আদাবর থানা
আদাবর থানা (ঢাকা মেট্রোপলিটন) আয়তন: ২.০৭ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৪৫´৪১´´ থেকে ২৩°৪৬´৪১´´ উত্তর অক্ষাংশ ৯০°২০´৪৩´´ থেকে ৯০°২২´০১´´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে দারুস সালাম থানা, দক্ষিণে মোহাম্মদপুর থানা, পূর্বে শেরেবাংলা নগর ও মোহাম্মদপুর থানা, পশ্চিমে সাভার উপজেলা, দারুস সালাম ও মোহাম্মদপুর থানা।
জনসংখ্যা ৮৬৫৪০; পুরুষ ৪৭০৯২, মহিলা ৩৯৪৪৮। মুসলিম ৮৫২৩৮, হিন্দু ১০৭৯, বৌদ্ধ ১৯০, খ্রিস্টান ২৮ এবং অন্যান্য ৫।
জলাশয় প্রধান নদী: তুরাগ।
প্রশাসন ২০০৫ সালের ২৭ জুন মোহম্মদপুর থানার অংশ নিয়ে আদাবর থানা গঠিত হয়।
থানা | ||||||
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | মহল্লা | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||
২ | ৮ | ৮৬৫৪০ | - | ৪১৮০৬ | ৬২.২৪ | - |
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | ||||
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন | আয়তন (বর্গ কিমি) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |
পুরুষ | মহিলা | |||
ওয়ার্ড নং-৪৩ | ১.৬৪ | ৪২৪৬৫ | ৩৫৫৪১ | ৫৯.৬৩ |
ওয়ার্ড নং-৪৬ (আংশিক) | ০.৪৩ | ৪৬২৭ | ৩৯০৭ | ৬৪.৮৬ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২৫। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: শিয়া মসজিদ।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬২.২৪%, পুরুষ ৬৭.১৪%, মহিলা ৫৬.৩১%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউট ।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ২.৩৬%, অকৃষি শ্রমিক ৩০.০০%, শিল্প ২.৪৭%, ব্যবসা ১৭.২২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৫.৪৬%, নির্মাণ ৪.০২%, ধর্মীয় সেবা ০.১৩%, চাকরি ২৪.৬১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ২.৪৩% এবং অন্যান্য ১১.৩০%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমি মালিক ৫৪.৪৫%, ভূমিহীন ৪৫.৫৫%।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি ধান।
যোগাযোগ বিশেষত্ব মোট সড়ক ১৬.৬৬ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পালকি, গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা গার্মেন্টস শিল্প, ছাপাখানা।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠের কাজ, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ প্রভৃতি।
হাটবাজার বাজার ৫। আদাবর কৃষি মার্কেট উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য তৈরি পোশাক।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯৩.২১% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৪.৩৭%, পুকুর ০.০২%, ট্যাপ ৯৪.১১%, কূপ ০.২৩% এবং অন্যান্য ১.২৭%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ থানার ৯১.৪৯% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৭.৩৮% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১.১৩% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ৩।
এনজিও ব্র্যাক, ওয়াল্ড ভিশন উল্লেখযোগ্য।
[শরীফ খুরশীদ আলম]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; আদাবর থানার মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০০৮।