জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Category:Banglapedia '''জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট... দিয়ে তৈরি পাতা)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১১ নং লাইন: ১১ নং লাইন:


ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সদর দপ্তরে মূল ভবন ছাড়াও  রয়েছে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ৬০টি আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা। গ্রন্থাগারে রয়েছে ৪ হাজারেরও অধিক বই এবং জার্নাল। এর মধ্যে প্রায় দু হাজারটি রয়েছে বাংলাদেশের জনসংখ্যা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত। বইপত্র, তথ্য এবং সাময়িকী সংগ্রহ করা ছাড়াও গ্রন্থাগারে রয়েছে দুটি কম্পিউটারভিত্তিক ডাটাবেজ (database) এবং পেশাগত ডাটাবেজ। ইনস্টিটিউটের গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের তথ্যাদি প্রচার করার জন্য বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই নিয়মিত নিউজ লেটার প্রকাশ করা হয়।  [এস.এম হুমায়ুন কবির]
ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সদর দপ্তরে মূল ভবন ছাড়াও  রয়েছে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ৬০টি আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা। গ্রন্থাগারে রয়েছে ৪ হাজারেরও অধিক বই এবং জার্নাল। এর মধ্যে প্রায় দু হাজারটি রয়েছে বাংলাদেশের জনসংখ্যা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত। বইপত্র, তথ্য এবং সাময়িকী সংগ্রহ করা ছাড়াও গ্রন্থাগারে রয়েছে দুটি কম্পিউটারভিত্তিক ডাটাবেজ (database) এবং পেশাগত ডাটাবেজ। ইনস্টিটিউটের গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের তথ্যাদি প্রচার করার জন্য বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই নিয়মিত নিউজ লেটার প্রকাশ করা হয়।  [এস.এম হুমায়ুন কবির]
__NOTOC__
 
<!-- imported from file: 102003.html-->
[[en:National Institute of Population Research and Training]]

০৫:১৯, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (National Institute of Population Research and Training/NIPORT)  জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির মধ্যবর্তী স্তরের ব্যবস্থাপকদের ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ১৯৭৭ সালের জুলাই মাসে জাতীয় জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নামে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ এবং প্রায়োগিক সমস্যার ক্ষেত্রে ডেমোগ্রাফিক (demographic), সামাজিক, বায়োমেডিক্যাল এবং উন্নত গবেষণার ক্রমবর্ধমান চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে ১৯৭৯ সালে জাতীয় জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একটি গবেষণা ইউনিট যুক্ত করা হয়। এ বর্ধিত ইনস্টিটিউটটিকে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট হিসেবে পুনঃনামকরণ করা হয়। ১৯৮০ সালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে বারোটি পরিবার কল্যাণ কর্মী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং পূর্বে জেলা প্রশিক্ষণ দল হিসেবে পরিচিত বিশটি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রায়োগিক ব্যবস্থাপনা জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৯৮৩ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে মা ও শিশুস্বাস্থ্য-পরিবার পরিকল্পনা (MCH-FP) কার্যক্রমের মধ্যবর্তী স্তরের কর্মসূচি ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণের আংশিক দায়িত্বও এ ইনস্টিটিউটের উপর অর্পণ করা হয়েছে।

ইনস্টিটিউটের সার্বিক প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা কার্যক্রম, জনশক্তি উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং প্রশিক্ষণের অগ্রাধিকার ও নিয়মনীতি পরিচালনার জন্য ১৯৮৫ সালের এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে একটি ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া গবেষণা কার্যক্রমকে জোরদার করার জন্য যথাযথ প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে জনসংখ্যা গবেষণার ওপর একটি জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটিও গঠন করা হয়েছে। নীতিনির্দেশনা প্রদান, অগ্রাধিকারযোগ্য গবেষণা এলাকা চিহ্নিতকরণ, গবেষণা কাজের মূল্যায়ন এবং গবেষণা কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন এ কমিটির দায়িত্ব। জনসংখ্যা এবং পরিকল্পনা কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রস্তাব এবং গবেষণা মঞ্জুরি, জনসংখ্যা গবেষণার নিমিত্তে গঠিত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির মাধ্যমে বিবেচনা করা হয়। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এ কমিটির সচিবালয় হিসেবে কাজ করে।

পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির বিভিন্ন সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে সমন্বিত করার জন্য ১৯৯০ সালে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি প্রশিক্ষণ সমন্বিতকরণ কমিটিও গঠিত হয়। বাংলাদেশে মা ও শিশুস্বাস্থ্য-পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের প্রধান লক্ষ্য হলো পরিবার কল্যাণ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা, বিশেষ করে মা এবং শিশুর ক্ষেত্রে জন্মদানে বিরতি এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে। এ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মূল ভূমিকা হলো প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা এবং যথাযথ গবেষণা পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কার্যক্রমের মান উন্নয়ন এবং বিস্তারের ব্যবস্থা করা। এ ইনস্টিটিউটের বিশেষ কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে ১. স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত ব্যবস্থাপক, প্যারামেডিক এবং মাঠকর্মীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে জনগণের কাছে MCH-Fp কার্যক্রমের সুবিধাদি পৌঁছানো; ২. প্রশিক্ষণের মান উন্নত করার জন্য প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা; ৩. এ কার্যক্রমকে জোরদার করার জন্য MCH-Fp কর্মসূচি সম্পর্কিত গবেষণা ও জরিপ পরিচালনা, পরামর্শ দান এবং সমন্বয় সাধন; ৪. জনসংখ্যা ও MCH-Fp সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণের সঙ্গে জড়িত সরকার এবং এনজিওগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন করা; এবং ৫. গবেষক, কর্মসূচি ব্যবস্থাপক এবং নীতি প্রণেতাদের নিকট গবেষণালব্ধ ফলাফল পৌঁছানো।

NIPORT একজন মহাপরিচালকের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং প্রশাসন এ তিনটি ইউনিটের প্রধানগণ তাঁকে সহায়তা করেন। মোট প্রায় ১০১৫ জন কর্মকর্তা এবং কর্মচারী জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে কর্মরত রয়েছেন।

১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট অন্যান্য প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথভাবে ২৮,৯২১ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দান করেছে এবং ২৪টি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ ইনস্টিটিউট বর্তমানে মা ও শিশুস্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির বিভিন্ন লক্ষ্য সমন্বিত দলকে বিভিন্ন প্রকারের প্রশিক্ষণ দানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সদর দপ্তরে মূল ভবন ছাড়াও  রয়েছে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ৬০টি আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা। গ্রন্থাগারে রয়েছে ৪ হাজারেরও অধিক বই এবং জার্নাল। এর মধ্যে প্রায় দু হাজারটি রয়েছে বাংলাদেশের জনসংখ্যা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত। বইপত্র, তথ্য এবং সাময়িকী সংগ্রহ করা ছাড়াও গ্রন্থাগারে রয়েছে দুটি কম্পিউটারভিত্তিক ডাটাবেজ (database) এবং পেশাগত ডাটাবেজ। ইনস্টিটিউটের গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের তথ্যাদি প্রচার করার জন্য বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই নিয়মিত নিউজ লেটার প্রকাশ করা হয়।  [এস.এম হুমায়ুন কবির]