অ্যাকুয়াকালচার
অ্যাকুয়াকালচার (Aquaculture) সাধারণভাবে অ্যাকুয়া-ফার্মিং নামে পরিচিত। অ্যাকুয়াকালচার হলো যেখানে নিয়ন্ত্রিত ও আধা-নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাছ, মলাস্ক, ক্রাস্টেসিয়ান, শেওলা, জলজ উদ্ভিদ ইত্যাদি জলজ জীবের ‘চাষ’। চাষাবাদ কিংবা ফার্মিং অর্থ নিয়মিত মজুদ, খাওয়ানো, শিকারিদের থেকে সুরক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রতিপালন প্রক্রিয়া। চাষাবাদ কিংবা ফার্মিং মজুদ বা স্টকের ব্যক্তিগত বা কর্পোরেট মালিকানাকেও বোঝায়। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ধরনের অ্যাকুয়াকালচারের অনুশীলন রয়েছে যেমন- মেরিকালচার, ফিশ ফার্মিং, অ্যালগাকালচার, ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি-ট্রপিক অ্যাকুয়াকালচার (IMTA), ইনল্যান্ড পন্ড কালচার, রিসার্কুলেটিং অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেমস (RAS), Biofloc Technique (BFT), ওপেন-নেট পেন এন্ড কেজ কালচার, ফ্লো-থ্রু/রেসওয়ে কালচার, ইন পন্ড রেসওয়ে সিস্টেম (আইপিআরএস) ইত্যাদি। প্রতিপালন প্রজাতি এবং চাষাবাদ ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে ব্যাপক, আধা-নিবিড় এবং নিবিড় অবস্থায় মাছ প্রধানত প্রতিপালন করা হয়। অ্যাকুয়াকালচার সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত, বৈচিত্র্যময় এবং বৈজ্ঞানিকভাবে উন্নত হয়েছে। বর্তমানে, বিশ্বে প্রায় ১৫৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন মাছ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেখানে প্রায় ৫০% অ্যাকুয়াকালচার (FAO, ২০২০) থেকে সরবরাহ করা হয়। মাছের বড় অংশ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি থেকে সরবরাহ করা হয়। [আনোয়ার হোসেন]