নূর-অল ইমান সমাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(fix: </u>]])
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''নূর-অল ইমান সমাজ'''  রাজশাহীর একটি বিদ্যোৎসাহী প্রতিষ্ঠান। ধর্ম, সমাজ, শিক্ষা ও সংস্কৃতির চর্চা এবং প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৮৯৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ইমান সমাজের কর্মিগণ সুশিক্ষিত ধর্মপ্রচারক দ্বারা  [[100555|ইসলাম]] ধর্ম প্রচার, পত্রিকা প্রকাশ, পুস্তক প্রণয়ন ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ১৯০০ সালে নূর''-''অল ইমান নামে সমাজের একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়, যার আখ্যাপত্রে লেখা হতো: ‘নূর-অল ইমান সমাজ কর্তৃক সম্পাদিত ও মির্জা মোহাম্মদ ইউসুফ আলী কর্তৃক শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সজ্জীকৃত।’ পত্রিকাটি সমাজের সভ্যদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হতো।
'''নূর-অল ইমান সমাজ'''  রাজশাহীর একটি বিদ্যোৎসাহী প্রতিষ্ঠান। ধর্ম, সমাজ, শিক্ষা ও সংস্কৃতির চর্চা এবং প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৮৯৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ইমান সমাজের কর্মিগণ সুশিক্ষিত ধর্মপ্রচারক দ্বারা  [[ইসলাম|ইসলাম]] ধর্ম প্রচার, পত্রিকা প্রকাশ, পুস্তক প্রণয়ন ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ১৯০০ সালে নূর-অল ইমান নামে সমাজের একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়, যার আখ্যাপত্রে লেখা হতো: ‘নূর-অল ইমান সমাজ কর্তৃক সম্পাদিত ও মির্জা মোহাম্মদ ইউসুফ আলী কর্তৃক শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সজ্জীকৃত।’ পত্রিকাটি সমাজের সভ্যদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হতো।


সমাজের সাংগঠনিক কার্যবিবরণী থেকে জানা যায় যে, সমাজের কর্মীরা মুষ্ঠিভিক্ষা ও চাঁদা আদায় করে গরিব ছাত্রদের আহার ও বাসস্থানের ব্যবস্থা এবং শিক্ষার অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করত। মীর্জা ইউসুফ আলী সমাজের পক্ষ থেকে  [[105181|রাজশাহী]] ও নওগাঁয় দুটি মুসলিম ছাত্রাবাস স্থাপন করেন।
সমাজের সাংগঠনিক কার্যবিবরণী থেকে জানা যায় যে, সমাজের কর্মীরা মুষ্ঠিভিক্ষা ও চাঁদা আদায় করে গরিব ছাত্রদের আহার ও বাসস্থানের ব্যবস্থা এবং শিক্ষার অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করত। মীর্জা ইউসুফ আলী সমাজের পক্ষ থেকে  [[রাজশাহী জেলা|রাজশাহী]] ও নওগাঁয় দুটি মুসলিম ছাত্রাবাস স্থাপন করেন।


নূর-অল ইমান সমাজ দুগ্ধ''-''সরোবর (১৮৯১) ও সৌভাগ্য স্পর্শমণি (৫ খন্ড, ১৮৯৫-১৯১৫) নামে দুখানি ধর্মপুস্তক প্রকাশ করে। প্রথম গ্রন্থের রচয়িতা মীর্জা ইউসুফ আলী; দ্বিতীয় গ্রন্থটি ইমাম গাজ্জালির কিমিয়া''-''''-''সাদাৎ-এর বঙ্গানুবাদ। এটি অনুবাদ করার জন্য ছয় সদস্যের একটি অনুবাদক কমিটি গঠন করা হয়, যার মূল অনুবাদক ছিলেন মীর্জা ইউসুফ আলী। এসব তথ্য থেকে অনুমিত হয়, ইউসুফ আলী ছিলেন সমাজের কেন্দ্রীয় পুরুষ। তিনি এর সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
নূর-অল ইমান সমাজ দুগ্ধ-সরোবর (১৮৯১) ও সৌভাগ্য স্পর্শমণি (৫ খন্ড, ১৮৯৫-১৯১৫) নামে দুখানি ধর্মপুস্তক প্রকাশ করে। প্রথম গ্রন্থের রচয়িতা মীর্জা ইউসুফ আলী; দ্বিতীয় গ্রন্থটি ইমাম গাজ্জালির কিমিয়া-ই-সাদাৎ-এর বঙ্গানুবাদ। এটি অনুবাদ করার জন্য ছয় সদস্যের একটি অনুবাদক কমিটি গঠন করা হয়, যার মূল অনুবাদক ছিলেন মীর্জা ইউসুফ আলী। এসব তথ্য থেকে অনুমিত হয়, ইউসুফ আলী ছিলেন সমাজের কেন্দ্রীয় পুরুষ। তিনি এর সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। [ওয়াকিল আহমদ]
 
[ওয়াকিল আহমদ]


[[en:Nur-al-Iman Samaj]]
[[en:Nur-al-Iman Samaj]]

১০:৩০, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

নূর-অল ইমান সমাজ  রাজশাহীর একটি বিদ্যোৎসাহী প্রতিষ্ঠান। ধর্ম, সমাজ, শিক্ষা ও সংস্কৃতির চর্চা এবং প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৮৯৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ইমান সমাজের কর্মিগণ সুশিক্ষিত ধর্মপ্রচারক দ্বারা  ইসলাম ধর্ম প্রচার, পত্রিকা প্রকাশ, পুস্তক প্রণয়ন ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ১৯০০ সালে নূর-অল ইমান নামে সমাজের একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়, যার আখ্যাপত্রে লেখা হতো: ‘নূর-অল ইমান সমাজ কর্তৃক সম্পাদিত ও মির্জা মোহাম্মদ ইউসুফ আলী কর্তৃক শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সজ্জীকৃত।’ পত্রিকাটি সমাজের সভ্যদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হতো।

সমাজের সাংগঠনিক কার্যবিবরণী থেকে জানা যায় যে, সমাজের কর্মীরা মুষ্ঠিভিক্ষা ও চাঁদা আদায় করে গরিব ছাত্রদের আহার ও বাসস্থানের ব্যবস্থা এবং শিক্ষার অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করত। মীর্জা ইউসুফ আলী সমাজের পক্ষ থেকে  রাজশাহী ও নওগাঁয় দুটি মুসলিম ছাত্রাবাস স্থাপন করেন।

নূর-অল ইমান সমাজ দুগ্ধ-সরোবর (১৮৯১) ও সৌভাগ্য স্পর্শমণি (৫ খন্ড, ১৮৯৫-১৯১৫) নামে দুখানি ধর্মপুস্তক প্রকাশ করে। প্রথম গ্রন্থের রচয়িতা মীর্জা ইউসুফ আলী; দ্বিতীয় গ্রন্থটি ইমাম গাজ্জালির কিমিয়া-ই-সাদাৎ-এর বঙ্গানুবাদ। এটি অনুবাদ করার জন্য ছয় সদস্যের একটি অনুবাদক কমিটি গঠন করা হয়, যার মূল অনুবাদক ছিলেন মীর্জা ইউসুফ আলী। এসব তথ্য থেকে অনুমিত হয়, ইউসুফ আলী ছিলেন সমাজের কেন্দ্রীয় পুরুষ। তিনি এর সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। [ওয়াকিল আহমদ]