৮৯১|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। যাস্কের নিরুক্ত গ্রন্থের ব্যাখ্যাসহ কয়েক খন্ডে বঙ্গানুবাদ তাঁর বিশেষ উল্লেখযোগ্য কীর্তি। ষাট খন্ডে বাল্মীকি  [[১০৫২৩৭|রামায়ণ]] সম্পাদনা ও প্রকাশ করাও তাঁর এক অসাধারণ কাজ। তিনি ''Calcutta Sanskrit Series''-এর প্রায় ৪০টি প্রাচীন ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ সম্পাদনা করেন এবং টীকা ও অনুবাদসহ সেগুলি প্রকাশ করেন। এ ছাড়া জৈন ধর্মদর্শন, ভিক্ষু সম্প্রদায়, থেরপন্থী মহাসভা ও জৈন শ্বেতাম্বরদের বিষয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।
অমরেশ্বর ঠাকুর একজন গবেষক ও পন্ডিত হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ‘হিন্দু ল অব এভিডেন্স’ বিষয়ে গবেষণা করে তিনি  [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। যাস্কের নিরুক্ত গ্রন্থের ব্যাখ্যাসহ কয়েক খন্ডে বঙ্গানুবাদ তাঁর বিশেষ উল্লেখযোগ্য কীর্তি। ষাট খন্ডে বাল্মীকি  [[রামায়ণ|রামায়ণ]] সম্পাদনা ও প্রকাশ করাও তাঁর এক অসাধারণ কাজ। তিনি ''Calcutta Sanskrit Series''-এর প্রায় ৪০টি প্রাচীন ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ সম্পাদনা করেন এবং টীকা ও অনুবাদসহ সেগুলি প্রকাশ করেন। এ ছাড়া জৈন ধর্মদর্শন, ভিক্ষু সম্প্রদায়, থেরপন্থী মহাসভা ও জৈন শ্বেতাম্বরদের বিষয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।


গবেষণায় কৃতিত্বের জন্য অমরেশ্বর ‘যোগেশচন্দ্র গবেষণা পুরস্কার’ লাভ করেন এবং ‘বেদান্তশাস্ত্রী’ উপাধিতে ভূষিত হন। কলকাতায়  [[১০৫৭৬৩|সংস্কৃত সাহিত্য পরিষৎ]] প্রতিষ্ঠা তাঁর অপর একটি মহৎ কাজ। এটি বর্তমানে  [[১০৩৬৯৩|বাংলাদেশ]] ও পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সংস্কৃত শিক্ষার্থী ও গবেষকদের নিকট এক বিশেষ জ্ঞানভান্ডাররূপে বিবেচিত। ১৯৭৯ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।  [সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী]
গবেষণায় কৃতিত্বের জন্য অমরেশ্বর ‘যোগেশচন্দ্র গবেষণা পুরস্কার’ লাভ করেন এবং ‘বেদান্তশাস্ত্রী’ উপাধিতে ভূষিত হন। কলকাতায়  [[সংস্কৃত সাহিত্য পরিষৎ|সংস্কৃত সাহিত্য পরিষৎ]] প্রতিষ্ঠা তাঁর অপর একটি মহৎ কাজ। এটি বর্তমানে  [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশ]] ও পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সংস্কৃত শিক্ষার্থী ও গবেষকদের নিকট এক বিশেষ জ্ঞানভান্ডাররূপে বিবেচিত। ১৯৭৯ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।  [সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী]
 
<!-- imported from file: ঠাকুর, অমরেশ্বর.html-->


[[en:Thakur, Amareshwar]]
[[en:Thakur, Amareshwar]]

১০:০৮, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ঠাকুর, অমরেশ্বর (১৮৮৭-১৯৭৯)  সংস্কৃত পন্ডিত, গবেষক ও শিক্ষাবিদ। ১৮৮৭ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকার ভাগ্যকুলে তাঁর জন্ম। তিনি  সংস্কৃত (১৯০৮) ও পালিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। কলকাতার রিপন কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় এবং পরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত বিভাগে অধ্যাপনা করেন। এ বিভাগের অধ্যক্ষপদে চাকরিরত অবস্থায়ই তিনি অবসরে যান। পান্ডিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এখানে আশুতোষ অধ্যাপক পদে বৃত হন।

অমরেশ্বর ঠাকুর একজন গবেষক ও পন্ডিত হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ‘হিন্দু ল অব এভিডেন্স’ বিষয়ে গবেষণা করে তিনি  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। যাস্কের নিরুক্ত গ্রন্থের ব্যাখ্যাসহ কয়েক খন্ডে বঙ্গানুবাদ তাঁর বিশেষ উল্লেখযোগ্য কীর্তি। ষাট খন্ডে বাল্মীকি  রামায়ণ সম্পাদনা ও প্রকাশ করাও তাঁর এক অসাধারণ কাজ। তিনি Calcutta Sanskrit Series-এর প্রায় ৪০টি প্রাচীন ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ সম্পাদনা করেন এবং টীকা ও অনুবাদসহ সেগুলি প্রকাশ করেন। এ ছাড়া জৈন ধর্মদর্শন, ভিক্ষু সম্প্রদায়, থেরপন্থী মহাসভা ও জৈন শ্বেতাম্বরদের বিষয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।

গবেষণায় কৃতিত্বের জন্য অমরেশ্বর ‘যোগেশচন্দ্র গবেষণা পুরস্কার’ লাভ করেন এবং ‘বেদান্তশাস্ত্রী’ উপাধিতে ভূষিত হন। কলকাতায়  সংস্কৃত সাহিত্য পরিষৎ প্রতিষ্ঠা তাঁর অপর একটি মহৎ কাজ। এটি বর্তমানে  বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সংস্কৃত শিক্ষার্থী ও গবেষকদের নিকট এক বিশেষ জ্ঞানভান্ডাররূপে বিবেচিত। ১৯৭৯ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।  [সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী]