গুলশান ক্লাব
গুলশান ক্লাব ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার গুলশান, বনানী ও বারিধারার কতিপয় ব্যক্তির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অ্যাক্ট ১৯৯৩-এর আওতায় ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এ অ্যাক্ট অনুযায়ী ক্লাবের নাম নির্ধারিত হয় গুলশান ক্লাব লিমিটেড। শুধু গুলশান, বনানী ও বারিধারার অধিবাসীরাই এ ক্লাবের সদস্য হতে পারেন। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রমও হয়। ক্লাবের কার্যসূচি পরিচালনার জন্য সভাপতি সহ ১২ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদ আছে। ক্লাবে আট ধরনের সদস্য রয়েছে যেমন, স্থায়ী সদস্য, ডোনার, আজীবন সদস্য প্রভৃতি। ক্লাবের নিয়মানুযায়ী সদস্য সংখ্যা ৯০০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ক্লাবটির ভবন একতালা ছিল। পরবর্তী পর্যায়ে এটিকে সম্প্রসারণ করা হয়। গুলশান ক্লাবকে পারিবারিক ক্লাব বলা হয়, কেননা পরিবারের সকল সদস্য বিনোদনের জন্য ক্লাবে সময় কাটাতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে খেলাধুলা ছাড়া বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা সীমিত ছিল। তবে বর্তমানে ক্লাবের কর্মসূচি বিস্তৃত হয়েছে। ক্লাবে এখন রেস্টুরেন্ট, জিম, টেনিস কোর্ট, স্কোয়াশ কোর্ট ইত্যাদির সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
প্রায় দুই বছর পূর্বে (২০০৭) ক্লাবে কলোসিয়াম নিমার্ণ করা হয়। প্রতি সপ্তাহে কলোসিয়ামে চলচ্চিত্র দেখানো হয়। এ ক্লাবে একটি লাইব্রেরিও রয়েছে। সম্প্রতি গুলশান ক্লাব শহরের বাইরের অতিথিদের জন্য একটি রেস্ট হাউজ তৈরি করেছে।
গুলশান ক্লাবে বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মিলাদ মাহফিল, বার্ষিক বনভোজন, সঙ্গীত সন্ধ্যা, পিঠা উৎসব, বিশব ভালোবাসা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ফ্যাশনশোসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। [নাজমা সিদ্দিকী]