জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন

জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন ১৯৯৯ সালের দেওয়ানি আপীল নং ৭৯ মামলার রায়ে আপীল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন রুলসের অধীনে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন গঠন করে। এ কমিশন গঠিত হওয়ার আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে বিচার বিভাগের লোকদের চাকুরিতে নিয়োগ করা হতো। উল্লেখিত রুলসের অধীনে আপীল বিভাগের একজন জজকে চেয়ারম্যান করে এবং হাইকোর্ট বিভাগের দু’জন জজ, এটর্নি জেনারেল, ল’কমিশনের একজন সদস্য, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা রাজশাহী অথবা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডীন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার এবং ঢাকা জেলা জজকে সদস্য করে এই কমিশন গঠিত। এ কমিশনের দায়িত্ব হলো বিচারবিভাগের প্রারম্ভিক পদে (সহকারি জজ/জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) নিয়োগদানের যোগ্য প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করা। কমিশন এ উদ্দেশ্যে পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থীদের নির্বাচন করার পর যোগ্য প্রার্থীদের উক্তপদে নিয়োগ দানের  সুপারিশ করে। অধিকন্তু বিচার বিভাগের যেকোন পদে নিয়োগ দানের ব্যাপারে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যাপারে যদি কোনো প্রশ্নের উদ্ভব হয় সে ব্যাপারে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উপদেশ দেওয়া উক্ত কমিশনের দায়িত্ব। সংবিধানের ১১৫ এবং ১৩৩ অনুচ্ছেদে বিধৃত  অন্যান্য দায়িত্ব  সম্পন্ন করাও এ কমিশনের কাজ।

২০০৭ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন গঠিত হয়। গঠিত হবার পর কমিশন সহকারি জজ পদে নিয়োগের জন্য ১৬৫ ব্যক্তির নাম সুপারিশ করে। এই ১৬৫ জন প্রার্থীকে পাবলিক সার্ভিস কমিশন মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে আগেই নির্বাচন করেছিল। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন ২০০৮ সালে সহকারি জজ পদে নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী নির্বাচনে পরীক্ষার ব্যবস্থা ও পরীক্ষা গ্রহণ করে।  কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রায় ৪০০ প্রার্থীকে সহকারি জজ হিসেবে নিয়োগ দান করা হয়। সহকারি জজ এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আরও প্রার্থীকে নিয়োগ দানের জন্য এধরনের আরোও একটি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার কারণে যে শূণ্য পদ সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করাই এ পরীক্ষা নেওয়ার উদ্দেশ্য। [কাজী এবাদুল হক]