কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ১৮৯৯ সালে কুমিল্লা শহরে রানী ভিক্টোরিয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা রায় বাহাদুর আনন্দচন্দ্র রায়। এ কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু।
১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজটি পরিচালিত হয়। ১৯২৫-১৯৪৭ সালের মধ্যে এ কলেজে ইংরেজি, গণিত, সংস্কৃত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং আরবি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। ১৯৪২ সালে বি.এসসি ও ১৯৫৬ সালে বি.কম কোর্স খোলা হয়। ১৯৫৮-৬৮ সালে এ কলেজে নৈশশিফট চালু ছিল। ১৯৬৮ সালে এটি সরকারি কলেজে পরিণত হয়। ১৯৭১-৭২ শিক্ষাবর্ষে আরো পাঁচটি বিষয়ে অনার্স কোর্স খোলা হয়। ১৯৭৩ সালে বাংলা এবং অর্থনীতি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স খোলা হয়। ১৯৮৪-৮৫ শিক্ষাবর্ষে এটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আরো ৫টি অনার্স কোর্সসহ এ কলেজে মোট ১৬টি বিষয়ে অনার্স কোর্স পরিচালিত হয়। বর্তমানে (২০১০) কলেজে মোট ১৮টি অনার্স কোর্স এবং ১৬টি মাস্টার্স কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে এ কলেজে মোট ১৩০ জন শিক্ষকশিক্ষিকা কর্মরত আছেন। কলেজের রয়েছে নতুন ও পুরনো দুটি ক্যাম্পাস। উভয় ক্যাম্পাস মিলে কলেজের রয়েছে অধ্যক্ষের বাসভবন, ব্যায়ামাগার, মসজিদ, শহীদ মিনার, মিলনায়তন, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গবেষণাগার, ৫টি একাডেমিক ভবন, ২টি ছাত্র এবং ২টি ছাত্রী হোস্টেল। বর্তমানে এ কলেজে ১৮,০০০ ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছে।
এ কলেজের অনেক ছাত্রশিক্ষক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার পাশাপাশি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রোভার স্কাউট এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে নিয়মিত সুনাম অর্জন করে চলেছে। [গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া]