খান, মুহম্মদ সিদ্দিক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:KhanMuhammadSiddiq.jpg|right|thumbnail|300px|মুহম্মদ সিদ্দিক খান]]
'''খান, মুহম্মদ সিদ্দিক''' (১৯১০-১৯৭৮)  শিক্ষাবিদ, লেখক, সংগঠক, গ্রন্থাগারিক। তিনি এমএসখান নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯১০ সালের ২১ মার্চ পিতার কর্মস্থল বার্মায়। পিতা ইসরাইল খান বিএবিএল। তাঁর পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ধুবুরিয়া গ্রামে।
'''খান, মুহম্মদ সিদ্দিক''' (১৯১০-১৯৭৮)  শিক্ষাবিদ, লেখক, সংগঠক, গ্রন্থাগারিক। তিনি এমএসখান নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯১০ সালের ২১ মার্চ পিতার কর্মস্থল বার্মায়। পিতা ইসরাইল খান বিএবিএল। তাঁর পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ধুবুরিয়া গ্রামে।



০৯:৩৮, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মুহম্মদ সিদ্দিক খান

খান, মুহম্মদ সিদ্দিক (১৯১০-১৯৭৮)  শিক্ষাবিদ, লেখক, সংগঠক, গ্রন্থাগারিক। তিনি এমএসখান নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯১০ সালের ২১ মার্চ পিতার কর্মস্থল বার্মায়। পিতা ইসরাইল খান বিএবিএল। তাঁর পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ধুবুরিয়া গ্রামে।

তাঁর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত হয় রেঙ্গুনে। ১৯২৫ সালে তিনি ম্যাট্রি্কুলেশন পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯২৭ সালে আইএ পরীক্ষাতে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং জার্ডিন পুরস্কার পান। ১৯২৯ সালে তিনি ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে সম্মানসহ বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৩১ সালে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএল এবং ১৯৩৬ সালে ইতিহাসে এমএ পাস করেন।

১৯৩১ সালে তিনি ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ইতিহাসের প্রভাষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। উক্তপদে তিনি ১৯৪১ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জাপানি আগ্রাসনের সময় তিনি কলকাতায় চলে আসেন।

১৯৪৩-১৯৪৪ সালে তিনি কলকাতার গভর্ণমেন্ট অব বেঙ্গলের স্বরাষ্ট্র (প্রতিরক্ষা) মন্ত্রণালয়ের অধীন সিভিল ডিফেন্সের পোস্ট রেইড ইনফরমেশন সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত অফিসার পদে নিযুক্ত হন। ১৯৪৪-১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতায় বাংলা সরকারের লিয়াজোঁ অফিসার ছিলেন। ১৯৪৬-১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতায় রেডক্রস সোসাইটির প্রাদেশিক শাখায় সহকারী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তিনি পূর্ব পাকিস্তান চলে আসেন। ১৯৪৮-১৯৫০ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের ইস্ট পাকিস্তান ট্রেডিং কর্পোরেশনের ম্যানেজার এবং একই বছর তিনি মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৫১-১৯৫২ সাল পর্যন্ত তিনি ’পাকিস্তান রিফিউজি রিহ্যাভিলিটেশন ফিন্যান্স কর্পোরেশন’-এর সেক্রেটারি ছিলেন। ১৯৫৩ সালে এমএসখান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সচিব পদে নিয়োগ পান। ১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগারিক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তিনি বিলেত গমন করেন। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৫৬ সালে দেশে ফিরে নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেন। তাঁর উদ্যোগে ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ’গ্রন্থাগার বিজ্ঞান’ বিভাগ খোলা হয়। তিনি ১৯৫৯-১৯৭২ সাল পর্যন্ত উক্ত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৭-১৯৬০ সাল পর্যন্ত Asian Federation of Library Association-এর সহসভাপতি ছিলেন। ১৯৬০ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত Regional Seminar of Library Development in Southeast Asia সেমিনারে ইউনেস্কো বিশেষজ্ঞ এবং University Library গ্রুপের প্রধান হিসেবে কাজ করেন। তিনি ১৯৬৯-১৯৭২ সাল পর্যন্ত ঢাকার সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরির ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক হিসেবে কাজ করেন।

তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: বাংলা মূদ্রণ ও প্রকাশনের গোড়ার কথা (বাংলা ১৩৭১), গ্রন্থাগার বিজ্ঞান (১৩৭২), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিকথা (১৯৬৮), সহস্র বলাকা (১৯৬২)। তাঁর দুটি সংকলনগ্রন্থ-মুহম্মদ সিদ্দিক খান রচনাবলী ১ম খন্ড এবং Complete ডড়ৎশং of Siddiq Khan, 2nd Vol. শিরোনামে ১৯৯৪ ও ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়। ১৯৩৬ সালে তিনি ইয়াকুব আলী স্বর্ণপদক লাভ করেন। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এমএসখান ফাউন্ডেশন। ১৯৭৮ সালের ১০ আগস্ট তাঁর মৃত্যু হয়।  [মোহাম্মদ কবিরুল হাসান]