উদ্ভিদ-নিরোধক ব্যবস্থা

উদ্ভিদ-নিরোধক ব্যবস্থা (Plant quarantine)  উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত সামগ্রী দেওয়া নেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ আইন ও বিধিনিষেধ প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে ক্ষতিকর বিদেশি কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই প্রবেশরোধ করার ব্যবস্থা। বাংলাদেশ ১৯৭৮ সালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কমিশনের (Asia and Pacific Plant Protection Commission) সদস্যপদ লাভ করে। ধ্বংসাত্মক কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই আইন ১৯৬৬ (Destructive Insects and Pests Rules, 1966) নামে পরিচিত উদ্ভিদ নিরোধন আইনটি ধ্বংসাত্মক কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই আইন, ১৯১৪ (Destructive Insect and Pest Act, 1914, II of 1914)-এর ৩ ধারার ১ উপধারা, শাখা ৪-এ ও ৪-ডি ধারার অধীনে প্রণীত হয়।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর কৃষি সম্পর্কিত, ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষার উদ্দেশ্যে কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রের চাহিদা পূরণের নিমিত্তে এ আইনগুলি সংশোধন প্রয়োজন হয়ে পড়ে। জাতীয় বীজনীতি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশে উচ্চফলনশীল বীজউদ্ভিদ বংশবিস্তারে ব্যবহূত উপকরণের প্রাপ্যতা সহজতর করার জন্য প্রচলিত বিভিন্ন আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ফলে উদ্ভিদ-নিরোধক বিধি ১৯৯৫ (Plant Quarantine Rules, 1995) সরকারের নিকট পেশ করা হয় যা বর্তমানে বিবেচনাধীন। বাংলাদেশে নিম্নলিখিত প্রবেশপথগুলিতে উদ্ভিদ নিরোধন কেন্দ্রগুলি চালু রয়েছে। বিমানবন্দর- জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা; আমানত শাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম এবং ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট। সমুদ্রবন্দর- চট্টগ্রাম ও মংলা (বাগেরহাট)। স্থলসীমান্ত চেকপোস্ট- যশোরের বেনাপোল, লালমনিরহাটের বুড়িমারী, সিলেটের তামাবিল, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এবং দিনাজপুরের হিলি। নদীবন্দর- নারায়ণগঞ্জ। ঢাকার খামারবাড়িতে অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে (উদ্ভিদ সংরক্ষণ শাখা) বিদেশ থেকে আগত যে কোনো পণ্যের নিরোধন পর্যবেক্ষণ করা হয়।  [মোঃ আবদুল লতিফ]

আরও দেখুন উদ্ভিদ সংরক্ষণ