করিম, খান বাহাদুর আবদুল
করিম, খান বাহাদুর আবদুল (১৮৭৩-১৯৪৫) আইনজীবী, রাজনীতিক। ১৮৭৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্ম। তাঁর পূর্বপুরুষ হযরত শাহ তাজ মোহাম্মদ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ত্রয়োদশ শতকে ইরাক থেকে বঙ্গদেশে আসেন। তাঁর পিতা মৌলভী আহমদ ছিলেন একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং তাঁর মাতা সৈয়দা সৈয়দুন্নেসা। তাঁর পৈত্রিক নিবাস বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার বাহেরনগর গ্রামে।
আবদুল করিম পিতার কর্মস্থল বরিশাল, সুধারাম ও ফরিদপুরে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ঢাকা মাদ্রাসা থেকে ১৮৯০ সালে তিনি এন্ট্রান্স এবং ১৮৯২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এফ.এ পাস করেন। কোলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে ১৮৯৫ সালে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে বিএ (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৮৯৮ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল ডিগ্রি লাভ করেন। আবদুল করিম ১৮৯৯ সালে ঢাকা জজকোর্টে আইনব্যবসা শুরু করেন। ১৯০৩ সালে তিনি কুমিল্লা জজকোর্টের ‘পাবলিক প্রসিকিউটর’ পদে যোগ দেন। ১৯২২ থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত তিনি ত্রিপুরা জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯২৬ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় আইনসভার কাউন্সিল অব স্টেটের সদস্য ছিলেন। কাউন্সিল অব স্টেটের সদস্য থাকাকালে তিনি ১৯২৭ সালে দিল্লি ও সিমলা অধিবেশনে দু’বার এবং ১৯২৮ সালে দিল্লি ও সিমলা অধিবেশনে দু’বার চেয়ারম্যানের প্যানেলে (চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে) অন্তর্ভূক্ত ছিলেন।
ভারতীয় আইনসভার সদস্য থাকাকালে আবদুল করিম ১৯৩০ সালে ফরিদপুরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
আবদুল করিম ১৯৩৭ সালে বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪১ সালে শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন অবিভক্ত বাংলার মন্ত্রিপরিষদে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৪৫ সালের ৩ মার্চ বাহেরনগরে তাঁর মৃত্যু হয়। [এশরাকুল মজিদ]