ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার''' থেরবাদী বৌদ্ধদের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ঢাকার মেরুল বাড্ডায় ১৯৮১ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধদের ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং সদ্ধর্মের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
'''ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার''' থেরবাদী বৌদ্ধদের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ঢাকার মেরুল বাড্ডায় ১৯৮১ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধদের ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং সদ্ধর্মের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।


প্রথমে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার কমিটি’র মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালিত হতো। পরবর্তীকালে  [[বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন|বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন]] গঠিত হলে তার মাধ্যমেই সকল কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। এছাড়া বিহারের পূজা-পার্বণ প্রভৃতি সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য রয়েছে একটি ‘মহিলা উপাসিকা উপ-কমিটি’। ১৯৯২ সালে বিহারের পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন প্রজেক্ট সম্বলিত একটি মডেল তৈরি করা হয়। প্রজেক্টসমূহের মধ্যে রয়েছে পিস মন্দির, অনাথালয়, লাইব্রেরি, ভাবনা কেন্দ্র, ভিক্ষুনিবাস ও ট্রেনিং সেন্টার, পালি কলেজ, দাতব্য চিকিৎসালয় প্রভৃতি। ২০০০ সালের ৮ নভেম্বর  [[কঠিন চীবর দান|কঠিন চীবর দান]] ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন উপলক্ষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিহার-ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বিহারে সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে থাইল্যান্ড থেকে আনীত দুটি বৌদ্ধমূর্তি উল্লেখযোগ্য। ব্রোঞ্জ নির্মিত একটি মূর্তির উচ্চতা ৪৬, ওজন প্রায় সাড়ে ছয় মন এবং অষ্টধাতু নির্মিত অন্যটির উচ্চতা প্রায় সাড়ে সাত ফুট, ওজন ৭৭৭ কেজির মতো।  [সুকোমল বড়ুয়া]
প্রথমে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার কমিটি’র মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালিত হতো। পরবর্তীকালে  [[বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন|বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন]] গঠিত হলে তার মাধ্যমেই সকল কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। এছাড়া বিহারের পূজা-পার্বণ প্রভৃতি সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য রয়েছে একটি ‘মহিলা উপাসিকা উপ-কমিটি’। ১৯৯২ সালে বিহারের পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন প্রজেক্ট সম্বলিত একটি মডেল তৈরি করা হয়। প্রজেক্টসমূহের মধ্যে রয়েছে পিস মন্দির, অনাথালয়, লাইব্রেরি, ভাবনা কেন্দ্র, ভিক্ষুনিবাস ও ট্রেনিং সেন্টার, পালি কলেজ, দাতব্য চিকিৎসালয় প্রভৃতি। ২০০০ সালের ৮ নভেম্বর  [[কঠিন চীবর দান|কঠিন চীবর দান]] ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন উপলক্ষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিহার-ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বিহারে সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে থাইল্যান্ড থেকে আনীত দুটি বৌদ্ধমূর্তি উল্লেখযোগ্য। ব্রোঞ্জ নির্মিত একটি মূর্তির উচ্চতা ৪ x ৬, ওজন প্রায় সাড়ে ছয় মন এবং অষ্টধাতু নির্মিত অন্যটির উচ্চতা প্রায় সাড়ে সাত ফুট, ওজন ৭৭৭ কেজির মতো।  [সুকোমল বড়ুয়া]


<!-- imported from file: ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার.html-->


[[en:Dhaka International Buddhist Monastery]]
[[en:Dhaka International Buddhist Monastery]]

০৬:২০, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার থেরবাদী বৌদ্ধদের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ঢাকার মেরুল বাড্ডায় ১৯৮১ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধদের ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং সদ্ধর্মের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

প্রথমে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার কমিটি’র মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালিত হতো। পরবর্তীকালে  বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন গঠিত হলে তার মাধ্যমেই সকল কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। এছাড়া বিহারের পূজা-পার্বণ প্রভৃতি সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য রয়েছে একটি ‘মহিলা উপাসিকা উপ-কমিটি’। ১৯৯২ সালে বিহারের পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন প্রজেক্ট সম্বলিত একটি মডেল তৈরি করা হয়। প্রজেক্টসমূহের মধ্যে রয়েছে পিস মন্দির, অনাথালয়, লাইব্রেরি, ভাবনা কেন্দ্র, ভিক্ষুনিবাস ও ট্রেনিং সেন্টার, পালি কলেজ, দাতব্য চিকিৎসালয় প্রভৃতি। ২০০০ সালের ৮ নভেম্বর  কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন উপলক্ষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিহার-ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বিহারে সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে থাইল্যান্ড থেকে আনীত দুটি বৌদ্ধমূর্তি উল্লেখযোগ্য। ব্রোঞ্জ নির্মিত একটি মূর্তির উচ্চতা ৪ x ৬, ওজন প্রায় সাড়ে ছয় মন এবং অষ্টধাতু নির্মিত অন্যটির উচ্চতা প্রায় সাড়ে সাত ফুট, ওজন ৭৭৭ কেজির মতো।  [সুকোমল বড়ুয়া]