আতীকুল্লাহ, সাইয়িদ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৮:০১, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

আতীকুল্লাহ, সাইয়িদ  (১৯৩৩-১৯৯৮)  কবি ও সাংবাদিক। টাঙ্গাইল জেলায় তাঁর জন্ম।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি লাভ করে তিনি সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। মাঝে কিছুসময় ব্যাংকে চাকরি করেন কিন্তু আমৃত্যু তিনি সাংবাদিকতায়ই নিয়োজিত ছিলেন।

আতীকুল্লাহ ১৯৫২-র  ভাষা আন্দোলনএ অংশগ্রহণ করে কারারুদ্ধ হন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তাঁর প্রধান অবদান সাহিত্যে। কবিতা তাঁর আত্মপ্রকাশের প্রধান মাধ্যম, তবে তিনি অনেক গল্পও রচনা করেছেন। তাঁর ছিল একটি প্রতিবাদী কণ্ঠ; সাংবাদিকতা ও সাহিত্যকর্ম উভয় ক্ষেত্রেই তাঁর প্রতিবাদী ও সংগ্রামী চেতনার প্রকাশ ঘটেছে। তিনি সাংবাদিকতায় যেমন নিপুণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছেন, সাহিত্যেও তেমনি তীক্ষ্ণ জীবনবোধ ও সমাজবাস্তবতার পরিচয় দিয়েছেন। মননশীলতা ও মহত্ত্বচেতনা তাঁকে সাহিত্যাঙ্গনে স্বতন্ত্র মর্যাদা দিয়েছে। তাঁর কবিতার ভাষা অকপট এবং বর্ণনাভঙ্গিও আবেগমুক্ত। তাঁর কণ্ঠে শ্লেষ ছিল, কিন্তু তা ছিল শিল্পময়।

আতীকুল্লাহর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আমাকে ছাড়া অনেক কিছু, অাঁধির যতো শত্রুমিত্র, এই যে তুমুল দৃষ্টি, সবখানেই চড়া রোদ, শাসন নেই ধমক নেই, চেয়ে দেখি কত কিছু এবং একই টেবিলে দশজন। তাঁর বিখ্যাত গল্পগ্রন্থটি হচ্ছে বুধবার রাতে। এছাড়া ইংরেজি, রুশ ও উর্দু ভাষা থেকে অনূদিত তাঁর বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার, পদাবলী পুরস্কার ও আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।  [ওয়াকিল আহমদ]