রুমা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''রুমা উপজেলা '''(বান্দরবান জেলা)  আয়তন: ৪৯২.১০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২১°৫৩´ থেকে ২২°১০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°১৭´ থেকে ৯২°৩৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে রোয়াংছড়ি উপজেলা, দক্ষিণে থানচি উপজেলা, পূর্বে বিলাইছড়ি উপজেলা, পশ্চিমে বান্দরবান সদর ও লামা উপজেলা।
'''রুমা উপজেলা''' ([[বান্দরবান জেলা|বান্দরবান জেলা]])  আয়তন: ৪৯২.১০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২১°৫৩´ থেকে ২২°১০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°১৭´ থেকে ৯২°৩৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে রোয়াংছড়ি উপজেলা, দক্ষিণে থানচি উপজেলা, পূর্বে বিলাইছড়ি উপজেলা, পশ্চিমে বান্দরবান সদর ও লামা উপজেলা।


''জনসংখ্যা'' ২৬৫৮৯; পুরুষ ১৪৪১৪, মহিলা ১২১৭৫। মুসলিম ১৮১৩, হিন্দু ৪১৬, বৌদ্ধ ৯৯০৯, খ্রিস্টান ১১৮৮০ এবং অন্যান্য ২৫৭১।
''জনসংখ্যা'' ২৬৫৮৯; পুরুষ ১৪৪১৪, মহিলা ১২১৭৫। মুসলিম ১৮১৩, হিন্দু ৪১৬, বৌদ্ধ ৯৯০৯, খ্রিস্টান ১১৮৮০ এবং অন্যান্য ২৫৭১।
১০ নং লাইন: ১০ নং লাইন:
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
! colspan="9" | উপজেলা
| colspan="9" | উপজেলা
|-
|-
! rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || rowspan="2" | জনসংখ্যা || colspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || rowspan="2" | জনসংখ্যা || colspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| শহর  || গ্রাম  || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম  || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| -  || ৪  || ১৫  || ২০১  || ৬০১১  || ২০৫৭৮  || ৫৪  || ৫৪  || ১৮.২
| -  || ৪  || ১৫  || ২০১  || ৬০১১  || ২০৫৭৮  || ৫৪  || ৫৪  || ১৮.২
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| উপজেলা শহর
| colspan="9" | উপজেলা শহর
|-
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ৩৩.৬৭  || ২  || ৬০১১  || ১৭৯  || ৫৪.০১
| ৩৩.৬৭  || ২  || ৬০১১  || ১৭৯  || ৫৪.০১
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন
| colspan="9" | ইউনিয়ন
|-  
|-  
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
৫৪ নং লাইন: ৪৭ নং লাইন:
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


ঐতিহাসিক ঘটনাবলি  আরাকানের অন্যতম রাজা মেং বেং (সুলতান জাবুকশাহ নামে পরিচিত) এ অঞ্চলে ২১ বছর (১৫৩২-৫৩) শাসন করেন। ১৬৬৬ সালে মুগলরা এ অঞ্চল দখল করে এবং ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণের পূর্ব পর্যন্ত রাজত্ব করে। ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলটি ম্রকু রাজবংশের শাসনাধীন ছিল।
[[Image:RumaUpazila.jpg|thumb|right|রুমা উপজেলা]]


ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ৬, মন্দির ১, মঠ ৭, কেয়াং ৩৫, আশ্রম ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: মিঝিড়িপাড়া বৌদ্ধ মন্দির।
''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি''  আরাকানের অন্যতম রাজা মেং বেং (সুলতান জাবুকশাহ নামে পরিচিত) এ অঞ্চলে ২১ বছর (১৫৩২-৫৩) শাসন করেন। ১৬৬৬ সালে মুগলরা এ অঞ্চল দখল করে এবং ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণের পূর্ব পর্যন্ত রাজত্ব করে। ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলটি ম্রকু রাজবংশের শাসনাধীন ছিল।
 
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান''  মসজিদ ৬, মন্দির ১, মঠ ৭, কেয়াং ৩৫, আশ্রম ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: মিঝিড়িপাড়া বৌদ্ধ মন্দির।


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ২৬.৭%; পুরুষ ৩৩.৭%, মহিলা ১৮.৪%। কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৭, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৬, কিনডার গার্টেন ১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, পাইন্দু হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাইন্দা হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুমা বাজার আদর্শ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ২৬.৭%; পুরুষ ৩৩.৭%, মহিলা ১৮.৪%। কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৭, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৬, কিনডার গার্টেন ১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, পাইন্দু হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাইন্দা হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুমা বাজার আদর্শ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
[[Image:RumaUpazila.jpg|thumb|right|রুমা উপজেলা]]


''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ১, ক্লাব ১, সংগীত একাডেমি ১, সাংস্কৃতিক সংগঠন ৩, মহিলা সংগঠন ২, অডিটোরিয়াম ১, খেলার মাঠ ২।
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ১, ক্লাব ১, সংগীত একাডেমি ১, সাংস্কৃতিক সংগঠন ৩, মহিলা সংগঠন ২, অডিটোরিয়াম ১, খেলার মাঠ ২।
৭৪ নং লাইন: ৬৫ নং লাইন:
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, তিল, তুলা, হলুদ, আদা, বাদাম, শাকসবজি।
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, তিল, তুলা, হলুদ, আদা, বাদাম, শাকসবজি।


বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি  সরিষা।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি''  সরিষা।


প্রধান ফল ফলাদি  কলা, কাঁঠাল, কমলা, আনারস, পেঁপে।
''প্রধান ফল ফলাদি''  কলা, কাঁঠাল, কমলা, আনারস, পেঁপে।


''শিল্প ও কলকারখানা'' করাত কল, ইটভাটা।
''শিল্প ও কলকারখানা'' করাত কল, ইটভাটা।
৮২ নং লাইন: ৭৩ নং লাইন:
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৪। রুমা বাজার, মুরুম ঘাট বাজার ও ঘালঙ্গা বাজার উল্লেখযোগ্য।
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৪। রুমা বাজার, মুরুম ঘাট বাজার ও ঘালঙ্গা বাজার উল্লেখযোগ্য।


''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''   কলা, পেঁপে, আনারস।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' কলা, পেঁপে, আনারস।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৬.৭৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৬.৭৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


প্রাকৃতিক সম্পদ  বাঁশ, পাথর।
''প্রাকৃতিক সম্পদ''  বাঁশ, পাথর।


''পানীয়জলের উৎস''  নলকূপ ৮.০৯%, ট্যাপ ৫.৩৬%, পুকুর ২.৬৯% এবং অন্যান্য ৮৩.৮৬%।
''পানীয়জলের উৎস''  নলকূপ ৮.০৯%, ট্যাপ ৫.৩৬%, পুকুর ২.৬৯% এবং অন্যান্য ৮৩.৮৬%।
৯৬ নং লাইন: ৮৭ নং লাইন:
''এনজিও'' ব্র্যাক, কারিতাস।  [আতিকুর রহমান]
''এনজিও'' ব্র্যাক, কারিতাস।  [আতিকুর রহমান]


'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; রুমা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; রুমা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Ruma Upazila]]
[[en:Ruma Upazila]]

১০:৫৮, ৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রুমা উপজেলা (বান্দরবান জেলা)  আয়তন: ৪৯২.১০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২১°৫৩´ থেকে ২২°১০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°১৭´ থেকে ৯২°৩৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে রোয়াংছড়ি উপজেলা, দক্ষিণে থানচি উপজেলা, পূর্বে বিলাইছড়ি উপজেলা, পশ্চিমে বান্দরবান সদর ও লামা উপজেলা।

জনসংখ্যা ২৬৫৮৯; পুরুষ ১৪৪১৪, মহিলা ১২১৭৫। মুসলিম ১৮১৩, হিন্দু ৪১৬, বৌদ্ধ ৯৯০৯, খ্রিস্টান ১১৮৮০ এবং অন্যান্য ২৫৭১।

জলাশয় প্রধান নদী: সাঙ্গু।

প্রশাসন রুমা থানা গঠিত হয় ১৯৭৬ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৫ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ১৫ ২০১ ৬০১১ ২০৫৭৮ ৫৪ ৫৪ ১৮.২
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
৩৩.৬৭ ৬০১১ ১৭৯ ৫৪.০১
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ঘালঙ্গা ১৯ ৩৫২০০ ২৫১১ ২২৫৫ ১৮.৭১
পাইন্দু ৩৮ ৩৩২৮০ ২৯৩২ ২৭১৬ ২২.০৩
রুমা ৭৬ ৩২৬৮০ ৫৮৩২ ৪৮৭৯ ৩১.২৪
রেমাক্রী প্রাংসা ৫৭ ২০৪৮০ ২৪০৪ ২২৩১ ১৫.৩২

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

রুমা উপজেলা

ঐতিহাসিক ঘটনাবলি  আরাকানের অন্যতম রাজা মেং বেং (সুলতান জাবুকশাহ নামে পরিচিত) এ অঞ্চলে ২১ বছর (১৫৩২-৫৩) শাসন করেন। ১৬৬৬ সালে মুগলরা এ অঞ্চল দখল করে এবং ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণের পূর্ব পর্যন্ত রাজত্ব করে। ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলটি ম্রকু রাজবংশের শাসনাধীন ছিল।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ৬, মন্দির ১, মঠ ৭, কেয়াং ৩৫, আশ্রম ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: মিঝিড়িপাড়া বৌদ্ধ মন্দির।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ২৬.৭%; পুরুষ ৩৩.৭%, মহিলা ১৮.৪%। কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৭, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৬, কিনডার গার্টেন ১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, পাইন্দু হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাইন্দা হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুমা বাজার আদর্শ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, ক্লাব ১, সংগীত একাডেমি ১, সাংস্কৃতিক সংগঠন ৩, মহিলা সংগঠন ২, অডিটোরিয়াম ১, খেলার মাঠ ২।

দর্শনীয় স্থান বগা লেক, তাজিনডং পাহাড়, কেওক্রাডং পাহাড়, রিজুক ঝর্না, মিঝিড়িপাড়া বৌদ্ধ মন্দির।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৮৪.৭৯%, অকৃষি শ্রমিক ০.৮৮%, শিল্প ০.৪২%, ব্যবসা ৫.৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ০.১%, চাকরি ৩%, নির্মাণ ০.১৫%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১৩% এবং অন্যান্য ৪.৬৮%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪০.৭৪%, ভূমিহীন ৫৯.২৬%। শহরে ৪৩.২৬% এবং গ্রামে ৪০.০৬% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, তিল, তুলা, হলুদ, আদা, বাদাম, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি  সরিষা।

প্রধান ফল ফলাদি  কলা, কাঁঠাল, কমলা, আনারস, পেঁপে।

শিল্প ও কলকারখানা করাত কল, ইটভাটা।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৪। রুমা বাজার, মুরুম ঘাট বাজার ও ঘালঙ্গা বাজার উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য কলা, পেঁপে, আনারস।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৬.৭৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

প্রাকৃতিক সম্পদ  বাঁশ, পাথর।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৮.০৯%, ট্যাপ ৫.৩৬%, পুকুর ২.৬৯% এবং অন্যান্য ৮৩.৮৬%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৩.৮৪% (গ্রামে ১.৮৬% এবং শহরে ১১.১৫%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২৫.৯৩% (গ্রামে ১৫.৬৬% এবং শহরে ৬৩.৭৬%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৭০.২৩% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, আর্মি মেডিকেল সেন্টার ১, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১, পশু চিকিৎসা কেন্দ্র ১।

এনজিও ব্র্যাক, কারিতাস।  [আতিকুর রহমান]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; রুমা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।