শিশু

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২৩:০৩, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

শিশু  বাংলাদেশের জাতীয় শিশুনীতিতে ১৮ বছরের কম ছেলেমেয়েদেরকে শিশু বলে অভিহিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ১৮ বছরের কম বয়সের সবাইকে শিশু হিসেবে গণ্য করে। শিশু অধিকার সনদ প্রত্যেক দেশের নিজস্ব আইন ও প্রথাকেও স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশে শিশুদের তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করার রীতি প্রচলিত: ৫ বছরের নিচে শৈশবকাল, ৬ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বাল্যকাল এবং ১১ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত কৈশোরকাল।

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১২৪.৩ মিলিয়ন, যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৬১.৭৫ মিলিয়ন। ১৮ বছরের কম বয়সীরা সমগ্র জনসংখ্যার শতকরা ৪৯.৬ ভাগ এবং ১৪ বছরের কম বয়সীরা ৫০.৫ মিলিয়ন যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪০.৬৩ ভাগ। বর্তমানে (২০১০) ১৮ বছরের কম বয়সের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৩০ লক্ষ যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪৫ ভাগ।

শিশুর জন্ম পরিবারের জন্য আনন্দদায়ক ঘটনা। শিশুর জন্মের পর মুসলমানরা ধর্মীয় অনুষ্ঠান আকিকা পালন করে। সদ্যপ্রসূত শিশুর মঙ্গলের জন্য গরু বা ছাগল জবাই করা হয়। হিন্দুদের মধ্যে সামাজিক প্রথা অন্নপ্রাশন পালন করা হয়। এখন অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল পরিবারগুলিতে, বিশেষ করে শহর এলাকায় পাশ্চাত্য ঢং-এ জন্মদিন পালন করা হয়। পিতামাতা সন্তানকে স্নেহ করেন এবং তারা সন্তানদের প্রয়োজনকে সমধিক গুরুত্ব দিলেও সাধারণত শিশুদের মতামতকে প্রায়শই উপেক্ষা করেন। যুক্তি একটাই যে, শিশুরা তেমন কিছু বোঝে না। অনেক ক্ষেত্রেই জীবিকার টানাপড়েনে গরিব পিতামাতা শিশুদের প্রতি প্রয়োজনীয় যত্ন নিতে পারেন না।

অনেক পরিবারেই শিশুরা লৈঙ্গিক বৈষম্যের শিকার। অনেক পিতামাতাই মনে করেন যে, ছেলেরা বংশ রক্ষা করে। তাই মুসলিম পরিবারে ছেলের জন্ম-মুহূর্তে আযান এবং হিন্দু পরিবারে শঙ্খধ্বনি দিয়ে স্মরণীয় করে রাখা হয়। তাছাড়া আকিকার সময়ে মেয়েশিশুর ক্ষেত্রে একটি ছাগল কিন্তু ছেলেশিশুর ক্ষেত্রে একটি গরু কিংবা দুটি ছাগল জবাই করা হয়। কিশোরীর চেয়ে কিশোর অধিক স্বাধীনতা ভোগ করে। একজন কিশোরকে যথেষ্ট স্বাধীনভাবে গৃহের বাইরে যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু কিশোরীকে মা কিংবা চাচিদের সঙ্গে থেকে গৃহকর্মে সহায়তা করতে হয় অথবা পর্দা ও নিরাপত্তার কারণে বাধ্য হয়ে গৃহে অবস্থান করতে হয়। খুব অল্পবয়স থেকে বাংলাদেশের ছেলে ও মেয়েরা স্বতন্ত্র পোশাক পরিধান করে। ছেলেরা প্যান্ট, শার্ট, লুঙ্গি, পায়জামা, পাঞ্জাবি ইত্যাদি পরিধান করে এবং মেয়েরা পরিধান করে সালোয়ার, কামিজ, ওড়না, শাড়ি ইত্যাদি।

পিতৃতান্ত্রিক সমাজ হওয়ার কারণে কেবল পিতা অথবা পরিবারের বয়স্ক পুরুষই পরিবারের অভিভাবক। বতর্মানে সরকারি প্রশাসনিক কাজকর্মে উভয়েরই নাম যুক্ত করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ আইনত নিষিদ্ধ হলেও তা বিভিন্ন স্থানে চালু রয়েছে। সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচলিত বর্তমান রীতি অনুযায়ী বিবাহের ক্ষেত্রে পরিবারের অভিভাকগণই বর ও কনে নির্বাচন করে দেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়।

বাংলাদেশে শিশুদের আনন্দে শৈশব কাটানোর সুযোগ খুবই সীমিত। বেশিরভাগ গ্রামীণ শিশু অল্প বয়সেই বাবাকে সাহায্য করতে কৃষিকাজে নিয়োজিত হয়। মেয়েরা নিয়োজিত হয় গৃহকর্মে। বস্তির ছেলেমেয়েদের নিজেদের, এমনকি পরিবারের জন্য রোজগার করতে হয়।

অনেক শিশু শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয়। তারা পরিবার ও সমাজ উভয় স্থানে উপেক্ষিত, যদিও তাদের জন্য কতিপয় স্কুল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানে কেবল মুষ্টিমেয় বিত্তবান সন্তানদের জন্য প্রবেশাধিকার রয়েছে।

যেসব দেশ সর্বাগ্রে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ স্বাক্ষর ও অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাছাড়া বাংলাদেশ সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে শিশু-অধিকার নিশ্চিত রয়েছে। সংবিধানে শিশুসহ সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত রয়েছে। সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে অনুচ্ছেদ ২৭, ২৮, ২৯, ৩১, ৩৪, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ এ সকল নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। বিশেষ করে অনুচ্ছেদ ২৮(৪) এ শিশুদের অগ্রগতির জন্য রাষ্ট্র বিশেষ বিধান প্রণয়ন করার বিষয় সন্নিবেশিত রয়েছে। সংবিধানের ১১, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০ এ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে শিশুদের জন্য অবৈতিনক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাসহ মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা, সুযোগের সমতা, অধিকার ও কর্তব্য এবং জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশের শ্রম আইনে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক। মেয়েরা মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত পড়াশোনার জন্য বৃত্তি ও বিশেষ সুযোগ ভোগ করছে। তবে এখনও শিশু কিংবা মেয়েদের জন্য সকল অধিকার নিশ্চিত নয়।

প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় আড়াই মিলিয়ন শিশু জন্মগ্রহণ করে। শিশুদের তিন-চতুর্থাংশ বাস করে দারিদ্র্যসীমার নিচে। উন্নত বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হার বেশি। বিশ শতকের নববইয়ের দশকের শুরুর দিকের তথ্য অনুযায়ী জন্মগ্রহণকারী ১ হাজার শিশুর মধ্যে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ জন মারা যায়। প্রতি হাজার সদ্যোজাত শিশুর ৮ জন স্নায়ুবিক রোগ এবং ৩ জন বিকলাঙ্গতার শিকার। এক সপ্তাহের মধ্যে ১৬ জন বিকলঙ্গতা এবং ৫ জন ধনুষ্টঙ্কারের কারণে মারা যায়। শিশুমৃত্যুর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে দারিদ্র্য, অপর্যাপ্ত গৃহায়ণ, অপুষ্টি, খাবার পানির দুষ্প্রাপ্যতা, পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও টিকাদানের সুযোগ না থাকা, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব, শিশুমাতৃত্ব ইত্যাদি। শহরের চেয়ে গ্রাম এলাকায় শিশুমৃত্যুর হার বেশি।

শিশু পাচার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। শিশুদের বিভিন্নভাবে নিপীড়ন ও অপব্যবহারের জন্য মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের শিশুদের ব্যাপকভাবে দেশ-বিদেশের পতিতালয়ে দেখতে পাওয়া যায়। এ দেশের শিশুরা উপসাগরীয় দেশগুলিতে উটদৌড়েও ব্যবহূত হচ্ছে।

১৯৯২ সালের মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সবার জন্য শিক্ষা’ কর্মসূচির সূচনা করা হয়। কিন্তু এখনও ব্যাপক সংখ্যক শিশু প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ৭৬% ভাগ ছেলে এবং ৬৪% ভাগ মেয়ে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হয়। শহরের ধনী পিতামাতার সন্তানরা কিন্ডার গার্টেনে পড়ে। দুই ধরনের কিন্ডার গার্টেন স্কুল আছে বাংলা মাধ্যম এবং ইংরেজি মাধ্যম। শহরের নিম্নবিত্তের ছেলেমেয়েরা সাধারণ প্রাথমিক স্কুলে পড়ে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এবতেদায়ি মাদ্রাসায় পড়ে। গ্রাম ও শহরের বিত্তবান পরিবারগুলিতে শিশুদের জন্য গৃহশিক্ষক নিয়োগ করা হয়। শহরে কোচিং ক্লাসের ব্যবস্থা আছে, যেখানে শিশুরা বাড়তি পড়াশোনা করতে পারে। মুসলিম পরিবারের শিশুদের গৃহে কিংবা মসজিদে পবিত্র কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। শহরের উৎসাহী পিতামাতারা সন্তানদের চিত্রকলা, সঙ্গীত ও নৃত্যের স্কুলে ভর্তি করে। অনেক শহরেই শিশুদের জন্য পাঠাগার আছে, শিশু সংগঠন আছে, যা শিশুদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিকাশ সাধনে সহায়তা করে।

বাংলাদেশের শিশুদের খেলাধুলার সুযোগ অপ্রতুল। সকল স্কুলে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। গ্রাম ও শহরের খোলা জায়গাসহ স্থানীয় পর্যায়ে খেলাধুলার কিছু ব্যবস্থা আছে যেখানে ছেলেরা ফুটবল ও ঐতিহ্যগত খেলা হাডুডু, দাঁড়িয়াবান্ধা, কানামাছি ভো ভো ইত্যাদি খেলাধুলা করে। গ্রাম এলাকার ছেলেরা বাড়ির আঙিনায় খেলাধুলা করে। কিন্তু শহরে জায়গার অভাবে শিশুরা এরূপ সুযোগ পায় না। টেবিল টেনিস, ক্যারাম, দাবা ও ভিডিও গেমস খেলার সুযোগ শুধু শহরের শিশুদেরই রয়েছে। এগুলি বেশ ব্যয়বহুল। মেয়েরা প্রকৃতপক্ষে উন্মুক্ত স্থানে খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। গ্রামে মেয়েরা পুতুল নিয়ে খেলা করে। শহরের শিশুদের একাংশ ইনডোর খেলাধুলার সুযোগ ভোগ করে।

বিদ্যমান শ্রম আইনে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও ব্যাপক সংখ্যক শিশু ঘরে ও বাইরে অর্থাৎ কল-কারখানা, ওয়ার্কশপ, রেস্টুরেন্ট, মিষ্টির দোকান, মোটর গ্যারেজ, বাস ও টেম্পো, নির্মাণ কাজ, চা বাগান, কৃষি ও গৃহকর্ম ইত্যাদিতে নিয়োজিত। এসব কাজে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। শিশুরা এসব কাজে নিয়োজিত থেকে অনেক সময়ই কেবল জীবনধারণের খোরাকি পেয়ে থাকে, যা দয়া-দাক্ষিণ্য বলেও বিবেচিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের কাজগুলিকে দাসতুল্য বলা যায়।

শিশু শ্রমিকদের প্রায়ই তাদের শারীরিক ক্ষমতার চাইতে কঠিন কাজ দেওয়া হয়। তাদের অনেকেই বিপজ্জনক ধোঁয়া বা গ্যাস, অ্যাসবেস্টস, সিসা, সোডিয়াম ইত্যাদি সৃষ্ট অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করে। ফলে তাদেরকে চর্মরোগ, হূদরোগ, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যায় ভুগতে হয়। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের, বিশেষ করে মেয়েদের নিপীড়নের আশঙ্কা থাকে। অনেক শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়ে, কারখানা দুর্ঘটনা, বিষক্রিয়া, জখম ও সহিংসতায় মৃত্যুমুখে পতিত হয়।

শিশুর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে পথশিশু। যারা সাধারণত টোকাই বলে পরিচিত। এ সকল শিশু রাস্তা, অাঁস্তাকুড় ও অন্যান্য স্থানে জিনিসপত্র কুড়িয়ে বেঁচে থাকে। বেশিরভাগ পথশিশুর পিতামাতা নেই। অনেকের পিতামাতা আছে, কিন্তু যোগাযোগ নেই। শিশুরা দারিদ্র্য, দাম্পত্য বিচ্ছেদ, পরিবার থেকে পলায়ন ও যৌন নিপীড়নের কারণেই রাস্তায় নিক্ষিপ্ত হয়। কেউ তাদের দেখাশুনা করে না। তারা রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, অফিস চত্বর, পার্ক, রাস্তার ধারে ও খোলা আকাশের নিচে বাস করে।

শিশুনীতি  বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতীয় শিশু নীতিমালা প্রণয়ন করে। বর্তমান সরকার জাতীয় শিশুনীতি (২০১০) এর খসড়া তৈরি করেছে। যেখানে প্রথম অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে শিশুর সংজ্ঞা, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে এর পরিধি, মূলনীতি এবং এই নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ষষ্ঠ অধ্যায়ে রাখা হয়েছে শিশুর অধিকার বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসূচি। এর পরের অধ্যায়গুলিতে আলোকপাত করা হয়েছে বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরিদের অধিকার ও উন্নয়ন, শিশুশ্রম নিরসনের পদক্ষেপসমূহ, বাস্তবায়ন কৌশলসমূহ, মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের ফোকাল পয়েন্ট, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকান্ডের সমন্বয়, উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জাতীয় শিশুনীতির প্রাধ্যান্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, গবেষণা, পর্যালোচনা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন, শিশুনীতি বাস্তবায়নের জন্য অর্থসংস্থান, আইন ও বিধি প্রণয়ন।

শিশুনীতির উপসংহারে বলা হয়েছে জাতীয় শিশুনীতির আওতায় বাংলাদেশের সকল শিশু গোত্র, বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা, ধর্ম বা অন্য কোন মতাদর্শ, সামাজিক প্রতিপত্তি, সম্পদ, জন্ম বা অন্য কোন মর্যাদা নির্বিশেষে সকল অধিকার ও সুবিধাসমূহ সমানভাবে ভোগ করবে।  [গোলাম কিবরিয়া ও আবু সাঈদ খান]