কোতোয়ালী থানা (খুলনা মেট্রোপলিটন)

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১০:৫৯, ২১ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

কোতোয়ালী থানা (খুলনা মেট্রোপলিটন)  আয়তন: ৯.৪৫ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪৩´ থেকে ২২°৫০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৯´ থেকে ৮৯°২৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে খালিশপুর ও রূপসা উপজেলা, দক্ষিণে বটিয়াঘাটা উপজেলা, পূর্বে রূপসা উপজেলা এবং পশ্চিমে সোনাডা উপজেলা।

জনসংখ্যা ২৫০৬৫১; পুরুষ ১৩৩৮২৪, মহিলা ১১৬৮২৭। মুসলিম ২২০০১১, হিন্দু ২৭২৬০, বৌদ্ধ ৩২৬৮, খ্রিস্টান ৭৬ এবং অন্যান্য ৩৬।

জলাশয় প্রধান নদী রূপসা (ভৈরব)।

প্রশাসন কোতোয়ালী থানা গঠিত হয় ১৮৩৬ সালে।

থানা
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মহল্লা জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
৬৩ ২৫০৬৫১ - ২৬৫২৪ ৭২.৮৬ -
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন আয়তন (বর্গ কিমি) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ওয়ার্ড  নং ২১ ১.৩৯ ১৫০৯৪ ৯৮৯০ ৬৭.৫১
ওয়ার্ড  নং ২২ ০.৬১ ১১৫৩৪ ১০০৯৯ ৬১.৪৫
ওয়ার্ড  নং ২৩ ০.১৩ ৯৬৫৭ ৮৬৭৫ ৮৩.৭৯
ওয়ার্ড  নং ২৪ ১.১৮ ২৩০৪৯ ১৯৯১০ ৭২.৯০
ওয়ার্ড  নং ২৭ ০.৪৬ ১৬৬৫২ ১৪৮৩৭ ৭৪.৬৯
ওয়ার্ড  নং ২৮ ০.৪১ ১১৫৪০ ১০৮৬৪ ৭৫.৭২
ওয়ার্ড  নং ২৯ ০.২৯ ১০৫৯০ ৯৮৪১ ৮২.৩১
ওয়ার্ড  নং ৩০ ০.৯৩ ১৮৭১৯ ১৭১০৮ ৭৪.১২
ওয়ার্ড  নং ৩১ ৪.০৫ ১৬৯৮৯ ১৫৬০৩ ৬৬.৬৬

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ রেলস্টেশনের কাছে মিস্টার চার্লির কুঠিবাড়ি।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন শহীদ হাদিস পার্কে নির্মিত ভাস্কর্য (দূর্জয় ‘৭১)।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৫৬, মন্দির ১৩, গির্জা ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: টাউন জামে মসজিদ, টুটপাড়া পুরাতন বড় জামে মসজিদ, বাইতুল আমান জামে মসজিদ, দোলখোলা তাবলীগ মসজিদ, বাজার কালীবাড়ি মন্দির, আর্য ধর্মসভা মন্দির, শিতলাবাড়ি মন্দির।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৭২.৮৬%; পুরুষ ৭৬.৬১%, মহিলা ৬৮.৫১%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: আযম খান কমার্স কলেজ, সরকারি পাইওনিয়ার মহিলা কলেজ, খুলনা জেলা স্কুল (১৮৮৫), সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয় (১৯৬৯), খুলনা সিটি কর্পোরেশন কলেজিয়েট স্কুল, সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল, করোনেশন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টুটপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৯৬), ভিক্টোরিয়া ইনফ্যান্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: পূর্বাঞ্চল, জনবার্তা, প্রবাহ, তথ্য, জন্মভূমি, দি ডেইলি মুসলিম ওয়ার্ল্ড। মাসিক ধূপছায়া (২০০৩), সাপ্তাহিক মনন; অবলুপ্ত সাময়িকী: খুলনা বার্তা (১৯২৫), খুলনাবাসী (১৯৩০), দেশের ডাক (১৯৬৫), সবুজপত্র (১৯৫২), স্বাধীকার (১৯৭০), কিচিরমিচির (১৯৭২), ওয়েভ ও মাদারল্যান্ড।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, ক্লাব ৩০, নাট্যমঞ্চ ১, নাট্যদল ১২, সিনেমা হল ৩, মহিলা সংগঠন ৭, খেলার মাঠ ১।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা খুলনা নগর ভবন, খুলনা শিপইয়ার্ড, খুলনা স্টেডিয়াম, সার্কিট হাউজ, জেলা কারাগার, ফরেস্ট অফিস, খুলনা শিল্পকলা একাডেমি প্রভৃতি।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৩১.১৮%, অকৃষি শ্রমিক ৫.৫৫%, শিল্প ১.৬৬, ব্যবসা ২৯.৩৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৬.৯৯%, নির্মাণ ৩.১১%, ধর্মীয় সেবা ০.২১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১.৮৪% এবং অন্যান্য ২০.১২%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪৬.৪৫%, ভূমিহীন ৫৩.৫৫%।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, তিল, সরিষা, পিঁয়াজ, রসুন।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি পাট।

প্রধান ফল-ফলাদিব আম, কাঁঠাল, নারিকেল, কলা, সফেদা, পেঁপে।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৪৪ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ১০ কিমি; নৌপথ ২ নটিক্যাল মাইল; রেলপথ ১ কিমি। হেলিপ্যাড ১, ফেরীঘাট ২।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরু ও ঘোড়ার গাড়ি।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার  মৎস্য ২০, হ্যাচারি ১০, হাঁস-মুরগি ২৫।

শিল্প ও কলকারখানা জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত শিল্প, দিয়াশলাই শিল্প, পোশাক শিল্প, তেল কল, বরফ কল, চাল কল, আটা কল, প্লাস্টিক শিল্প, বলপেন কারখানা, আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, কালি প্রস্ত্তত কারখানা। খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড, ঢাকা (দাদা) ম্যাচ ফ্যাক্টরি, বাংলাদেশ ম্যাচ ফ্যাক্টরি উল্লেখযোগ্য।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, জুতা কারখানা, সেমাই ফ্যাক্টরি, বেকারি, কাঠের কাজ উল্লেখযোগ্য।

হাটবাজার, মেলা   হাটবাজার ৬, সুপার মার্কেট ৭, মেলা ৩। উল্লেখযোগ্য বাজার: জলিল টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্স, মীনা বাজার, দোলখোলা বাজার, নতুন দোলখোলা বাজার, নতুন বাজার।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য   চিংড়ি মাছ, কাঁকড়া, তৈরি পোশাক।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৮৫.৯১% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৩.২৯%, ট্যাপ ৬.২৩%, পুকুর ০.২৩% এবং অন্যান্য ০.২৬%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা ৮৭.৯৩% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১০.৮০% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১.২৬% পরিবারের  কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র জেলা সদর হাসপাতাল ১, চক্ষু হাসপাতাল ২, ডায়াবেটিক সমিতি ১, মাতৃসদন হাসপাতাল ১, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ১, হোমিও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ১, সাধারণ হাসপাতাল ১, শিশু হাসপাতাল ১।

উল্লেখযোগ্য এনজিও ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, কেয়ার, কারিতাস, সিএমএম, ইউসেপ।  [শাহ সিদ্দিক]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।