খালিকুজ্জামান, চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''খালিকুজ্জামান, চৌধুরী''' (১৮৮৯-? )  আইনজীবি, রাজনীতিক ও পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। তিনি ১৮৮৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর লক্ষেণŠতে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্র অবস্থায়ই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন এবং বলকান যুদ্ধের সময় ডাঃ আনসারীর নেতৃত্বে প্রেরিত মেডিক্যাল টীম-এ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তুরস্কে যান। তিনি আলীগড় মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজে পড়াশুনা করেন। অতঃপর তিনি লক্ষ্ণৌতে আইন ব্যবসা শুরু করেন। খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি দ’ুবছর কারাবরণ করেন।
'''খালিকুজ্জামান, চৌধুরী''' (১৮৮৯-? )  আইনজীবি, রাজনীতিক ও পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। তিনি ১৮৮৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর লখনৌতিতে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্র অবস্থায়ই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন এবং বলকান যুদ্ধের সময় ডাঃ আনসারীর নেতৃত্বে প্রেরিত মেডিক্যাল টীম-এ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তুরস্কে যান। তিনি আলীগড় মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজে পড়াশুনা করেন। অতঃপর তিনি লক্ষ্ণৌতে আইন ব্যবসা শুরু করেন। খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি দ’ুবছর কারাবরণ করেন।


খালিকুজ্জামান প্রথমে ১৯২৩ সালে এবং পরে ১৯২৬ ও ১৯৩৫ সালে লক্ষ্ণৌ মিউনিসিপ্যাল বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি কংগ্রেস দলীয় পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। ১৯৩৬ সালে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তিনি আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং যুক্ত প্রদেশে মুসলিম লীগ পার্লামেন্টারী পার্টির নেতা নির্বাচিত হন। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি ওই পদে বহাল ছিলেন। তিনি সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটিরও সদস্য ছিলেন। মুসলিম লীগ হাই কমান্ডের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ক্রিপস মিশন ও সিমলা সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দেশ বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগের আহবায়ক নির্বাচিত হন। পরে  দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ১৯৫০ সালের মধ্যভাগে দলের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
খালিকুজ্জামান প্রথমে ১৯২৩ সালে এবং পরে ১৯২৬ ও ১৯৩৫ সালে লক্ষ্ণৌ মিউনিসিপ্যাল বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি কংগ্রেস দলীয় পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। ১৯৩৬ সালে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তিনি আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং যুক্ত প্রদেশে মুসলিম লীগ পার্লামেন্টারী পার্টির নেতা নির্বাচিত হন। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি ওই পদে বহাল ছিলেন। তিনি সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটিরও সদস্য ছিলেন। মুসলিম লীগ হাই কমান্ডের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ক্রিপস মিশন ও সিমলা সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দেশ বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগের আহবায়ক নির্বাচিত হন। পরে  দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ১৯৫০ সালের মধ্যভাগে দলের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

১০:৫১, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

খালিকুজ্জামান, চৌধুরী (১৮৮৯-? )  আইনজীবি, রাজনীতিক ও পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। তিনি ১৮৮৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর লখনৌতিতে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্র অবস্থায়ই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন এবং বলকান যুদ্ধের সময় ডাঃ আনসারীর নেতৃত্বে প্রেরিত মেডিক্যাল টীম-এ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তুরস্কে যান। তিনি আলীগড় মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজে পড়াশুনা করেন। অতঃপর তিনি লক্ষ্ণৌতে আইন ব্যবসা শুরু করেন। খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি দ’ুবছর কারাবরণ করেন।

খালিকুজ্জামান প্রথমে ১৯২৩ সালে এবং পরে ১৯২৬ ও ১৯৩৫ সালে লক্ষ্ণৌ মিউনিসিপ্যাল বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি কংগ্রেস দলীয় পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। ১৯৩৬ সালে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তিনি আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং যুক্ত প্রদেশে মুসলিম লীগ পার্লামেন্টারী পার্টির নেতা নির্বাচিত হন। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি ওই পদে বহাল ছিলেন। তিনি সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটিরও সদস্য ছিলেন। মুসলিম লীগ হাই কমান্ডের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ক্রিপস মিশন ও সিমলা সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দেশ বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগের আহবায়ক নির্বাচিত হন। পরে  দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ১৯৫০ সালের মধ্যভাগে দলের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

চৌধুরী খালিকুজ্জামান ১৯৫৩ সালের ৪ এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিযুক্ত হন এবং ১৯৫৪ সালের ৩০ মে পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেন।  [আবু জাফর]