খায়েরউদ্দিন, খাজা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:KhairuddinKhwaja.jpg|thumb|right|খাজা খায়েরউদ্দিন]]
'''খায়েরউদ্দিন, খাজা''' (১৯২১-১৯৯৩)  রাজনীতিক। ১৯২১ সালের ৪ জুলাই ঢাকার নওয়াব পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা সৈয়দ খাজা আলাউদ্দিন এবং মাতা শাহজাদী বেগম। ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাইস্কুলে খাজা খায়েরউদ্দিনের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৩ সালে বি.এ পাস করেন।
'''খায়েরউদ্দিন, খাজা''' (১৯২১-১৯৯৩)  রাজনীতিক। ১৯২১ সালের ৪ জুলাই ঢাকার নওয়াব পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা সৈয়দ খাজা আলাউদ্দিন এবং মাতা শাহজাদী বেগম। ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাইস্কুলে খাজা খায়েরউদ্দিনের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৩ সালে বি.এ পাস করেন।


৫ নং লাইন: ৬ নং লাইন:


১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের পর যেসব নেতার উপর মুসলিম লীগ পুনর্গঠনের দায়িত্ব অর্পিত হয় তাদের অন্যতম ছিলেন খাজা খায়েরউদ্দিন। তিনি ১৯৫৬-৫৭ সালে ঢাকা পৌরসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬০ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি খাজা নাজিমউদ্দিনের নেতৃত্বে কাউন্সিল মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং ১৯৬৫ সালে প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। খাজা খায়েরউদ্দিন ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইয়ুব খানের বিপক্ষে মিস ফাতেমা জিন্নাহকে সমর্থন দেন।  
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের পর যেসব নেতার উপর মুসলিম লীগ পুনর্গঠনের দায়িত্ব অর্পিত হয় তাদের অন্যতম ছিলেন খাজা খায়েরউদ্দিন। তিনি ১৯৫৬-৫৭ সালে ঢাকা পৌরসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬০ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি খাজা নাজিমউদ্দিনের নেতৃত্বে কাউন্সিল মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং ১৯৬৫ সালে প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। খাজা খায়েরউদ্দিন ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইয়ুব খানের বিপক্ষে মিস ফাতেমা জিন্নাহকে সমর্থন দেন।  
[[Image:KhairuddinKhwaja.jpg|thumb|right|খাজা খায়েরউদ্দিন]]


খাজা খায়েরউদ্দিন ১৯৬৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং চীফ হুইপ নিযুক্ত হন। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের সময় তিনি ত্রিধা-বিভক্ত মুসলিম লীগ একীভূত করার চেষ্টা করেন। তিনি ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় খাজা খায়েরউদ্দিন শান্তি কমিটির আহবায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি দালাল আইনে অভিযুক্ত হয়ে কারারুদ্ধ হন। পরে তিনি পাকিস্তানে চলে যান এবং সেখানে মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
খাজা খায়েরউদ্দিন ১৯৬৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং চীফ হুইপ নিযুক্ত হন। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের সময় তিনি ত্রিধা-বিভক্ত মুসলিম লীগ একীভূত করার চেষ্টা করেন। তিনি ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় খাজা খায়েরউদ্দিন শান্তি কমিটির আহবায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি দালাল আইনে অভিযুক্ত হয়ে কারারুদ্ধ হন। পরে তিনি পাকিস্তানে চলে যান এবং সেখানে মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।


১৯৯৩ সালের ৩ অক্টোবর করাচিতে তাঁর মৃত্যু হয়।
১৯৯৩ সালের ৩ অক্টোবর করাচিতে তাঁর মৃত্যু হয়। [মোঃ আলমগীর]
 
[মোঃ আলমগীর]


[[en:Khaeruddin, Khwaja]]
[[en:Khaeruddin, Khwaja]]

১০:৪৪, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

খাজা খায়েরউদ্দিন

খায়েরউদ্দিন, খাজা (১৯২১-১৯৯৩)  রাজনীতিক। ১৯২১ সালের ৪ জুলাই ঢাকার নওয়াব পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা সৈয়দ খাজা আলাউদ্দিন এবং মাতা শাহজাদী বেগম। ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাইস্কুলে খাজা খায়েরউদ্দিনের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৩ সালে বি.এ পাস করেন।

১৯৪১ সালে খাজা খায়েরউদ্দিন মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। এ সময় তিনি ছাত্র ও তরুণদের মুসলিম লীগের পক্ষে সংঘটিত করেন। ১৯৪৬ সালে খাজা খায়েরউদ্দিন প্রাদেশিক এবং কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের পর যেসব নেতার উপর মুসলিম লীগ পুনর্গঠনের দায়িত্ব অর্পিত হয় তাদের অন্যতম ছিলেন খাজা খায়েরউদ্দিন। তিনি ১৯৫৬-৫৭ সালে ঢাকা পৌরসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬০ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি খাজা নাজিমউদ্দিনের নেতৃত্বে কাউন্সিল মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং ১৯৬৫ সালে প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। খাজা খায়েরউদ্দিন ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইয়ুব খানের বিপক্ষে মিস ফাতেমা জিন্নাহকে সমর্থন দেন।

খাজা খায়েরউদ্দিন ১৯৬৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং চীফ হুইপ নিযুক্ত হন। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের সময় তিনি ত্রিধা-বিভক্ত মুসলিম লীগ একীভূত করার চেষ্টা করেন। তিনি ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় খাজা খায়েরউদ্দিন শান্তি কমিটির আহবায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি দালাল আইনে অভিযুক্ত হয়ে কারারুদ্ধ হন। পরে তিনি পাকিস্তানে চলে যান এবং সেখানে মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৯৩ সালের ৩ অক্টোবর করাচিতে তাঁর মৃত্যু হয়। [মোঃ আলমগীর]