খানজাহান আলী থানা

খানজাহান আলী থানা (খুলনা মেট্রোপলিটন)  আয়তন: ৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৫৩´ থেকে ২২°৫৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৯´ থেকে ৮৯°৩১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ফুলতলা উপজেলা, দক্ষিণে ডুমুরিয়া উপজেলা, পূর্বে দিঘলিয়া ও দৌলতপুর উপজেলা, পশ্চিমে ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলা।

জনসংখ্যা ৩৬৮৫৩; পুরুষ ২০১৪৭, মহিলা ১৬৭০৬। মুসলিম ৩৪৪৭১, হিন্দু ২১৬৩, বৌদ্ধ ২০৩ এবং অন্যান্য ১৬।

জলাশয় রূপসা নদী ও বিল ডাকাতিয়া উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন থানা গঠিত হয় ১৮৮৬ সালে।

থানা
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মহল্লা জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
১+ ১ (আংশিক) ৫১৭৭ ৩১৬৭৬ ৪৬০৭ ৭৭.১০ ৭২.৫০
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন আয়তন (বর্গ কিমি) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ওয়ার্ড নং ২ (আংশিক) ১.০৭ ৩০৭৯ ২০৯৮ ৭৭.১০
জুগিপুল ৪৮ ৬.৯৩ ১৭০৬৮ ১৪৬০৮ ৭২.৫০

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

[[Image:KhanJahanAliThana.jpg|thumb|400px|right]

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ খানজাহান আলী কর্তৃক  নির্মিত ষাটগম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলী দীঘি।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিস্তম্ভ ১।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২০০, মন্দির ২০।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৭৪.৮%; পুরুষ ৭৮.৮৯%, মহিলা ৬৭.৯৩%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, খানজাহান আলী আদর্শ কলেজ।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৫, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ১৫, সমবায় সমিতি ১।

উল্লেখযোগ্য স্থাপনা  এ থানায় পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রেইঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (RRF) ও আর্মড ব্যাটেলিয়ানের দফতর, ওয়ান্ডার-ল্যান্ড পার্ক (ক্যান্টনমেন্ট) এবং চিড়িয়াখানা অবস্থিত।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৯.১৭%, অকৃষি শ্রমিক ৩.৪৯%, শিল্প ৬.৫৫, ব্যবসা ১৭.০৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৮.২০%, চাকরি ৩৭.৩৮%, নির্মাণ ৩.৬৬%, ধর্মীয় সেবা ০.০৯%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ২.১০% এবং অন্যান্য ১৫.২৭%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৩৯%, ভূমিহীন ৬১%।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, পান, সুপারি।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, পেঁপে, জাম, নারিকেল, সুপারি।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় চিংড়ির ঘের ও গবাদিপশুর খামার রয়েছে।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।

শিল্প ও কলকারখানা জুট মিল, টেক্সটাইল মিল, ফ্লাওয়ার মিল, ঔষধ ফার্ম, ব্যাটারি কারখানা, ষ্টীল মিল, লবণ ফ্যাক্টরি, স‘মিল, এ্যালুমিনিয়াম ফ্যাক্টরি, ওয়েল্ডিং কারখানা, প্যাকেজিং শিল্প।

হাটবাজার ও মেলা ফুলবাড়িয়া হাট ও শিরোমনি বাজার এবং জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য   চিংড়ি মাছ, ধান, পাট, খেজুর গুড়।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার ৬৭.৬৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯১.৭২%, ট্যাপ ৬.৫৭%, পুকুর ০.৫৫% এবং অন্যান্য ১.১৬%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ থানার ১৩.৬৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২৩.৬৩% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ০.২০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র শিশু হাসপাতাল ১, টিবি হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৫।

এনজিও আশা, প্রশিকা, ব্র্যাক।  [একরামুল কবির]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; খানজাহান আলী থানার মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন।