সোরিয়াসিস

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২৩:১৩, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

সোরিয়াসিস (Psoriasis)  ত্বকের প্রদাহজনিত এক ধরনের রোগ। ত্বকের উপরিভাগ  লালচে বর্ণ ধারণ, চুলকানো, ত্বক পুরু, শুকনাভাব প্রদর্শন এবং আক্রান্ত স্থানে রূপালি অাঁশের আবির্ভাব এ রোগের উল্লেখযোগ্য উপসর্গ। এক সময় কঙ্কালপেশিতেও এর প্রভাব পড়তে পারে এবং প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস দেখা দিতে পারে, যা ক্রমে শারীরিক দুর্বলতার কারণ হয়ে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।

সোরিয়াসিস ক্রমান্বয়ে অথবা হঠাৎ করেই দেখা দিতে পারে। যেকোন বয়সের মানুষে ত্বকের এ রোগ দেখা গেলেও ১৫ বছর থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব বেশি। ককেসিয়ানদের (Caucasians) দেহে এ রোগ বেশি দেখা যায়। এ রোগের এক বড় বৈশিষ্ট্য এই যে, এটি কখনও কখনও এমনিতেই সেরে যায়, পরে আবার হঠাৎ করেই এর আবির্ভাব ঘটে।

সোরিয়াসিসের কারণ এখনও বহুলাংশে অজানা। ধারণা করা হয় এটি একটি বংশগত রোগ। সাধারণত ঘাড়, কনুই, হাটু, করোটি, চামড়ার ভাঁজ এবং আঙুলের ডগায় এটি বেশি দেখা যায়। তবে শরীরের যেকোন স্থানেই সোরিয়াসিস দেখা দিতে পারে। এ রোগে ত্বকের নিচের কোষস্তর থেকে উদ্ভূত নতুন কোষ কয়েক দিনের মধ্যেই ত্বকের উপরিভাগে জমা হয়ে শক্ত অাঁশের মতো গঠন তৈরি করে, যা থেকে ওই স্থানে মৃত কোষের আবির্ভাব হয়।

ক্ষত, পোড়া, কীটপতঙ্গের দংশন, চুলকানি ইত্যাদি সোরিয়াসিসের মাত্রা বাড়াতে পারে। এছাড়া ক্যানসার, এইডস, বাতজনিত আর্থ্রাইটিস, মানসিক চাপ, স্বাস্থ্যহীনতা, অতি ঠান্ডা আবহাওয়া, ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাসজনিত রোগ, দেহে অতিমাত্রায় সূর্যের আলোর প্রভাব, মদ্যপান, স্থূলদেহ ইত্যাদিও এ রোগকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। তবে সোরিয়াসিস ছোঁয়াচে ব্যাধি নয়।

এ রোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত অতিরিক্ত আরও কতক উপসর্গ অনেক সময় দেখা দেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নখের অস্বাভাবিকতা, জনন অঙ্গে (পুরুষে) ঘা, চোখ জ্বালা এবং পানি পড়া। সোরিয়াসিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, তবে চিকিৎসায় এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অবহেলা না করলে এবং বয়স খুব কম না হলে এ রোগে স্বাস্থ্যহানি ঘটে না। তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।  [মো. শহীদুল্লাহ]