ই-কমার্স

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৯:৫৪, ৮ মে ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ ("'''ই-কমার্স''' (ইলেকট্রনিক কমার্স) ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্ক এর..." দিয়ে পাতা তৈরি)

ই-কমার্স (ইলেকট্রনিক কমার্স) ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে পণ্য ও পরিষেবার ক্রয়-বিক্রয়, অথবা ইন্টারনেটে মাধ্যমে ব্যবসায়িক তথ্য এবং অর্থ স্থানান্তর করা। এই ব্যবসায়িক লেনদেন ব্যবসা-থেকে-ব্যবসায় (বিটুবি), ব্যবসা-থেকে-ভোক্তা (বিটুসি), ভোক্তা-থেকে ভোক্তা বা ভোক্তা-থেকে-ব্যবসায় হয়ে থাকে। ই-কমার্স এবং ই-বিজনেস শব্দ দুটি প্রায়ই একটি অপরটির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ই-বিজনেস হলো ইন্টারনেটে ব্যবসা পরিচালনা, শুধুমাত্র ক্রয়-বিক্রয় নয় বরং গ্রাহকদের সেবা করা এবং ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা করা।

ই-কমার্সের মূল মানদণ্ডগুলি ব্যবহার করে ব্যবসায়িক অগ্রগতির বিভিন্ন পর্যায়ের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উপাদান, রাজনৈতিক উপাদান, সামাজিক উপাদান এবং অর্থনৈতিক উপাদান সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়৷ ই-কমার্স এবং ই-বিজনেস শুধুমাত্র ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট বা ডট কম কোম্পানি নয়। এটি একটি নতুন ব্যবসায়িক ধারণা যা পূর্ববর্তী সব ধরনের ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা এবং অর্থনৈতিক ধারণাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। ই-বিজনেস এবং ই-কমার্স ব্যবসার অনেক ক্ষেত্র এবং ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা অধ্যয়নের বিষয়ে প্রভাব ফেলে; এগুলো হল মার্কেটিং, ফিনান্স এবং অ্যাকাউন্টিং, অর্থনীতি, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ব্যবস্থাপনা তথ্য সিস্টেম এবং অপারেশন ম্যানেজমেন্ট। গত দুই দশকে অ্যামাজন, আলিবাবা এবং ইবে-এর মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলির ব্যাপক ব্যবহার অনলাইনে খুচরো বিক্রির বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। আমরা মহামারীতে ই-কমার্সের তেজীভাব দেখেছি।

২০২২ সালে বাংলাদেশে ৩৫টিরও বেশি ই-কমার্স ওয়েবসাইট ছিল। বাংলাদেশের শীর্ষ জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইটগুলি হল রকমারি ডটকম, দারাজ ডটকম, চালডাল ডটকম, ফুডপান্ডা ডটকম। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৯ সালে অনলাইন পেমেন্ট এবং ব্যাংক ২০১৩ সালে অনলাইন পেমেন্টের জন্য ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। ই-কমার্স এসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) বাংলাদেশে ই-কমার্স এর জন্য একটি বাণিজ্য সংগঠন। এই অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র ফেসবুকেই ৮০০০ ই-কমার্স পেজ রয়েছে। [কাজী মোহাম্মদ জামশেদ]