সাটুরিয়া উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
(একজন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''সাটুরিয়া উপজেলা''' ([[মানিকগঞ্জ জেলা|মানিকগঞ্জ জেলা]])  আয়তন: ১৪০.১২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৫১´ থেকে ২৪°০৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৫´ থেকে ৯০°০৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে নাগরপুর ও ধামরাই উপজেলা, দক্ষিণে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা, পূর্বে ধামরাই উপজেলা, পশ্চিমে দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) ও ঘিওর উপজেলা।
'''সাটুরিয়া উপজেলা''' ([[মানিকগঞ্জ জেলা|মানিকগঞ্জ জেলা]])  আয়তন: ১৪০.১৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৫১´ থেকে ২৪°০৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৫´ থেকে ৯০°০৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে নাগরপুর ও ধামরাই উপজেলা, দক্ষিণে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা, পূর্বে ধামরাই উপজেলা, পশ্চিমে দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) ও ঘিওর উপজেলা।


''জনসংখ্যা'' ১৫৫১৩৭; পুরুষ ৭৮১৪৭, মহিলা ৭৬৯৯০। মুসলিম ১৪১৮৫২, হিন্দু ১৩২৬৯, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ৮।
''জনসংখ্যা'' ১৭১৪৯৪; পুরুষ ৮৩৬৫৩, মহিলা ৮৭৮৪১। মুসলিম ১৫৬৭৩২, হিন্দু ১৪৭২৭, খ্রিস্টান ২৫, বৌদ্ধ ৪ এবং অন্যান্য ৬।


''জলাশয়'' প্রধান নদী: ধলেশ্বরী, বংশী ও গাজীখালি।
''জলাশয়'' প্রধান নদী: ধলেশ্বরী, বংশী ও গাজীখালি।
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:
''প্রশাসন'' সাটুরিয়া থানা গঠিত হয় ১৯১৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে।
''প্রশাসন'' সাটুরিয়া থানা গঠিত হয় ১৯১৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে।


উপজেলা
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
| colspan="9" | উপজেলা
|-
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || rowspan="2" | জনসংখ্যা || colspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
| শহর  || গ্রাম  || শহর  || গ্রাম
|-
| - || ৯ || ১৫৯ || ২২৪ || ৮৭১৮ || ১৬২৭৭৬ || ১২২৩ || ৫৮.৯ || ৪৬.৬
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
| colspan="9" | উপজেলা শহর
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
| ২.০৪ || ২ || ৮৭১৮ || ৪২৭৪ || ৫৮.৯
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
| colspan="9" | ইউনিয়ন
|-
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
| পুরুষ  || মহিলা
|-
| তিল্লী ৯৫ || ৫১০৫ || ১০৭৪৭  || ১১৩৪৬ || ৩৮.৭
|-
| দড়গ্রাম ৩৮ || ৩৯৭১ || ৮৯১২  || ৯৫৯২ || ৪৫.৪
|-
| দিঘলিয়া ৪৭ || ৩২২৭ || ৬৬৮০  || ৭০৬১ || ৪৭.০
|-
| ধানকোড়া ৫৭ || ৫০৫১ || ১৫১১৪  || ১৫১৬৮ || ৫৫.৯
|-
| ফুকুরহাটি ৬৬ || ৩৩৪১ || ৮৪৯২  || ৯০১৭ || ৪৫.৭
|-
| বরাইদ ২৮ || ৪৬৪১ || ৯৭৫০  || ১০৪৯৮ || ৪২.৫
|-
| বালিয়াটি ১৯ || ২৬৮৩ || ৭০৯৩  || ৭৪৯১ || ৪৮.৬
|-
| সাটুরিয়া ৮৫ || ৩৩১২ || ১০৫৩৫  || ১০৮৬৫ || ৪৯.৫
|-
| হরগজ ৭৬ || ২৮২৮ || ৬৩৩০  || ৬৮০৩ || ৪৮.৯
|}


পৌরসভা #ইউনিয়ন #মৌজা #গ্রাম #জনসংখ্যা #ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) #শিক্ষার হার (%)
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
 
<nowiki>####শহর #গ্রাম ##শহর #গ্রাম</nowiki>
 
-#৯ #১৬৬ #২২৫ #৮৩০৮ #১৪৬৮২৯ #১১০৭ #৫২.৪২ #৩৫.৯৯
 
উপজেলা শহর
 
আয়তন (বর্গ কিমি) #মৌজা #লোকসংখ্যা #ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) #শিক্ষার হার (%)
 
৩.৬২ #২ #৩৮০৮ #২৫৪৮ #৫২.৪৮
 
ইউনিয়ন
 
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড #আয়তন (একর) #লোকসংখ্যা #শিক্ষার হার (%)
 
<nowiki>##পুরুষ #মহিলা #</nowiki>
 
তিল্লী ৯৫ #৫১০৫ #৯২৬৫ #৯০৪০ #২৮.৬৫
 
দড়গ্রাম ৩৮ #৩৯৭১ #৮৮৭৮ #৮৮০০ #৪০.২৮
 
দিঘলিয়া ৪৭ #৩২২৭ #৬৬৯৬ #৬৮১২ #৩৮.২৯
 
ধানকোড়া ৫৭ #৫০৫১ #১২৯৩৪ #১২৪৯০ #৩৯.৪৩
 
ফুকুরহাটি ৬৬ #৩৩৪২ #৮১৪৫ #৮১৩১ #৩২.৬৬
 
বরাইদ ২৮ #৪৬৪১ #৯০৩০ #৯০৮৯ #৩৩.৩১
 
বালিয়াটি ১৯ #২৬৮৩ #৭১৪৫ #৭৩৫২ #৪১.৫৯
 
সাটুরিয়া ৮৫ #৩৩১২ #৯৬১৫ #৯০৬৯ #৪১.১০
 
হরগজ ৭৬ #২৮২৮ #৬৪৩৯ #৬২০৭ #৩৬.০৫
 
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


[[Image:SaturiaUpazila.jpg|thumb|right|400px]]
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' বালিয়াটির জমিদার বাড়ি, ধানকোড়া জমিদার বাড়ি, রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম (১৯১০), কালুশাহের মাযার।
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' বালিয়াটির জমিদার বাড়ি, ধানকোড়া জমিদার বাড়ি, রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম (১৯১০), কালুশাহের মাযার।


''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে পাকসেনারা এ উপজেলার অনেক নিরীহ লোককে হত্যা করে।
''মুক্তিযুদ্ধ'' ১৯৭১ সালে পাকসেনারা এ উপজেলার অনেক নিরীহ লোককে হত্যা করে। উপজেলায় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব যুদ্ধ হয় সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সাটুরিয়া থানা যুদ্ধ, তিল্লী গ্রামের যুদ্ধ এবং বনমালিপুরের যুদ্ধ। সাটুরিয়া থানার পাশে ১টি গণকবর এবং সাটুরিয়া পাইলট হাইস্কুল এলাকায় ১টি বধ্যভূমি রয়েছে।
 
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ১ (থানা পুকুরের পাশে), বধ্যভূমি ১ (সাটুরিয়া পাইলট হাইস্কুল এলাকা)।


ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ১৭২, মন্দির ৪১, মাযার ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: সাটুরিয়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, ঈশ্বরচন্দ্র হাইস্কুল সংলগ্ন মসজিদ, কালুশাহের মাযার, গৌরাঙ্গ মঠ (১৩৩২ বঙ্গাব্দ), রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম (১৯১০)।
''বিস্তারিত দেখুন''  সাটুরিয়া উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৯।


[[Image:SaturiaUpazila.jpg|thumb|right|সাটুরিয়া উপজেলা]]
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান''  মসজিদ ১৭২, মন্দির ৪১, মাযার ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: সাটুরিয়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, ঈশ্বরচন্দ্র হাইস্কুল সংলগ্ন মসজিদ, কালুশাহের মাযার, গৌরাঙ্গ মঠ (১৩৩২ বঙ্গাব্দ), রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম (১৯১০)।


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৩৬.৯০%; পুরুষ ৪২.৮৯%, মহিলা ৩০.৮৭%। কলেজ ৫, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৭, মাদ্রাসা ৩। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ভিকু মেমোরিয়াল কলেজ (১৯৬৬), সৈয়দ কালু শাহ কলেজ (১৯৯৮), ধানকোড়া গিরীশ ইনস্টিটিউশন (১৯১৭), বালিয়াটি ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৯), ধল্লা বিএম উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২০), সাটুরিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), সাটুরিয়া আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), ধানকোড়া গিরীশচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, হরগজ নয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৭৫), কাওন্নারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০৯)।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪৭.%; পুরুষ ৫২.%, মহিলা ৪২.%। কলেজ ৫, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৭, মাদ্রাসা ৩। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ভিকু মেমোরিয়াল কলেজ (১৯৬৬), সৈয়দ কালু শাহ কলেজ (১৯৯৮), ধানকোড়া গিরীশ ইনস্টিটিউশন (১৯১৭), বালিয়াটি ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৯), ধল্লা বিএম উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২০), সাটুরিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), সাটুরিয়া আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), ধানকোড়া গিরীশচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, হরগজ নয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৭৫), কাওন্নারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০৯)।


''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ৫৮, লাইব্রেরি ৩, নাট্যদল ১, নাট্যমঞ্চ ১, শিল্প সংগঠন ৩, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ২২।
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ৫৮, লাইব্রেরি ৩, নাট্যদল ১, নাট্যমঞ্চ ১, শিল্প সংগঠন ৩, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ২২।
৬৮ নং লাইন: ৭৪ নং লাইন:
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, পাট, গম, সরিষা, আখ, আলু।
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, পাট, গম, সরিষা, আখ, আলু।


বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি  কাউন, তিসি, তিল, মটর, যব।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি''  কাউন, তিসি, তিল, মটর, যব।


''প্রধান ফল-ফলাদিব'' আম, কাঁঠাল, কলা, পেয়ারা।
''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, কলা, পেয়ারা।


''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ৫, গবাদিপশু ১১২, হাঁস-মুরগি ১৬৮, হ্যাচারি ১।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ৫, গবাদিপশু ১১২, হাঁস-মুরগি ১৬৮, হ্যাচারি ১।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ১৫ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১১ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৯৮ কিমি।
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৯৫ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৫০ কিমি।  
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন  পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।
৮৪ নং লাইন: ৯১ নং লাইন:
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৩০, মেলা ৪। সাটুরিয়া হাট, হরগজ হাট, দরাগ্রাম হাট, বালিয়াটি বাজার, খনিরটেক বাজার, ধানকোড়া বাজার, গোপালপুর বাজার, চর তিল্লী বাজার এবং ধল্লা শিব মেলা, তিল্লী বৈশাখী মেলা ও কালুশাহ মেলা উল্লেখযোগ্য।
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৩০, মেলা ৪। সাটুরিয়া হাট, হরগজ হাট, দরাগ্রাম হাট, বালিয়াটি বাজার, খনিরটেক বাজার, ধানকোড়া বাজার, গোপালপুর বাজার, চর তিল্লী বাজার এবং ধল্লা শিব মেলা, তিল্লী বৈশাখী মেলা ও কালুশাহ মেলা উল্লেখযোগ্য।


''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''   ধান, পাট, আলু, আখের গুড়, ডিম, দুধ, মুরগি, ধাতব কড়াই, খেলনা।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' ধান, পাট, আলু, আখের গুড়, ডিম, দুধ, মুরগি, ধাতব কড়াই, খেলনা।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩০.১৮% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৫৬.% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৪.৫২%, ট্যাপ .৭৭%, পুকুর .১৫% এবং অন্যান্য ৪.৫৬%।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৬.%, ট্যাপ .০% এবং অন্যান্য ১.৪%।  


''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৪৬.৬৭% (গ্রামে ৪৫.৮১% ও শহরে ৬১.৮১%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪৯.০৭% (গ্রামে ৫০.২০% ও শহরে ২৯.০৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। .২৬% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৭৬.% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২১.% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। .% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৬, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৬, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩।


''প্রাকৃতিক দুর্যোগ'' ১৯৮৯ সালে টর্নেডোতে এ উপজেলার সাটুরিয়া, হরগজ, তিল্লী, ফুকুরহাটি ইউনিয়নে বহু লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
''প্রাকৃতিক দুর্যোগ'' ১৯৮৯ সালে টর্নেডোতে এ উপজেলার সাটুরিয়া, হরগজ, তিল্লী, ফুকুরহাটি ইউনিয়নে বহু লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
৯৮ নং লাইন: ১০৫ নং লাইন:
''এনজিও''  ব্র্যাক, প্রশিকা, আশা, এনবিসিএল, সেড্স, জনকল্যাণ ট্রাস্ট।  [মো. শহীদুজ্জামান রাজ]
''এনজিও''  ব্র্যাক, প্রশিকা, আশা, এনবিসিএল, সেড্স, জনকল্যাণ ট্রাস্ট।  [মো. শহীদুজ্জামান রাজ]


'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; সাটুরিয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; সাটুরিয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Saturia Upazila]]
[[en:Saturia Upazila]]

২০:১৬, ২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

সাটুরিয়া উপজেলা (মানিকগঞ্জ জেলা)  আয়তন: ১৪০.১৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৫১´ থেকে ২৪°০৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৫´ থেকে ৯০°০৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে নাগরপুর ও ধামরাই উপজেলা, দক্ষিণে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা, পূর্বে ধামরাই উপজেলা, পশ্চিমে দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) ও ঘিওর উপজেলা।

জনসংখ্যা ১৭১৪৯৪; পুরুষ ৮৩৬৫৩, মহিলা ৮৭৮৪১। মুসলিম ১৫৬৭৩২, হিন্দু ১৪৭২৭, খ্রিস্টান ২৫, বৌদ্ধ ৪ এবং অন্যান্য ৬।

জলাশয় প্রধান নদী: ধলেশ্বরী, বংশী ও গাজীখালি।

প্রশাসন সাটুরিয়া থানা গঠিত হয় ১৯১৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ১৫৯ ২২৪ ৮৭১৮ ১৬২৭৭৬ ১২২৩ ৫৮.৯ ৪৬.৬
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
২.০৪ ৮৭১৮ ৪২৭৪ ৫৮.৯
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
তিল্লী ৯৫ ৫১০৫ ১০৭৪৭ ১১৩৪৬ ৩৮.৭
দড়গ্রাম ৩৮ ৩৯৭১ ৮৯১২ ৯৫৯২ ৪৫.৪
দিঘলিয়া ৪৭ ৩২২৭ ৬৬৮০ ৭০৬১ ৪৭.০
ধানকোড়া ৫৭ ৫০৫১ ১৫১১৪ ১৫১৬৮ ৫৫.৯
ফুকুরহাটি ৬৬ ৩৩৪১ ৮৪৯২ ৯০১৭ ৪৫.৭
বরাইদ ২৮ ৪৬৪১ ৯৭৫০ ১০৪৯৮ ৪২.৫
বালিয়াটি ১৯ ২৬৮৩ ৭০৯৩ ৭৪৯১ ৪৮.৬
সাটুরিয়া ৮৫ ৩৩১২ ১০৫৩৫ ১০৮৬৫ ৪৯.৫
হরগজ ৭৬ ২৮২৮ ৬৩৩০ ৬৮০৩ ৪৮.৯

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ বালিয়াটির জমিদার বাড়ি, ধানকোড়া জমিদার বাড়ি, রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম (১৯১০), কালুশাহের মাযার।

মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে পাকসেনারা এ উপজেলার অনেক নিরীহ লোককে হত্যা করে। উপজেলায় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব যুদ্ধ হয় সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সাটুরিয়া থানা যুদ্ধ, তিল্লী গ্রামের যুদ্ধ এবং বনমালিপুরের যুদ্ধ। সাটুরিয়া থানার পাশে ১টি গণকবর এবং সাটুরিয়া পাইলট হাইস্কুল এলাকায় ১টি বধ্যভূমি রয়েছে।

বিস্তারিত দেখুন সাটুরিয়া উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৯।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ১৭২, মন্দির ৪১, মাযার ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: সাটুরিয়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, ঈশ্বরচন্দ্র হাইস্কুল সংলগ্ন মসজিদ, কালুশাহের মাযার, গৌরাঙ্গ মঠ (১৩৩২ বঙ্গাব্দ), রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম (১৯১০)।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৭.৩%; পুরুষ ৫২.১%, মহিলা ৪২.৭%। কলেজ ৫, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৭, মাদ্রাসা ৩। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ভিকু মেমোরিয়াল কলেজ (১৯৬৬), সৈয়দ কালু শাহ কলেজ (১৯৯৮), ধানকোড়া গিরীশ ইনস্টিটিউশন (১৯১৭), বালিয়াটি ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৯), ধল্লা বিএম উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২০), সাটুরিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), সাটুরিয়া আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), ধানকোড়া গিরীশচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, হরগজ নয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৭৫), কাওন্নারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০৯)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৫৮, লাইব্রেরি ৩, নাট্যদল ১, নাট্যমঞ্চ ১, শিল্প সংগঠন ৩, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ২২।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫৯.৪৫%, অকৃষি শ্রমিক ৪.৫০%, শিল্প ১.৭২%, ব্যবসা ১২.৮৬%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.২৬%, চাকরি ৭.৪৮%, নির্মাণ ১.৫৮%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১.৩৮% এবং অন্যান্য ৭.৬২%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৪.১৫%, ভূমিহীন ৩৫.৮৫%। শহরে ৪৩.১৭% এবং গ্রামে ৬৫.৩৪% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, সরিষা, আখ, আলু।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি  কাউন, তিসি, তিল, মটর, যব।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, পেয়ারা।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৫, গবাদিপশু ১১২, হাঁস-মুরগি ১৬৮, হ্যাচারি ১।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৯৫ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৫০ কিমি। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা চালকল, আটাকল, বরফকল, করাতকল, মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ, আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, বিস্কুট ফ্যাক্টরি, ওয়েল্ডিং কারখানা।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, সূচিশিল্প, দারুশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ, নকঁশি পাখা।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩০, মেলা ৪। সাটুরিয়া হাট, হরগজ হাট, দরাগ্রাম হাট, বালিয়াটি বাজার, খনিরটেক বাজার, ধানকোড়া বাজার, গোপালপুর বাজার, চর তিল্লী বাজার এবং ধল্লা শিব মেলা, তিল্লী বৈশাখী মেলা ও কালুশাহ মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, পাট, আলু, আখের গুড়, ডিম, দুধ, মুরগি, ধাতব কড়াই, খেলনা।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৫৬.৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬.৬%, ট্যাপ ২.০% এবং অন্যান্য ১.৪%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৭৬.৯% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২১.৯% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১.২% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৬, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৯৮৯ সালে টর্নেডোতে এ উপজেলার সাটুরিয়া, হরগজ, তিল্লী, ফুকুরহাটি ইউনিয়নে বহু লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এনজিও ব্র্যাক, প্রশিকা, আশা, এনবিসিএল, সেড্স, জনকল্যাণ ট্রাস্ট।  [মো. শহীদুজ্জামান রাজ]

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; সাটুরিয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।