কবীন্দ্র পরমেশ্বর

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৯:১৯, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

কবীন্দ্র পরমেশ্বর (১৫শ-১৬শ শতক)  মধ্যযুগের অন্যতম খ্যাতনামা কবি এবং বাংলা ভাষায় প্রথম  মহাভারত রচয়িতা। তাঁর পিতৃদত্ত নাম পরমেশ্বর দাস, ‘কবীন্দ্র’ তাঁর সম্মানসূচক উপাধি। তিনি হুগলির সপ্তগ্রাম অঞ্চলের বালান্ডায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা গুণরাজ ছিলেন একজন জমিদার ও প্রভাবশালী সমাজপতি। আলাউদ্দীন হোসেন শাহ্ (রাজত্ব: ১৪৯৪-১৫১৯) কর্তৃক পরাগল খানের সভাকবি নির্বাচিত হয়ে কবীন্দ্র চট্টগ্রামে আগমন করেন এবং বাকি জীবন সেখানেই অতিবাহিত করেন।  পরাগল খান সংস্কৃত মহাভারতের কাহিনী লোকমুখে শুনে কৌতূহলী হন এবং কবীন্দ্র পরমেশ্বরকে সংক্ষিপ্ত আকারে বাংলা ভাষায় মহাভারত রচনা করার নির্দেশ দেন: ‘এহি সব কথা কহ সংক্ষেপ করিয়া। দিনেকে শুনিতে পারি পাঁচালি পড়িয়া\’

কবীন্দ্রের মহাভারত ১৫১৫-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত বলে অনুমান করা হয় এবং তা কবীন্দ্র মহাভারত কিংবা পরাগলী মহাভারত নামে পরিচিত। এতে মূল মহাভারতের আঠারোটি পর্বই রয়েছে, তবে অশ্বমেধপর্বটি বিস্তৃত আকারে রচিত। এর কারণ হিসেবে গবেষকদের অনুমান, অশ্বমেধপর্বে অর্জুনের দিগ্বিজয়ের কাহিনীতে বীরত্ব ও যুদ্ধজয়ের কলাকৌশল বর্ণিত হয়েছে। তাই নিজে যোদ্ধা হিসেবে পরাগল খানও এর প্রতি সর্বাধিক আকৃষ্ট হয়েছিলেন। কাব্যটি ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে  বাংলা একাডেমী কর্তৃক গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।  [কল্পনা ভৌমিক]