কাঁঠাল

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৪:৫৩, ৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

কাঁঠাল (Jackfruit)  বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও জাতীয় ফল। উদ্ভিদবিজ্ঞানের পরিভাষায় সরোসিস (sorosis) নামের এ অতিবৃহৎ ফল বস্ত্তত স্ত্রীপুষ্পধর গোটা ক্যাটকিন মঞ্জরির পরিবর্তিত রূপ, তাতে থাকে ১০০-৫০০ বড় বড় তৈলাক্ত বীজ। শাঁসালো যে অংশ খাওয়া যায় তা আসলে পুষ্পপুট। কাঁঠালের নিকট জ্ঞাতি, ডেউয়া (A. lakoocha) ও ব্রেডফ্রুট (A. altilis) প্রজাতি দুটির মধ্যে ডেউয়া বাংলাদেশে জন্মে। কাঁঠালের আদি নিবাস ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালা, যেখানে আজও বুনো কাঁঠাল ফলে। কাঁঠাল আসাম ও বার্মার চিরসবুজ বনেও ফলে। উষ্ণমন্ডল ও উপ-উষ্ণমন্ডলের বিস্তৃত নিম্নভূমিতে এখন কাঁঠাল ছড়িয়ে পড়েছে। সারা বাংলাদেশে থাকলেও নওগাঁ, দিনাজপুর, সাভার, মধুপুর ও সিলেট কাঁঠাল প্রধান এলাকা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী এদেশে বছরে ৭ লক্ষ ২০ হাজার মে টন কাঁঠাল ফলে।

কাঁঠালগাছ

কাঁঠালগাছ চিরসবুজ এক বৃক্ষ, ৯-২৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু, দুধকষভরা। কান্ড খাড়া, গোড়ার কাছে সাধারণত শাখাবিভক্ত। কাঁঠাল গাছের জন্য আর্দ্র ও উষ্ণ জলবায়ু, মাটিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা, গভীর দোঅাঁশ মাটি, উত্তম পানি নির্গম ব্যবস্থা আবশ্যক। কাঁঠাল গাছে ফুল আসে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এবং ফল পাকে মে-জুলাই মাসে। ফলে আছে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’, আর বীজে শর্করা, প্রোটিন ও চর্বি। রসালো শাঁস তাজা খাওয়া হয় এবং সিরাপ হিসেবেও সংরক্ষণ করা যায়। ভাজা ও সিদ্ধ বীজ এবং বীজের তরকারি যথেষ্ট জনপ্রিয়। এ ছাড়া কাঁচাফল উত্তম সবজি, এ ফল দিয়ে আচারও বানানো যায়। গাছের পাতা ও কাঁঠালের উচ্ছিষ্ট পশুখাদ্য। কাঠ আসবাব ও বাদ্যযন্ত্রে ব্যবহার্য। গোটা ফল বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না বলে কাঁঠাল বিদেশে রপ্তানি করার উপযোগী নয়। তবে আজকাল অনেকে বিমানে করে এ ফল বিদেশেও নিয়ে যাচ্ছে।  [মুহাম্মদ নূরুল আমীন]

আরও দেখুন কৃষি, ফল