জিয়ানগর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(fix: image tag)
 
(সংশোধন)
 
(২ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৪টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''জিয়ানগর উপজেলা''' ([[পিরোজপুর জেলা|পিরোজপুর জেলা]])  আয়তন: ৯১.৭৮ বর্গ কিলোমিটার। অবস্থান: ২২°৩১´ থেকে ২২°৪০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°০১´ থেকে ৯০°০৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পিরোজপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলা, পূর্বে পিরোজপুর সদর ও ভান্ডারিয়া উপজেলা, পশ্চিমে মোরেলগঞ্জ উপজেলা ও বলেশ্বর নদী।  
'''জিয়ানগর উপজেলা (ইন্দুরকানী)''' ([[পিরোজপুর জেলা|পিরোজপুর জেলা]])  আয়তন: ৯৪.৫৯ বর্গ কিলোমিটার। অবস্থান: ২২°৩১´ থেকে ২২°৪০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°০১´ থেকে ৯০°০৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পিরোজপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলা, পূর্বে পিরোজপুর সদর ও ভান্ডারিয়া উপজেলা, পশ্চিমে মোরেলগঞ্জ উপজেলা ও বলেশ্বর নদী।  


''জনসংখ্যা'' ৭১৯০৫; পুরুষ ৩৬১১৯, মহিলা ৩৫৭৮৬। মুসলিম ৬৫১২৮, হিন্দু ৬৭৫৬, বৌদ্ধ ৩, খ্রিস্টান ১৪ এবং অন্যান্য ৪।
''জনসংখ্যা'' ৭৭২১৭। পুরুষ ৩৭৯৪৭, মহিলা ৩৯২৭০। মুসলিম ৭০৯৬৩, হিন্দু ৬২২৯, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ২৩।


''জলাশয়'' প্রধান নদী: বলেশ্বর ও কচা।
''জলাশয়'' প্রধান নদী: বলেশ্বর ও কচা।
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
| colspan="9" | উপজেলা
| colspan="9" | উপজেলা
|-
|-
! rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
| - || ৩ || ২৯ || ৪৮ || ৬০৬৯ || ৭১১৪৮ || ৮১৬ ||  ৬৮.১ || ৬০.৬
|}


{| class="table table-bordered table-hover"
|-
| colspan="9" |উপজেলা শহর
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| || ৩  || ২৯  || ২৯  || -  || ৭১৯০৫  || ৫৫৯  || ল-  || ৬০.৯৯
| ৫.৮৯ || || ৬০৬৯ || ১০৩০ || ৬৮.১
|}


{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন  
| colspan="9" | ইউনিয়ন  
 
|-
|-
| ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || আয়তন (একর)  || লোকসংখ্যা  || শিক্ষার হার (%)  
|  rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  ||  rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" |  শিক্ষার হার (%)  
 
|-
|-
</nowiki>পুরুষ  || মহিলা ||
|  পুরুষ  || মহিলা
 
|-
|-
| পত্তাশী ৫১ || ৮৭৭১ || ১৩৪০৯ || ১৩৪২৬  || ৬২.৪৬
| পত্তাশী ৫১ || ৮৭৭১ || ১৩৮১৫ || ১৪৫১৫ || ৬৪.
 
|-
|-
| পারেরহাট ৪৩ || ৫২১৪  || ৯১৫১ || ৮৭৯৮  || ৬৫.৩৪
| পারেরহাট ৪৩ || ৫২৪৬ || ৯১৬৯ || ৯৩১৯ || ৬৩.
 
|-
|-
| বালিপাড়া ১৫ || ৮৮০৮  || ১৩৫৫৯ || ১৩৫৬২  || ৫৫.১৭
| বালিপাড়া ১৫ || ৯৩৫৯ || ১৪৯৬৩ || ১৫৪৩৬ || ৫৭.
|}
|}
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১৪১, মন্দির ১৬।
[[Image:ZianagarUpazila.jpg|thumb|400px]]
''মুক্তিযুদ্ধ'' উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি কোনো যুদ্ধ হয়নি। তবে এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা অন্যান্য এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সুন্দরবন এলাকা ও বাগেরহাটের রায়েন্দাসহ বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেন।


শিক্ষার হার'', ''শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  গড় হার ৬০.৯৯%, পুরুষ ৬১.২৫%, মহিলা ৬০.৭৩%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: জিয়ানগর ডিগ্রি কলেজ (২০০১), এইচএফ টেকনিক্যাল ও বিএম কলেজ (১৯৯৬), ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পারেরহাট রাজলক্ষ্মী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৯৮), মেহেরউদ্দিন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৯), দক্ষিণ ইন্দুরকানি এসএমএ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (১৯৬৭), টগরা দারুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসা (১৯৫৫), বিজিএম মহিলা দাখিল মাদ্রাসা (১৯৮০)।
''বিস্তারিত দেখুন''  ইন্দুরকানী উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ১।


[[Image:জিয়ানগর উপজেলা_html_88407781.png]]
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১৪১, মন্দির ১৬।


[[Image:ZianagarUpazila.jpg|thumb|400px]]
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান''  গড় হার  ৬১.২%, পুরুষ ৫৯.৯%, মহিলা ৬২.৪%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: জিয়ানগর ডিগ্রি কলেজ (২০০১), এইচএফ টেকনিক্যাল ও বিএম কলেজ (১৯৯৬), ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পারেরহাট রাজলক্ষ্মী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৯৮), মেহেরউদ্দিন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৯), দক্ষিণ ইন্দুরকানি এসএমএ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (১৯৬৭), টগরা দারুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসা (১৯৫৫), বিজিএম মহিলা দাখিল মাদ্রাসা (১৯৮০)।


সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'''  '''লাইব্রেরি ১৩, ক্লাব ১, সমিতি ২।
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ১৩, ক্লাব ১, সমিতি ২।


''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, নারিকেল, সুপারি, কলা, মিষ্টিআলু, মরিচ, খেসারী ডাল ও বাদাম।
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, নারিকেল, সুপারি, কলা, মিষ্টিআলু, মরিচ, খেসারী ডাল ও বাদাম।


যোগযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৩০ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১৭ কমি, কাঁচারাস্তা ২৭০ কিমি; নৌপথ ৮ নটিক্যাল মাইল। কালভার্ট ৯৪; ব্রিজ ৭২।
''যোগযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৫৪ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৫৪ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৭২ কিমি; নৌপথ ১২ কিমি। কালভার্ট ৯৪; ব্রিজ ৭২।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' গয়না নৌকা, পাল্কি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি।  
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' গয়না নৌকা, পাল্কি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি।  
৬১ নং লাইন: ৬৭ নং লাইন:
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১৬, মেলা ১। লাহুরি হাট, নতুন হাট, কালীবাড়ি হাট, বউডুবি হাট, পারেরহাট, ওয়াপদা হাট, ইন্দুরকানি হাট, খয়ের হাট, বোগলার হাট, পাটাসি হাট, রামচন্দ্রপুর হাট, খেজুরতলা হাট, ঘোষের হাট, বালি পাড়া হাট, চান্দীপুর হাট, মুন্সির হাট উল্লেখযোগ্য।  
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১৬, মেলা ১। লাহুরি হাট, নতুন হাট, কালীবাড়ি হাট, বউডুবি হাট, পারেরহাট, ওয়াপদা হাট, ইন্দুরকানি হাট, খয়ের হাট, বোগলার হাট, পাটাসি হাট, রামচন্দ্রপুর হাট, খেজুরতলা হাট, ঘোষের হাট, বালি পাড়া হাট, চান্দীপুর হাট, মুন্সির হাট উল্লেখযোগ্য।  


পানীয়জলের উৎস নলকূ ৭৬.৩৪%,ট্যাপ ০.৮৭%, পুকুর ১৯.০২% এবং অন্যান্য .৭৭%.
''বিদ্যুৎ ব্যবহার''  এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩০.৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ক্লিনিক , স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৭১.৭%, ট্যাপ .৩% এবং অন্যান্য ২৪.০%। এছাড়া উপজেলার অধিবাসীরা পুকুর নদীর পানিও পান  করে থাকে। এ উপজেলার  নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে।


[মোঃ মওদুদ আহমেদ]
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা''  এ উপজেলার ৭৫.৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২৩.৩% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১.০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; জিয়ানগর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ক্লিনিক ৪, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১।  [মোঃ মওদুদ আহমেদ]


<!-- imported from file: জিয়ানগর উপজেলা.html-->
'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; জিয়ানগর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Zianagar Upazila]]
[[en:Zianagar Upazila]]

১৮:১৮, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

জিয়ানগর উপজেলা (ইন্দুরকানী) (পিরোজপুর জেলা)  আয়তন: ৯৪.৫৯ বর্গ কিলোমিটার। অবস্থান: ২২°৩১´ থেকে ২২°৪০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°০১´ থেকে ৯০°০৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পিরোজপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলা, পূর্বে পিরোজপুর সদর ও ভান্ডারিয়া উপজেলা, পশ্চিমে মোরেলগঞ্জ উপজেলা ও বলেশ্বর নদী।

জনসংখ্যা ৭৭২১৭। পুরুষ ৩৭৯৪৭, মহিলা ৩৯২৭০। মুসলিম ৭০৯৬৩, হিন্দু ৬২২৯, খ্রিস্টান ২ এবং অন্যান্য ২৩।

জলাশয় প্রধান নদী: বলেশ্বর ও কচা।

প্রশাসন পিরোজপুর সদর উপজেলার পারেরহাট, বালিপাড়া ও পত্তাশী ইউনিয়নের ১২৮.৬৭ বর্গ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে ১৯৭৬ সালে ইন্দুরকানি থানা গঠিত হয়। ২০০২ সনের ২১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামানুসারে ইন্দুরকানি থানার নামকরণ হয় জিয়ানগর উপজেলা।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ২৯ ৪৮ ৬০৬৯ ৭১১৪৮ ৮১৬ ৬৮.১ ৬০.৬
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
৫.৮৯ ৬০৬৯ ১০৩০ ৬৮.১
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
পত্তাশী ৫১ ৮৭৭১ ১৩৮১৫ ১৪৫১৫ ৬৪.২
পারেরহাট ৪৩ ৫২৪৬ ৯১৬৯ ৯৩১৯ ৬৩.১
বালিপাড়া ১৫ ৯৩৫৯ ১৪৯৬৩ ১৫৪৩৬ ৫৭.১

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

মুক্তিযুদ্ধ উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি কোনো যুদ্ধ হয়নি। তবে এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা অন্যান্য এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সুন্দরবন এলাকা ও বাগেরহাটের রায়েন্দাসহ বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেন।

বিস্তারিত দেখুন ইন্দুরকানী উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ১।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৪১, মন্দির ১৬।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  গড় হার ৬১.২%, পুরুষ ৫৯.৯%, মহিলা ৬২.৪%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: জিয়ানগর ডিগ্রি কলেজ (২০০১), এইচএফ টেকনিক্যাল ও বিএম কলেজ (১৯৯৬), ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পারেরহাট রাজলক্ষ্মী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৯৮), মেহেরউদ্দিন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৯), দক্ষিণ ইন্দুরকানি এসএমএ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (১৯৬৭), টগরা দারুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসা (১৯৫৫), বিজিএম মহিলা দাখিল মাদ্রাসা (১৯৮০)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১৩, ক্লাব ১, সমিতি ২।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, নারিকেল, সুপারি, কলা, মিষ্টিআলু, মরিচ, খেসারী ডাল ও বাদাম।

যোগযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৫৪ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৫৪ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৭২ কিমি; নৌপথ ১২ কিমি। কালভার্ট ৯৪; ব্রিজ ৭২।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন গয়না নৌকা, পাল্কি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা আটার মিল ৫, রাইসমিল ১০, ইটভাটা ৪।

কুটিরশিল্প বাঁশ ও বেতের কাজ।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৬, মেলা ১। লাহুরি হাট, নতুন হাট, কালীবাড়ি হাট, বউডুবি হাট, পারেরহাট, ওয়াপদা হাট, ইন্দুরকানি হাট, খয়ের হাট, বোগলার হাট, পাটাসি হাট, রামচন্দ্রপুর হাট, খেজুরতলা হাট, ঘোষের হাট, বালি পাড়া হাট, চান্দীপুর হাট, মুন্সির হাট উল্লেখযোগ্য।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩০.৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৭১.৭%, ট্যাপ ৪.৩% এবং অন্যান্য ২৪.০%। এছাড়া উপজেলার অধিবাসীরা পুকুর ও নদীর পানিও পান করে থাকে। এ উপজেলার নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৭৫.৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২৩.৩% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১.০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ক্লিনিক ৪, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১। [মোঃ মওদুদ আহমেদ]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; জিয়ানগর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।