জালালাবাদ থানা

জালালাবাদ থানা (সিলেট মেট্রোপলিটন)  আয়তন: ১৩৩.৩৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৫৩´ থেকে ২৫°০১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৪২´ থেকে ৯১°৫২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা, দক্ষিণে কোতোয়ালী মডেল থানা, মোগলা বাজার থানা ও বিশ্বনাথ উপজেলা, পূর্বে বিমানবন্দর থানা ও গোয়াইনঘাট উপজেলা, পশ্চিমে কোম্পানীগঞ্জ, ছাতক ও বিশ্বনাথ উপজেলা।

জনসংখ্যা ৯১৮২২; পুরুষ ৪৬২৪৮, মহিলা ৪৫৫৭৪। মুসলিম ১৮৬৭৬৩, হিন্দু ১৯৮৯ এবং অন্যান্য ৭০।

জলাশয় সিংড়া নদী ও ডবু বিল উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন জালালাবাদ থানা ৪২ টি মৌজা ও ৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

থানা
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মহল্লা জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
৪২ - ১০১৮১৬ ৬৮৯ - ৩৭.৭১
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন আয়তন (বর্গ কিমি) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
কান্দিগাঁও ৩৪.৬০ ১৬৬৪২ ১৬২৪২ ৪০.১৪
জালালাবাদ ৩৩.৮৯ ৭১০১ ৬৯১১ ৩৪.২৮
মোগলগাঁও ৩০.২৭ ১১১৩৪ ১০৯৯১ ৩৬.৯৯
হাটখোলা ৩৪.৬০ ১১৩৬৫ ১১৪৩০ ৩৯.৪২

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নবাবী জামিয়া মসজিদ উল্লেখযোগ্য।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  গড় হার ৩৭.৭১%; পুরুষ ৪০.৫১%, মহিলা ৩৪.৯২%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিজিবি স্কুল, পাঠানটোলা মাদ্রাসা, শাহজালাল জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিডিআর সেক্টর হেড কোয়ার্টার, আনসার ট্রেনিং সেন্টার, হযরত শাহ খুররমের (রঃ) মাজার, কুমারগাঁও বাস টার্মিনাল, কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪৮.৭৬%, অকৃষি শ্রমিক ৯.৯৮%, শিল্প ০.৩৪%, ব্যবসা ৯.৮৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.০২%, চাকরি ৩.৩৯%, নির্মাণ ২.০৯%, ধর্মীয় সেবা ০.৩৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১০.৬৪% এবং অন্যান্য ১২.৬০%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪৩.৯৬%, ভূমিহীন ৫৬.০৪%।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি কলাই, মটরশুটি।

প্রধান ফল-ফলাদি  আম, কাঠাল, কুল, কলা, পেয়ারা।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ২৪.৭১ কি.মি, আধা-পাকারাস্তা ২২ কি.মি, কাঁচারাস্তা ১২৩ কি.মি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, সোয়ারি।

কুটিরশিল্প মোড়া, শীতলপাটি।

হাটবাজার ও মেলা ১৩। টুকের বাজার, মদিনা মার্কেট উল্লেখযোগ্য।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৫.৮৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৫৭.৭%, পুকুর ৩৫.২৮%, ট্যাপ ০.৫২% এবং অন্যান্য ৬.৫০%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ থানার ২৮.০৯% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৪.৬৮% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১৭.২৩% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ২, ক্লিনিক ২। মানসিক হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য।

এনজিও ব্র্যাক, এফআইভিডিবি, আশা। [সিরাজুল ইসলাম]

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।