বিদেশী উদ্ভিদ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:২৯, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

বিদেশী উদ্ভিদ (Exotic plant)  বিদেশ থেকে আনা কোন উদ্ভিদ প্রজাতি, যা এখন দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশে সম্পূর্ণ অভিযোজিত। অনেক সময় রাবার, চা, কফি, পাট, তামাক, ওয়েল-পাম, আখ, আলু, গম, ভুট্টা ও সয়াবিনের মতো অনেক বিদেশী উদ্ভিদ তাদের নতুন আবাসে আর্থিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে প্রবর্তিত প্রায় ৩০০ বিদেশী উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে রয়েছে খাদ্য, কাঠ, তেল, ট্যানিন, পানীয় প্রদায়ী গাছপালা এবং বাহারি উদ্ভিদ ও আগাছা। পেঁপে, পেয়ারা, আনারস, লিচু, সফেদা, বাতাবিলেবু, কালোজাম, তরমুজ, শরিফাও বিদেশী। সেগুন ও জারুল মায়ানমার, শিশু নিম্ন-হিমালয়, মেহগনি, রেইনট্টি ও ইপিল-ইপিল আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত। কিছু অর্থকরী উদ্ভিদ যেমন বাবলা, রবার, কফি, তিল, সয়াবিন, সূর্যমুখী, ভুট্টা, গম ইত্যাদি অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিককালের আমদানি। সরিষা, তিসি, কুসুম, চীনাবাদামের মতো তৈলদায়ী সাধারণ ফসলও বিদেশী। গুরুত্বপূর্ণ সবজি আলু, মিষ্টিকুমড়া, ঢেঁড়শ এদেশীয় নয়। মসুর, মটরশুঁটি, রাইসরিষা এবং খেসারিও ভিনদেশী। বনমরিচা (Croton bonplandianum), শেয়ালকাঁটা (Argemone maxicana), কচুরিপানা (Eichhornia crassipes), জার্মানলতা (Eupatorium odoratum) এবং আসামলতা (Mikania cordata) বিদেশী আগাছা। সম্প্রতি এসেছে Acacia, Pinus এবং Eucalyptus।  [মোস্তফা কামাল পাশা]