জোফানী, জন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
[[Image:ZoffanyJohan.jpg|right|thumbnail|300px|জন জোফানী]] | |||
'''জোফানী, জন''' (১৭৩৩-১৮১০) একজন চিত্রশিল্পী। জন জোফানী চিত্রশিল্পী হিসেবে ইউরোপে সুখ্যাতি অর্জন করে ভিয়েনা, রোম এবং লন্ডনে সমকালীন অনেক পেশাদার সংগঠনের দ্বারা সম্মানে ভূষিত হন এবং ভাগ্যান্বেষণে কলকাতায় আসেন। একজন খ্যাতিমান শিল্পী হলেও জোফানী ইউরোপে তাঁর শিল্পকর্মের দ্বারা দারিদ্র্যকে কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। যে সকল ইউরোপীয় শিল্পী বাংলা থেকে প্রচুর ধনসম্পদ নিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তাঁরাই জোফানীকে ভাগ্য গড়তে ভারতে আসতে উদ্বুদ্ধ করেন। ভারতে চিত্রশিল্পীদের যথেষ্ট চাহিদা ছিল, কারণ ভারতীয় রাজা, জমিদার ও শ্রেষ্ঠিগণ ইউরোপীয় শিল্পীদের দ্বারা নিজেদের প্রতিকৃতি অাঁকাতে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। এছাড়া বর্তমানে যে সকল কাজ আলোকচিত্র শিল্পীগণ সম্পন্ন করেন সে সকল কাজ অর্থাৎ বিভিন্ন বিষয়ের সচিত্র রেকর্ড সংরক্ষণের কাজ করানোর জন্য সরকারেরও চিত্রশিল্পীদের প্রয়োজন ছিল। | '''জোফানী, জন''' (১৭৩৩-১৮১০) একজন চিত্রশিল্পী। জন জোফানী চিত্রশিল্পী হিসেবে ইউরোপে সুখ্যাতি অর্জন করে ভিয়েনা, রোম এবং লন্ডনে সমকালীন অনেক পেশাদার সংগঠনের দ্বারা সম্মানে ভূষিত হন এবং ভাগ্যান্বেষণে কলকাতায় আসেন। একজন খ্যাতিমান শিল্পী হলেও জোফানী ইউরোপে তাঁর শিল্পকর্মের দ্বারা দারিদ্র্যকে কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। যে সকল ইউরোপীয় শিল্পী বাংলা থেকে প্রচুর ধনসম্পদ নিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তাঁরাই জোফানীকে ভাগ্য গড়তে ভারতে আসতে উদ্বুদ্ধ করেন। ভারতে চিত্রশিল্পীদের যথেষ্ট চাহিদা ছিল, কারণ ভারতীয় রাজা, জমিদার ও শ্রেষ্ঠিগণ ইউরোপীয় শিল্পীদের দ্বারা নিজেদের প্রতিকৃতি অাঁকাতে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। এছাড়া বর্তমানে যে সকল কাজ আলোকচিত্র শিল্পীগণ সম্পন্ন করেন সে সকল কাজ অর্থাৎ বিভিন্ন বিষয়ের সচিত্র রেকর্ড সংরক্ষণের কাজ করানোর জন্য সরকারেরও চিত্রশিল্পীদের প্রয়োজন ছিল। | ||
১০:৩৪, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

জোফানী, জন (১৭৩৩-১৮১০) একজন চিত্রশিল্পী। জন জোফানী চিত্রশিল্পী হিসেবে ইউরোপে সুখ্যাতি অর্জন করে ভিয়েনা, রোম এবং লন্ডনে সমকালীন অনেক পেশাদার সংগঠনের দ্বারা সম্মানে ভূষিত হন এবং ভাগ্যান্বেষণে কলকাতায় আসেন। একজন খ্যাতিমান শিল্পী হলেও জোফানী ইউরোপে তাঁর শিল্পকর্মের দ্বারা দারিদ্র্যকে কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। যে সকল ইউরোপীয় শিল্পী বাংলা থেকে প্রচুর ধনসম্পদ নিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তাঁরাই জোফানীকে ভাগ্য গড়তে ভারতে আসতে উদ্বুদ্ধ করেন। ভারতে চিত্রশিল্পীদের যথেষ্ট চাহিদা ছিল, কারণ ভারতীয় রাজা, জমিদার ও শ্রেষ্ঠিগণ ইউরোপীয় শিল্পীদের দ্বারা নিজেদের প্রতিকৃতি অাঁকাতে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। এছাড়া বর্তমানে যে সকল কাজ আলোকচিত্র শিল্পীগণ সম্পন্ন করেন সে সকল কাজ অর্থাৎ বিভিন্ন বিষয়ের সচিত্র রেকর্ড সংরক্ষণের কাজ করানোর জন্য সরকারেরও চিত্রশিল্পীদের প্রয়োজন ছিল।
১৭৮৩ সালে জোফানী কলকাতা আসেন এবং ১৭৯০ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি অভিজাত সম্প্রদায় এবং সরকারি অনেক সদস্যের প্রতিকৃতি অংকন করেন এবং নাটক, বাজার, জনতা, নাচের আসর এবং শিকারের দৃশ্যাবলি চিত্রিত করেন। সুবিখ্যাত ছাঁচ ধাতুপাত খোদাইকারী রিচার্ড আর্লম (১৭৪৩-১৮২২) তাঁর কতিপয় চিত্রশিল্প খোদাই করেছিলেন। তিনি স্যার এলিজা ইম্পে ও ওয়ারেন হেস্টিংস এর প্রতিকৃতি এবং কলকাতার সেন্ট জন চার্চের বেদির জন্য ‘লাস্ট সাপার’ও এঁকেছিলেন। আধুনিক ভারতীয় চিত্রশিল্পের ইতিহাসে জোফানী এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছেন। রয়্যাল একাডেমী, সোসাইটি অব আর্টিস্টস এবং ফ্রেঞ্চ একাডেমীর ফেলো, জোফানী ১৮১০ সালের ১১ নভেম্বর ইংল্যান্ডে মারা যান। [সিরাজুল ইসলাম]