সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২৩:১২, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল  ১৮৮২ সালে ফাদার গ্রেগরি ডি গ্রুট্স নামীয় একজন বেলজিয়ান বেনেডিক্ট ধর্মযাজক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ইউরেশীয় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর প্রথম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাঁর দেশীয় ফ্লেমিশ ব্যতীত অন্যকোন ভাষা জানতেন না। এ কারণে প্রথম দিকে স্কুলটির প্রতি খুব কম লোকেরই আগ্রহ জাগে। প্রতিষ্ঠার পর দুবার বন্ধ হয়ে গেলেও ১৮৮৯ সালে নতুন প্রধান শিক্ষক হলিক্রস ফাদার ফ্রান্সিস বোয়ার্স-এর অধীনে প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের জন্য এটি নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু করে। স্কুল ভবনটির নিচতলায় সেন্ট ফ্রান্সিস বালিকা বিদ্যালয় পুনঃস্থাপন করা হয়। এটি ১৮৯৬ সালে নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত হয়। ১৮৯৮ সালে ছয় জন বাঙালি ছাত্র এবং দুজন বাঙালি ছাত্রীসহ এর শিক্ষার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় একশ। ১৯২৩ সাল পর্যন্ত স্কুলটি ইউরোপীয় ধাঁচে শিক্ষা ও পরীক্ষা পদ্ধতি পরিচালনা করে। ১৯২৪ সালে স্বীকৃতি প্রাপ্তির পর এটি বোর্ড-এর অধীনে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিচালনার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত হয়।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠিত হওয়ার পর, যে সকল শিক্ষার্থীর মাতৃভাষা বাংলা ছিল না তাদের সুযোগ দেয়ার জন্য স্কুলটিতে আবার ইংরেজি মাধ্যম চালু করতে হয়। স্কুলটি একবার ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলকে নিজ ভবনে জায়গা করে দেয়। নটর ডেম কলেজও এখানে প্রথম সেন্ট গ্রেগরিজ কলেজ হিসেবে আরম্ভ হয়েছিল। স্কুলটি ম্যাট্রিক/এস.এস.সি পরীক্ষাসমূহে ভাল ফলাফল করার জন্য সুখ্যাতি অর্জন করে। খেলাধুলা, বিজ্ঞান প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং স্কাউট আন্দোলনে অংশগ্রহণে এই স্কুলের পুরানো শিক্ষার্থীরা গ্রেগরিয়ান হিসেবে গর্ব অনুভব করে। ১৯১২ সাল পর্যন্ত স্কুলটিতে সহ-শিক্ষার প্রচলন ছিল, পরে ছাত্রীরা সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার গার্লস হাই স্কুলে আলাদাভাবে পড়াশুনা শুরু করে। সেই থেকে এটি শুধুই ছেলেদের স্কুল। বর্তমানে (২০১০) স্কুলে ছাত্রসংখ্যা ২৬০০ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৭৫। স্কুলটির প্রাক্তন ছাত্রতালিকায় বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি আছেন। তাঁদের মধ্যে ড. অমর্ত্য সেন (নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ), তাজউদ্দিন আহমেদ (বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী), ড. কামাল হোসেন (সাবেক আইন ও বিচারমন্ত্রী) এবং ড. ওসমান ফারুক (সাবেক শিক্ষামন্ত্রী), শংকর ঘোষ (পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী), কায়কোবাদ (মহাকবি), মোস্তফা জামান অববাসী (সংগীত শিল্পী) প্রমুখ উল্লেখযাগ্য।  [ব্রাদার রবি পিউরীফিকেশন]