চট্টগ্রাম বিভাগ

চট্টগ্রাম বিভাগ  আয়তন: ৩৩৭৭১.১৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২০°৪৩´ থেকে ২৪°১৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩২´ থেকে ৯২°৪১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও মায়ানমারের আরাকান প্রদেশ; পূর্বে ভারতের মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মায়ানমারের চীন প্রদেশ এবং পশ্চিমে ভোলা, শরিয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলা। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং চট্টগ্রাম জেলার পূর্বদিকে বিস্তৃত পার্বত্য অঞ্চল।

জনসংখ্যা ২৪২৯০৩৮৪, পুরুষ ৫২.০৩%, মহিলা ৪৭.৯৭%। মুসলিম ৭৯%, হিন্দু ১২.৬৫%, বৌদ্ধ ৭.০৮%, খ্রিস্টান ০.৮৪%, অন্যান্য ০.৪৩%।

জলাশয় প্রধান নদী: মেঘনা, তিতাস, কর্ণফুলি। উল্লেখযোগ্য দ্বীপ: সন্দ্বীপ, হাতিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও সেন্টমার্টিন।

প্রশাসন ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলে বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগ ১১টি জেলা নিয়ে গঠিত। ১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে সিলেট বিভাগ প্রতিষ্ঠা হলে বৃহত্তর সিলেট জেলা চট্টগ্রাম থেকে আলাদা হয়ে যায়। চট্টগ্রাম পৌরসভা ঘোষণা করা হয় ২৭ জুন ১৯৭৭ এবং সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয় ৩১ জুলাই ১৯৯০।

চট্টগ্রাম বিভাগ
আয়তন (বর্গ কিমি) সিটিকর্পোরেশন জেলা উপজেলা পৌরসভা ওয়ার্ড ইউনিয়ন জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম
৩৩৭৭১.১৮ ১১ ৯৭ ৪৪ ৩৬৩ ৯২২ ৬০২২৬৫০ ১৮২৬৭৭৩৪ ৭১৯ ৪৪.৩৭
সিটি কর্পোরেশন
সিটি কর্পোরেশন মেট্রোপলিটন থানা ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মহল্লা ও মৌজা
১২ ৪১ ২০৭
মেট্রোপলিটন থানা
মেট্রোপলিটন থানার নাম ও জিও কোড আয়তন (বর্গ কিমি) ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মহল্লা ও মৌজা জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
কর্ণফুলি ৩৯ ১৩৬.৫৯ ৭+১ (আংশিক) ২৭ ১৭৯১৪৮ ১৩১২ ৪৫.৭০
কোতয়ালী ৪১ ৭.৬৮ ৯+১ (আংশিক) ২৩ ২৮২৯৭৫ ৩৬৮৪৬ ৭৯.৬০
খুলশী ৪৩ ১৩.১২ ৩+১ (আংশিক) ৪৫ ২৪৩৩৫১ ১৮৫৪৮ ৬০.৩০
চান্দগাঁও ১৯ ২৫.৩২ ১১ ১৭৮৩৯০ ৭০৪৫ ৬২.৭০
ডবলমুরিং ২৮ ৮.১২ ৫+১ (আংশিক) ৪১ ২৫৯১৮১ ৩১৯১৯ ৬৩.১০
পাঁচলাইশ ৫৭ ৮.৩০ ১+১ (আংশিক) ১২ ১৪৮১২০ ১৭৮৪৬ ৬৯.২০
পাহাড়তলী ৫৫ ১৩.৩১ ১৪ ১২৭২৪৩ ৯৫৬০ ৬৭.৩০
বন্দর ২০ ২০.০৪ ১১ ২১৩৫৯৮ ১০৬৫৯ ৭২.৬০
বাকলিয়া ১০ ১২.৩৩ ৩+১ (আংশিক) ১৯৬৮৭৭ ১৫৯৬৭ ৫০.৫
বায়েজিদ বোস্তামী ১৬ ১৭.৫৮ ১২ ১৬৮০৫১ ৯৫৫৯ ৫৯.৫০
হালিশহর ৩৫ ৯.৬৪ ২+১ (আংশিক) ২৬ ১২৫২৫৫ ১২৯৯৩ ৬২.৪০
বিভাগের অন্যান্য তথ্য
জেলার নাম আয়তন (বর্গ কিমি) উপজেলা পৌরসভা ওয়ার্ড মহল্লা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
কক্সবাজার ২৪৯১.৮৬ ২৭ ৫৯ ৭১ ১৮৯ ৯৮৪ ১৭৭৩৭০৯ ৭১২ ৩০.১৮
কুমিল্লা ৩০৮৫.১৭ ১৬ ৫৪ ১৫০ ১৮০ ২৭০৩ ৩৫৮৬ ৪৫৯৫৫৫৭ ১৪৯০ ৪৫.৯৯
খাগড়াছড়ি ২৬৯৯.৫৫ ৬১ ৩৪ ১২০ ১৫৮১ ৫২৫৬৬৪ ১৯৫ ৪১.৮
চট্টগ্রাম ৫২৮২.৯৮ ১৪ ৫৪ ৯৬ ১৯৪ ৯৮৫ ১৩১০ ৬৬১২১৪০ ১২৫২ ৫৫.৫৫
চাঁদপুর ১৭০৪.০৬ ৬০ ১৯৮ ৮৭ ১০৬২ ১২৩৭ ২২৭১২২৯ ১৩৩৩ ৫০.৩
নোয়াখালী ৩৬০০.৯৯ ৪৫ ৯৩ ৮৬ ৯১৪ ৯৭৭ ৬৯৮৪৪৭ ৭১৫ ৫২.৩২
ফেনী ৯২৮.৩৪ ২৭ ৫৬ ৪৫ ৫৪০ ৫৭০ ৬৯৮৪৪৭ ১৩৩৬ ৫৪.২৭
বান্দরবন ৪৪৭৯.০৩ ৬১ ২৯ ৯৭ ১৫০১ ২৯৮১২০ ৬৭ ৩১.৭
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ১৯২৭.১১ ৩৯ ৯৭ ৯৮ ১০২৪ ১৩৩১ ২৩৯৮২৫৪ ১২৪৪ ৩৯.৪৬
রাঙ্গামাটি ৬১১৬.১৩ ১০ ৩৬ ৪৮ ১৬২ ১৩৪৪ ৫০৮১৮২ ৮৩ ৪৩.৬
লক্ষ্মীপুর ১৪৫৫.৯৬ ৩০ ৬০ ৫০ ৪৪৭ ৫৩৯ ১৪৮৯৯০১ ১০২৩ ৪২.৯

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৩৪০২৫, মন্দির ১৪০২, গির্জা ১৭৫, প্যাগোডা ১৬২, বৌদ্ধ বিহার ৪, মাযার ৬০৯, তীর্থস্থান ৯।

শিক্ষার হার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  গড় হার ৪৪.৪১%; পুরুষ ৪৮.৩৮%, মহিলা ৩৯.৮৪%। বিশ্ববিদ্যালয় ৬, চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় ২, কারিগরি শিক্ষা কলেজ ৪, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ১১, হোমিওপ্যাথ কলেজ ৭, ক্যাডেট কলেজ ১, কলেজ ৩৪৫, আইন কলেজ ৯, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২২০২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৭৮৬, কমিউনিটি স্কুল ৩৪১, কিন্ডার গার্টেন ৬৫, মেরিন একাডেমি ১, নার্সিং ইনস্টিটিউট ৫, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ৬, স্যাটেলাইট স্কুল ১০৪, মাদ্রাসা ২০১৭। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৬), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৮), ফেনী সরকারি কলেজ (১৯২২), স্যার আশুতোষ ডিগ্রি কলেজ (১৯৩৯), সাতকানিয়া কলেজ (১৯৪৯), কক্সবাজার সরকারি কলেজ  (১৯৬২), লক্ষীপুর সরকারি কলেজ (১৯৬৪), চকোরিয়া কলেজ (১৯৬৮), খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ (১৯৭৪), কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, জিলানী চিশতি কলেজ, ফরিদগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, হাইমচর ডিগ্রি কলেজ, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ, হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ, মতলব কলেজ, ফুলগাজী সরকারি কলেজ (১৯৭২), সোনাগাজী সরকারি কলেজ (১৯৭২), কুমিল্লা জেলা স্কুল (১৮৩৭), পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৪৫), নোয়াখালী জেলা স্কুল (১৮৫৩), অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৭৫), চন্ডীপুর মনসা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৪), বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৫), ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৭), বান্দারবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫২), আদমপুর ফাজিল মাদ্রাসা (১৯১৭), ফেণী আলিয়া মাদ্রাসা (১৯২৩)।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি  ৪৭.৯৪%, অকৃষি শ্রমিক ৪.৮০%, শিল্প ০.৯%, ব্যবসা ১৪.৩৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৮২%, চাকরি ১১.৯৩%, নির্মাণ ১.৮৮%, ধর্মীয়  সেবা ০.৩৪%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৪.৬৫% এবং অন্যান্য ১০.৮০%।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ও ক্লিনিক ১৯১, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০৭, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৫০৪, টি.বি হাসপাতাল ১০, সামরিক হাসপাতাল ২, কমিউনিটি হাসপাতাল ৫৮, মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ৩৭, পুলিশ হাসপাতাল ৯, রেলওয়ে হাসপাতাল ৮, পশু হাসপাতাল ২১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১১৪, দাতব্য চিকিৎসালয় ৬৮।  [সাজাহান মিয়া]

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা ও উপজেলাসমূহের সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।