চট্টগ্রাম কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এ কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রদের ভূমিকা ছিল গৌরবজনক। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলনে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এ কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রদের ভূমিকা ছিল গৌরবজনক। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলনে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।


বর্তমানে (২০১০) চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৭,০০০ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১৩৪। বর্তমানে এ কলেজে বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, গণিত, পরিসংখ্যান, ভূগোল, পালি, সংস্কৃত, উর্দু, আরবি এবং মনোবিজ্ঞানসহ মোট ১৭টি বিষয়ে স্নাতক এবং ১৮টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে।
বর্তমানে (২০১০) চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৭,০০০ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১৩৪। বর্তমানে এ কলেজে বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, গণিত, পরিসংখ্যান, ভূগোল, পালি, সংস্কৃত, উর্দু, আরবি এবং মনোবিজ্ঞানসহ মোট ১৭টি বিষয়ে স্নাতক এবং ১৮টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। [সাদাত উল্লাহ খান]
 
[সাদাত উল্লাহ খান]


[[en:Chittagong College]]
[[en:Chittagong College]]

০৫:৪৫, ৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

চট্টগ্রাম কলেজ  বৃহত্তর চট্টগ্রাম এলাকার প্রথম কলেজ। ১৮৩৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা স্কুল নামে প্রথম উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৩৩ বছর পর বিদ্যালয়টি ১৮৬৯ সালে ইন্টারমিডিয়েট কলেজে উন্নীত হয়। কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন মি. জে.সি বোস। এক বছর চলার পর অর্থাভাবে কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৮৭১ সালে মিরেরসরাই থানার ধুম নিবাসী রায় বাহাদুর গোলকচন্দ্র রায়ের দশ হাজার টাকা অনুদানে এটি পুনরায় চালু হয়।

প্রথমে কলেজে এফ.এ বা ফাস্ট আর্টস পর্যন্ত পড়ানো হতো। এর সঙ্গে ছিল প্লিডারশিপ পরীক্ষার জন্য আইন শিক্ষার ব্যবস্থা। ১৯০৯ সালে বিজ্ঞান বিভাগ খোলা হলে কলেজে আইন শিক্ষার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়। ১৯১০ সালে কলেজটি প্রথম শ্রেণির ডিগ্রি কলেজরূপে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি লাভ করে। এ সময় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞানে অনার্স পড়ানোর অনুমোদন পাওয়া যায়। ১৯২৪ সালে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ শামসুল উলেমা কামালউদ্দীন আহমদ অধ্যক্ষ হয়ে আসেন। চট্টগ্রাম কলেজে তিনিই প্রথম মুসলমান অধ্যক্ষ। ১৯৪৮ সালে আই.এসসি-তে জীববিজ্ঞান এবং বি.এ শ্রেণিতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয় খোলা হয়। ১৯৫৫ সালে কলেজে অনার্স পড়ার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়। পরে ১৯৬০ সালে ইংরেজি, বাংলা, অর্থনীতি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিতে আবার অনার্স পড়ানোর স্বীকৃতি পাওয়া যায়। ১৯৬২ সালে বি.এসসি-তে প্রাণিবিদ্যা ও উদ্ভিদবিদ্যা এবং বি.এ, বি.এসসি-তে পরিসংখ্যান চালু করা হয়।

পাকিস্তান আমলের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধীনে বিজ্ঞান গবেষণাগারসমূহের প্রভূত উন্নয়ন এবং বিশাল প্রশাসনিক ভবন, রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞান ভবন, শিক্ষক নিবাস, নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণ, পুরাতন ছাত্রাবাসের সম্প্রসারণ ইত্যাদি উন্নয়নমূলক কাজ হয়। চট্টগ্রাম কলেজ গ্রন্থাগারে বর্তমানে ৬০ হাজারের অধিক বই রয়েছে। উপমহাদেশের বহু জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি এ কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। এঁদের মধ্যে আছেন সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত, ড. জনার্দন চক্রবর্তী, ড. ভবতোষ দত্ত, ড. সুবোধ সেনগুপ্ত, যোগেশচন্দ্র সিংহ, মুহম্মদ মনসুরউদ্দিন এবং মোতাহার হোসেন চৌধুরী। ছাত্রদের মধ্যেও রয়েছেন আজকের অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তি। প্রিয়দারঞ্জন রায়,  হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী, আসহাবউদ্দীন আহমদ, ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং ড.  আহমদ শরীফ এ কলেজের ছাত্র ছিলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এ কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রদের ভূমিকা ছিল গৌরবজনক। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলনে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।

বর্তমানে (২০১০) চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৭,০০০ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১৩৪। বর্তমানে এ কলেজে বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, গণিত, পরিসংখ্যান, ভূগোল, পালি, সংস্কৃত, উর্দু, আরবি এবং মনোবিজ্ঞানসহ মোট ১৭টি বিষয়ে স্নাতক এবং ১৮টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। [সাদাত উল্লাহ খান]