সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল ও কলেজ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২৩:১২, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

সেন্ট জোসেফ হাইস্কুল ও কলেজ ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত একটি ক্যাথলিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ঢাকার ক্যাথলিক আর্চডিওসেসের অধীনে হলিক্রস-এর ধর্মসভার মার্কিন মিশনারি ব্রাদার জুড কর্তৃক পুরান ঢাকার নারিন্দার ১৬ মনির হোসেন সড়কে ১৯৫৪ সালে সেন্ট জোসেফ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলটি ১৯৬৫ সালে বর্তমান স্থান মোহাম্মদপুরে স্থানান্তরিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে সরকার সকল ইংরেজি মাধ্যম স্কুলকে বাংলা মাধ্যমে পরিবর্তনের আদেশ জারি করে। এ সময় এটি ঢাকা বোর্ডের অধীনে নিবন্ধিত হয়। এর আগে স্কুলটি ক্যাম্ব্রিজ স্কুল হিসেবে চালু ছিল। যদিও এখন পর্যন্ত ইংরেজি শিক্ষার স্কুল হিসেবে এটি পরিচিত আছে। ১৯৯৯ সালে এ স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান) শাখা খোলা হয়। পর্যায়ক্রমে বাণিজ্য ও কলা শাখাও খোলা হয়। এখানে মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলা এবং ইংরেজি দুই মাধ্যমেই শিক্ষাদান করা হয়। স্কুলটি অনুদানপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং হলিক্রসের ব্রাদারগণ কর্তৃক পরিচালিত। ক্যাম্ব্রিজ এবং এস.এস.সি পরীক্ষায় এই স্কুলের চমৎকার সাফল্যের রেকর্ড রয়েছে।

এ প্রতিষ্ঠানটি কেবল ছেলেদের জন্য। প্রতিবছর তৃতীয় শ্রেণিতে শুধু ভর্তি করা হয়। ছাত্র সংখ্যা প্রায় ২১১১। তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণিতে তিনটি করে শাখা আছে। প্রত্যেক শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫০-৬০ জন। প্রতিবছর ১৬৫ জন নতুন ছাত্র এই স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুল পর্যায়ে ৪৫ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২৫ জন শিক্ষক এখানে কর্মরত আছেন, যার মধ্যে নারী শিক্ষক আছেন ১৭ জন।

আধুনকি যন্ত্রপাতি সম্বলিত সেন্ট জোসেফ হাইস্কুল ও কলেজের বিজ্ঞানাগারটি বেশ সমৃদ্ধ। বাইরের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিজ্ঞানাগার ব্যবহার করে। এছাড়া মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর নিয়ে দুটো কম্পিউটার ল্যাব, একটি পৃথক ইন্টারনেট ল্যাব আছে।

এ বিদ্যালয়ে স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়েদের জন্য পঞ্চম শেণি পর্যন্ত একটি অবৈতনিক স্কুল রয়েছে। স্বাধীনতার কয়েক বছর পর এই স্কুলটির যাত্রা শুরু হয় এবং বতর্মানে প্রায় ১৭৫ জন ছেলেমেয়ে এখানে পড়ালেখা করছে। স্কুলের ছাত্র ও শিক্ষকেরা আলাদাভাবে জোসেফাইট ছাত্র সংস্করণ ও জোসেফাইট শিক্ষকদের প্রকাশনা নামে দু’টি ইয়ার বুক প্রকাশ করে। গ্রান্ড মাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ ছিলেন এ স্কুলের ছাত্র। [ব্রাদার লিও পেরেরা]