জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়'''  ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ (২৮ নং আইন) বলে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ আইন বলে ঢাকার  [[জগন্নাথ কলেজ|জগন্নাথ কলেজ]] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকান্ড শুরু হয়। পূর্বতন জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য হয়।
'''জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়'''  ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ (২৮ নং আইন) বলে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ আইন বলে ঢাকার  [[জগন্নাথ কলেজ|জগন্নাথ কলেজ]] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকান্ড শুরু হয়। পূর্বতন জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য হয়।


[[Image:JagannathUniversity.jpg|thumb|right|400px||জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]]
বিশ্ববিদ্যালয়টি ১১.১১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। একটি প্রশাসনিক ভবন, কলা ভবন, বিজ্ঞান ভবন, সামাজিকবিজ্ঞান ভবন, বিজনেস স্টাডিজ ভবন, নতুন নির্মিত ৭ তলা ভবনসহ মোট ১০টি ভবন রয়েছে। একটি শহীদ মিনার এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্ত্ততি’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠাকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি অনুষদ, ২২ টি বিভাগে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজির প্রফেসর ড সিরাজুল ইসলাম খান। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে মোট ৪টি অনুষদ, ২৮টি বিভাগ, ১টি ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার।
বিশ্ববিদ্যালয়টি ১১.১১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। একটি প্রশাসনিক ভবন, কলা ভবন, বিজ্ঞান ভবন, সামাজিকবিজ্ঞান ভবন, বিজনেস স্টাডিজ ভবন, নতুন নির্মিত ৭ তলা ভবনসহ মোট ১০টি ভবন রয়েছে। একটি শহীদ মিনার এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্ত্ততি’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠাকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি অনুষদ, ২২ টি বিভাগে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজির প্রফেসর ড সিরাজুল ইসলাম খান। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে মোট ৪টি অনুষদ, ২৮টি বিভাগ, ১টি ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার।


[[Image:JagannathUniversity.jpg|thumb|right|জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]]
কলা অনুষদে অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলির মধ্যে রয়েছে: বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামিক স্টাডিজ, দর্শন ও আইন বিভাগ। বিজ্ঞান অনুষদে রয়েছে, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, গণিত, ভূগোল ও পরিবেশ, মনোবিজ্ঞান, ফার্মেসি, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে রয়েছে: রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগ। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে রয়েছে: হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স এবং মার্কেটিং বিভাগ। শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ২২৯। এর মধ্যে অধ্যাপক ২৫, সহযোগী অধ্যাপক ৩৬, সহকারি অধ্যাপক ৫৭ এবং প্রভাষক ১১১। এছাড়া প্রেষণে ১৭৮ জন শিক্ষক এখানে কর্মরত আছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ২৭০। নতুন ৭ তলা ভবনের ৬ তলায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি বেশ সমৃদ্ধ। গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ২০ হাজার। গ্রন্থাগারে ইন্টারনেট সুবিধাসহ দেশি-বিদেশি জার্নালের সংগ্রহ রয়েছে। এছাড়া ৪টি অনুষদ থেকে পৃথক পৃথক গবেষণা জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন আবাসিক সুবিধা না থাকলেও শিক্ষার্থী ও শিক্ষদের জন্য পরিবহণ সুবিধা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব চিকিৎসা কেন্দ্র আছে। প্রতিবছরের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়। এছাড়া অন্যান্য জাতীয় দিবসগুলিতে বিশ্ববিদ্যালয় নানা কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান উদ্যাপন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি তাদের কার্যক্রম পালন করে থাকে।   [মো. মামুনূর রশীদ]


কলা অনুষদে অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলির মধ্যে রয়েছে: বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামিক স্টাডিজ, দর্শন ও আইন বিভাগ। বিজ্ঞান অনুষদে রয়েছে, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, গণিত, ভূগোল ও পরিবেশ, মনোবিজ্ঞান, ফার্মেসি, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে রয়েছে: রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগ। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে রয়েছে: হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স এবং মার্কেটিং বিভাগ। শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ২২৯। এর মধ্যে অধ্যাপক ২৫, সহযোগী অধ্যাপক ৩৬, সহকারি অধ্যাপক ৫৭ এবং প্রভাষক ১১১। এছাড়া প্রেষণে ১৭৮ জন শিক্ষক এখানে কর্মরত আছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ২৭০। নতুন ৭ তলা ভবনের ৬ তলায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি বেশ সমৃদ্ধ। গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ২০ হাজার। গ্রন্থাগারে ইন্টারনেট সুবিধাসহ দেশি-বিদেশি জার্নালের সংগ্রহ রয়েছে। এছাড়া ৪টি অনুষদ থেকে পৃথক পৃথক গবেষণা জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন আবাসিক সুবিধা না থাকলেও শিক্ষার্থী ও শিক্ষদের জন্য পরিবহণ সুবিধা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব চিকিৎসা কেন্দ্র আছে। প্রতিবছরের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়। এছাড়া অন্যান্য জাতীয় দিবসগুলিতে বিশ্ববিদ্যালয় নানা কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান উদ্যাপন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি তাদের কার্যক্রম পালন করে থাকে।  [মো. মামুনূর রশীদ]
''আরও দেখুন''  [[জগন্নাথ কলেজ|জগন্নাথ কলেজ]]


[[en:Jagannath University]]
[[en:Jagannath University]]

০৫:৫৬, ৩০ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়  ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ (২৮ নং আইন) বলে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ আইন বলে ঢাকার  জগন্নাথ কলেজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকান্ড শুরু হয়। পূর্বতন জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয়টি ১১.১১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। একটি প্রশাসনিক ভবন, কলা ভবন, বিজ্ঞান ভবন, সামাজিকবিজ্ঞান ভবন, বিজনেস স্টাডিজ ভবন, নতুন নির্মিত ৭ তলা ভবনসহ মোট ১০টি ভবন রয়েছে। একটি শহীদ মিনার এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্ত্ততি’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠাকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি অনুষদ, ২২ টি বিভাগে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজির প্রফেসর ড সিরাজুল ইসলাম খান। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে মোট ৪টি অনুষদ, ২৮টি বিভাগ, ১টি ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার।

কলা অনুষদে অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলির মধ্যে রয়েছে: বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামিক স্টাডিজ, দর্শন ও আইন বিভাগ। বিজ্ঞান অনুষদে রয়েছে, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, গণিত, ভূগোল ও পরিবেশ, মনোবিজ্ঞান, ফার্মেসি, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে রয়েছে: রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগ। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে রয়েছে: হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স এবং মার্কেটিং বিভাগ। শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ২২৯। এর মধ্যে অধ্যাপক ২৫, সহযোগী অধ্যাপক ৩৬, সহকারি অধ্যাপক ৫৭ এবং প্রভাষক ১১১। এছাড়া প্রেষণে ১৭৮ জন শিক্ষক এখানে কর্মরত আছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ২৭০। নতুন ৭ তলা ভবনের ৬ তলায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি বেশ সমৃদ্ধ। গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ২০ হাজার। গ্রন্থাগারে ইন্টারনেট সুবিধাসহ দেশি-বিদেশি জার্নালের সংগ্রহ রয়েছে। এছাড়া ৪টি অনুষদ থেকে পৃথক পৃথক গবেষণা জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন আবাসিক সুবিধা না থাকলেও শিক্ষার্থী ও শিক্ষদের জন্য পরিবহণ সুবিধা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব চিকিৎসা কেন্দ্র আছে। প্রতিবছরের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়। এছাড়া অন্যান্য জাতীয় দিবসগুলিতে বিশ্ববিদ্যালয় নানা কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান উদ্যাপন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি তাদের কার্যক্রম পালন করে থাকে।  [মো. মামুনূর রশীদ]

আরও দেখুন জগন্নাথ কলেজ