খান, মুস্তাফিজুর রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:KhanMustafizurRahman.jpg|thumb|400px|right|মুস্তাফিজুর রহমান খান]]
'''খান, মুস্তাফিজুর রহমান'''  (১৯১০-১৯৯৬)  জনসেবক ও বীমা শিল্পনেতা। মুস্তাফিজুর রহমান খান ১৯১০ সালের ১০ জুন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। মানিকঞ্জ জেলার পারিল গ্রামের প্রখ্যাত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মতীয়র রহমান খানের দ্বিতীয় পুত্র মুস্তাফিজুর রহমান খান। তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মক্তবে। তিনি ম্যাট্রিক, আইকম ও বিকম প্রতিটি পরীক্ষায়ই অবিভক্ত বাংলার মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।
'''খান, মুস্তাফিজুর রহমান'''  (১৯১০-১৯৯৬)  জনসেবক ও বীমা শিল্পনেতা। মুস্তাফিজুর রহমান খান ১৯১০ সালের ১০ জুন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। মানিকঞ্জ জেলার পারিল গ্রামের প্রখ্যাত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মতীয়র রহমান খানের দ্বিতীয় পুত্র মুস্তাফিজুর রহমান খান। তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মক্তবে। তিনি ম্যাট্রিক, আইকম ও বিকম প্রতিটি পরীক্ষায়ই অবিভক্ত বাংলার মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।


৫ নং লাইন: ৬ নং লাইন:


১৯৪৭-এর পূর্বে কলকাতার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। সাংবাদিকতা ছেড়ে একজন বীমাকর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৫০ সালে ধর্মীয় কারণে মুসলমান সমাজে জীবন বীমা উপেক্ষিত। তিনি জীবন বীমাকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করেন, যেমন শহরে, গ্রামেগঞ্জে মার্কেটিং, বীমা একটি নিরাপত্তা বলয় এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার ব্যবস্থা ইত্যাদি। এ সব কর্মকান্ডে বিশেষ সাফল্যের জন্য মুস্তাফিজুর রহমান খান বীমা মহলে এক বড় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন এবং বীমা কোম্পানিসমূহে একের পর এক বড় দায়িত্ব লাভ করেন; যেমন ইস্টার্ণ ফেডারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানী, ইস্ট পাকিস্তান কোঅপারেটিভ ইন্সুরেন্স সোসাইটি, পাকিস্তান ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন, লাইফ ইন্সুরেন্স, কোঅপারেটিভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, কর্ণফুলী বীমা কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানী।  তিনি দীর্ঘ ৬৮ বছর এই পেশায় নিয়োজিত থেকে ইন্সুরেন্সকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এবং পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি মর্যাদার পেশা ও শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
১৯৪৭-এর পূর্বে কলকাতার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। সাংবাদিকতা ছেড়ে একজন বীমাকর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৫০ সালে ধর্মীয় কারণে মুসলমান সমাজে জীবন বীমা উপেক্ষিত। তিনি জীবন বীমাকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করেন, যেমন শহরে, গ্রামেগঞ্জে মার্কেটিং, বীমা একটি নিরাপত্তা বলয় এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার ব্যবস্থা ইত্যাদি। এ সব কর্মকান্ডে বিশেষ সাফল্যের জন্য মুস্তাফিজুর রহমান খান বীমা মহলে এক বড় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন এবং বীমা কোম্পানিসমূহে একের পর এক বড় দায়িত্ব লাভ করেন; যেমন ইস্টার্ণ ফেডারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানী, ইস্ট পাকিস্তান কোঅপারেটিভ ইন্সুরেন্স সোসাইটি, পাকিস্তান ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন, লাইফ ইন্সুরেন্স, কোঅপারেটিভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, কর্ণফুলী বীমা কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানী।  তিনি দীর্ঘ ৬৮ বছর এই পেশায় নিয়োজিত থেকে ইন্সুরেন্সকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এবং পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি মর্যাদার পেশা ও শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
[[Image:KhanMustafizurRahman.jpg|thumb|400px|right|মুস্তাফিজুর রহমান খান
]]


১৯৪৭-এর পর থেকে তিনি ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। ১৯৫২ সাল থেকে তিনি তার ৩৬ নং স্বামীবাগের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। এই বাড়িটি ছিল তৎকালীন নানা দলের, নানা মতের, নানা বয়সের কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মিলনস্থল। পাকিস্তান জান্তা কর্তৃক বাড়িটি একাধিকবার রেইড হয়। মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস তিনি ঢাকায় বসেই তাঁর মত করে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তিনি আজীবন সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Commerce faculty-র খন্ডকালীন শিক্ষক ও পরীক্ষক ছিলেন। দীর্ঘদিন [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] Court সদস্য, সিনেট সদস্য হিসেবে তাঁর মেধা মনন দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। তিনি ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বাবার নামে ‘মতীয়র রহমান খান ট্রাস্ট ফান্ড’ ও মায়ের নামে ‘সালেকুন্নেসা গোল্ড মেডেল’ প্রবর্তন করেছেন। তিনি [[বাংলা একাডেমী|বাংলা একাডেমী]] ও [[বাংলা একাডেমী|বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি]]র আজীবন সদস্য ছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এশিয়াটিক সোসাইটিতে তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে ১৯৮৬ সালে ‘সালেহা খানম ট্রাস্ট ফান্ড‘ প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। যেমন, রেডক্রস সোসাইটির তিনি ছিলেন আজীবন সক্রিয় সদস্য। ১৯৯৬ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।  [মাহফুজা খানম]
১৯৪৭-এর পর থেকে তিনি ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। ১৯৫২ সাল থেকে তিনি তার ৩৬ নং স্বামীবাগের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। এই বাড়িটি ছিল তৎকালীন নানা দলের, নানা মতের, নানা বয়সের কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মিলনস্থল। পাকিস্তান জান্তা কর্তৃক বাড়িটি একাধিকবার রেইড হয়। মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস তিনি ঢাকায় বসেই তাঁর মত করে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তিনি আজীবন সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Commerce faculty-র খন্ডকালীন শিক্ষক ও পরীক্ষক ছিলেন। দীর্ঘদিন [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] Court সদস্য, সিনেট সদস্য হিসেবে তাঁর মেধা মনন দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। তিনি ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বাবার নামে ‘মতীয়র রহমান খান ট্রাস্ট ফান্ড’ ও মায়ের নামে ‘সালেকুন্নেসা গোল্ড মেডেল’ প্রবর্তন করেছেন। তিনি [[বাংলা একাডেমী|বাংলা একাডেমী]] ও [[বাংলা একাডেমী|বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি]]র আজীবন সদস্য ছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এশিয়াটিক সোসাইটিতে তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে ১৯৮৬ সালে ‘সালেহা খানম ট্রাস্ট ফান্ড‘ প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। যেমন, রেডক্রস সোসাইটির তিনি ছিলেন আজীবন সক্রিয় সদস্য। ১৯৯৬ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।  [মাহফুজা খানম]


[[en:Khan, Mustafizur Rahman]]
[[en:Khan, Mustafizur Rahman]]

০৯:৩৭, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মুস্তাফিজুর রহমান খান

খান, মুস্তাফিজুর রহমান  (১৯১০-১৯৯৬)  জনসেবক ও বীমা শিল্পনেতা। মুস্তাফিজুর রহমান খান ১৯১০ সালের ১০ জুন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। মানিকঞ্জ জেলার পারিল গ্রামের প্রখ্যাত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মতীয়র রহমান খানের দ্বিতীয় পুত্র মুস্তাফিজুর রহমান খান। তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মক্তবে। তিনি ম্যাট্রিক, আইকম ও বিকম প্রতিটি পরীক্ষায়ই অবিভক্ত বাংলার মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।

ছাত্রাবস্থায়ই তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। যোগ দেন সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতা মন্ত্রে উজ্জীবিত বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতি এবং পরবর্তীকালে যুগান্তর দলে। চট্টগ্রামে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, মাস্টারদা সূর্যসেনের ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন’ দলের তিনি একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

১৯৪৭-এর পূর্বে কলকাতার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। সাংবাদিকতা ছেড়ে একজন বীমাকর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৫০ সালে ধর্মীয় কারণে মুসলমান সমাজে জীবন বীমা উপেক্ষিত। তিনি জীবন বীমাকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করেন, যেমন শহরে, গ্রামেগঞ্জে মার্কেটিং, বীমা একটি নিরাপত্তা বলয় এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার ব্যবস্থা ইত্যাদি। এ সব কর্মকান্ডে বিশেষ সাফল্যের জন্য মুস্তাফিজুর রহমান খান বীমা মহলে এক বড় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন এবং বীমা কোম্পানিসমূহে একের পর এক বড় দায়িত্ব লাভ করেন; যেমন ইস্টার্ণ ফেডারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানী, ইস্ট পাকিস্তান কোঅপারেটিভ ইন্সুরেন্স সোসাইটি, পাকিস্তান ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন, লাইফ ইন্সুরেন্স, কোঅপারেটিভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, কর্ণফুলী বীমা কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানী।  তিনি দীর্ঘ ৬৮ বছর এই পেশায় নিয়োজিত থেকে ইন্সুরেন্সকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এবং পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি মর্যাদার পেশা ও শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

১৯৪৭-এর পর থেকে তিনি ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। ১৯৫২ সাল থেকে তিনি তার ৩৬ নং স্বামীবাগের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। এই বাড়িটি ছিল তৎকালীন নানা দলের, নানা মতের, নানা বয়সের কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মিলনস্থল। পাকিস্তান জান্তা কর্তৃক বাড়িটি একাধিকবার রেইড হয়। মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস তিনি ঢাকায় বসেই তাঁর মত করে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তিনি আজীবন সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Commerce faculty-র খন্ডকালীন শিক্ষক ও পরীক্ষক ছিলেন। দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় Court সদস্য, সিনেট সদস্য হিসেবে তাঁর মেধা মনন দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। তিনি ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বাবার নামে ‘মতীয়র রহমান খান ট্রাস্ট ফান্ড’ ও মায়ের নামে ‘সালেকুন্নেসা গোল্ড মেডেল’ প্রবর্তন করেছেন। তিনি বাংলা একাডেমীবাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির আজীবন সদস্য ছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এশিয়াটিক সোসাইটিতে তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে ১৯৮৬ সালে ‘সালেহা খানম ট্রাস্ট ফান্ড‘ প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। যেমন, রেডক্রস সোসাইটির তিনি ছিলেন আজীবন সক্রিয় সদস্য। ১৯৯৬ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।  [মাহফুজা খানম]