ভাইপার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
Crotalinae উপগোত্রে রয়েছে পিট-ভাইপার। বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া (Russell’s Viper, ''Vipera russelli'') এবং Trimeresurus গণের পাঁচ প্রজাতির পিট-ভাইপার আছে। বাঁশবোড়া (Bamboo’s Pit-Viper, ''Timeresurus gramaneus'') সাপকে বাংলাদেশের সর্বত্র দেখা যায়। ভাইপারের মাথা চ্যাপ্টা ও ত্রিকোণ এবং আকারে বড়; ঘাড় সংকোচনশীল। ভাইপারের উপরের চোয়ালে এক জোড়া অস্বাভাবিক লম্বা বিষদাঁত থাকে, যেগুলিকে তারা মুখের তালুর সঙ্গে অনুভূমিকভাবে ভাঁজ করে রাখে। এগুলিকে মনে হয় সাপের মুখের অধস্ত্বকীয় সূচ।
Crotalinae উপগোত্রে রয়েছে পিট-ভাইপার। বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া (Russell’s Viper, ''Vipera russelli'') এবং Trimeresurus গণের পাঁচ প্রজাতির পিট-ভাইপার আছে। বাঁশবোড়া (Bamboo’s Pit-Viper, ''Timeresurus gramaneus'') সাপকে বাংলাদেশের সর্বত্র দেখা যায়। ভাইপারের মাথা চ্যাপ্টা ও ত্রিকোণ এবং আকারে বড়; ঘাড় সংকোচনশীল। ভাইপারের উপরের চোয়ালে এক জোড়া অস্বাভাবিক লম্বা বিষদাঁত থাকে, যেগুলিকে তারা মুখের তালুর সঙ্গে অনুভূমিকভাবে ভাঁজ করে রাখে। এগুলিকে মনে হয় সাপের মুখের অধস্ত্বকীয় সূচ।


[[Image:Viper.jpg|thumb|right|চন্দ্রবোড়া]]
[[Image:SnakeXenochrophisPiscator.jpg|thumb|400px|ভাইপার]]
 
প্রয়োজনমতো পেশির সংকোচনে মুখ খুলে গেলে বিষদাঁত জোড়া মুখের তালু থেকে বেরিয়ে এসে সমকোণে অবস্থান নেয় ও শিকারকে দংশন করে তার শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেয়। বিষদাঁত অতঃপর ভাঁজ হয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। ভাইপারের বিষ মুখ্যত রক্তকণিকা ও রক্তনালিগাত্র আক্রমণ করে এবং রক্তজমাটে বাধা দেয়, ফলত শিকার শেষপর্যন্ত মারা যায়।
প্রয়োজনমতো পেশির সংকোচনে মুখ খুলে গেলে বিষদাঁত জোড়া মুখের তালু থেকে বেরিয়ে এসে সমকোণে অবস্থান নেয় ও শিকারকে দংশন করে তার শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেয়। বিষদাঁত অতঃপর ভাঁজ হয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। ভাইপারের বিষ মুখ্যত রক্তকণিকা ও রক্তনালিগাত্র আক্রমণ করে এবং রক্তজমাটে বাধা দেয়, ফলত শিকার শেষপর্যন্ত মারা যায়।



০৩:৫৪, ১ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ভাইপার  একটি মারাত্মক বিষধর সাপ। এটি Serpentes বর্গভুক্ত Viperidae গোত্রের। এ গোত্রে রয়েছে দুটি উপগোত্র: Viperinae ও Crotalinae। প্রকৃত ভাইপার Viperinae উপগোত্রের সদস্য।

Crotalinae উপগোত্রে রয়েছে পিট-ভাইপার। বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া (Russell’s Viper, Vipera russelli) এবং Trimeresurus গণের পাঁচ প্রজাতির পিট-ভাইপার আছে। বাঁশবোড়া (Bamboo’s Pit-Viper, Timeresurus gramaneus) সাপকে বাংলাদেশের সর্বত্র দেখা যায়। ভাইপারের মাথা চ্যাপ্টা ও ত্রিকোণ এবং আকারে বড়; ঘাড় সংকোচনশীল। ভাইপারের উপরের চোয়ালে এক জোড়া অস্বাভাবিক লম্বা বিষদাঁত থাকে, যেগুলিকে তারা মুখের তালুর সঙ্গে অনুভূমিকভাবে ভাঁজ করে রাখে। এগুলিকে মনে হয় সাপের মুখের অধস্ত্বকীয় সূচ।

ভাইপার

প্রয়োজনমতো পেশির সংকোচনে মুখ খুলে গেলে বিষদাঁত জোড়া মুখের তালু থেকে বেরিয়ে এসে সমকোণে অবস্থান নেয় ও শিকারকে দংশন করে তার শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেয়। বিষদাঁত অতঃপর ভাঁজ হয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। ভাইপারের বিষ মুখ্যত রক্তকণিকা ও রক্তনালিগাত্র আক্রমণ করে এবং রক্তজমাটে বাধা দেয়, ফলত শিকার শেষপর্যন্ত মারা যায়।

চন্দ্রবোড়া সাপ ওজনে বেশ ভারী এবং এদের শরীর দৈর্ঘ্যে হয় প্রায় ১.৫ মিটার। বর্ণময় দেহকান্ডের উপর ডিম্বাকৃতির বাদামি রঙের ছোপ, যেগুলি ঘিরে থাকে কালো, সাদা বা হালকা হলুদ রঙের রেখা। চন্দ্রবোড়ার দংশন মারাত্মক। এটি সর্বত্র ছড়িয়ে থাকলেও দেখা যায় দৈবাৎ। সকল পিট-ভাইপারই সবুজ, দৈর্ঘ্যে ২ মিটারের বেশি লম্বা হতে পারে। এদের দুইজোড়া মুখমন্ডলীয় বা সংবেদী গর্ত (pit) থাকে যেগুলি চোখ ও নাসারন্ধ্রের মাঝখানে অবস্থিত। এই গর্তগুলি অত্যন্ত তাপসংবেদী। ভাইপার মূলত উষ্ণরক্তবিশিষ্ট প্রাণী আহার করে। এরা বাচ্চা দেয়। এদের চামড়ার বাজার দর চড়া।  [আলী রেজা খান]