অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট
অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ভূমি অধিকার রক্ষা ও ভূমি সংস্কার বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে এএলআরডি ১৯৯১ সালে একটি নীতি নির্ধারণী, এ্যাডভোকেসি এবং নেটওয়ার্কিং সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সরকারের খাস জমি বন্দোবস্ত প্রক্রিয়াকে সহায়তা প্রদান এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমি সংস্কার কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয়ের জন্য ১৯৮৭ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম জিবি, নিজেরা করি, ব্র্যাক, কুমিল্লা প্রশিকা, কারিতাস, গণ উন্নয়ন প্রচেষ্টা, আরডিআরএস, প্রশিকা মানব উন্নয়ন কেন্দ্র ও আশার উদ্যোগে এনজিও কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিল ফর রিফর্ম প্রোগ্রাম (NCCLRP) গঠিত হয়। ভূমি অধিকার ও ব্যবস্থাপনা এবং খাসজমিতে ভূমিহীনের পুনর্বাসন সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছিল এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এনসিসিএলআরপি-এর কার্যক্রম সামনে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ এটিকে স্বতন্ত্র একটি সংস্থায় রূপান্তরিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার ফলে এএলআরডির আবির্ভাব হয়। এএলআরডি আধিকারবঞ্চিত সকল নাগরিক, দরিদ্র, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, আদিবাসী জাতিগোষ্ঠি, সংখালঘু সম্প্রদায় ও নারীর ভূমি ও অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার নিয়ে কাজ করে। এএলআরডি নীতি নির্ধারক, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সাথে মতের আদাপ্রদানের মাধ্যমে দরিদ্রবান্ধব ভূমি ও কৃষি সংস্কার নীতি, আইন ও কাঠামো প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে। নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম এবং পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী ও তৃণমূল জনগোষ্ঠিকে এই সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করে। এএলআরডি ২৫০-এর অধিক সহযোগী সংস্থাসমূহের সাথে নেটওয়ার্ক-এর মাধ্যমে (Partnership Approach) তার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
এএলআরডি এ্যাডভোকেসি; লবি ও গবেষণা; নেটওয়ার্কিং এবং সংহতি বৃদ্ধিকরণ; ভূমি সংস্কার, ভূমি আইন ও ভূমি প্রশাসন বিষয়ক প্রশিক্ষণ; নারীপুরুষ সমতা এবং ভূমিতে নারীর আধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ; ভূমি সংস্কার ও ভূমি জরিপ প্রশিক্ষণ; আদিবাসীদের ভূমি অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ; ভূমি সংস্কার বিষয়ে নারী নেতৃত্ব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ; ভূমি জরিপ বিষয়ক আইনজীবী ওরিয়েন্টেশন; স্থায়িত্বশীল কৃষি ও ভূমির ব্যবহার সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ; পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনায় হেডম্যান ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা গ্রহণ; আইনি সহায়তা প্রদান এবং তথ্য, যোগাযোগ ও প্রকাশনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে।
এএলআরডি রোমভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ল্যান্ড কোয়লিশন (International Land Coalition-ILC) এবং ম্যানিলাভিত্তিক এশিয়ান এনজিও কোয়ালিশন (Asian NGO Coalition-ANGOC)-এর সদস্য। এএলআরডির গর্ভন্যান্স ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা এর সাধারণ পরিষদ ও নির্বাহী পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় সাধারণ পরিষদের সদস্যদের দ্বারা প্রতি দুই বছরের জন্য নির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়। সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত ও গৃহীত যাবতীয় সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করে নির্বাহী পরিষদ। সংস্থার প্রধান হচ্ছেন নির্বাহী পরিচালক। [শামসুল হুদা]